হঠাৎ করে ১১ই জানুয়ারীর কথা মনে পড়ল নিরবের।
ছায়া একটি নীল পাঞ্জাবী উপহার দিয়েছিল,
কোন কারনে দিয়েছিল ঠিক মনে নেই। তবে হয়তো নীরবের জন্মদিনের উপহার ছিল।
ছায়ার কথা খুব মনে পড়ছে,,
ড্রয়ার থেকে পাঞ্জাবীটা বের করল নীরব।
কেমন জানি কুচকে রয়েছে, আয়রন করা নেই।
আজকাল আয়রন করে জামাকাপড় পড়া একদমি হয় না।
ছেলেটা এমনিতেই অলস টাইপের।
মুখে খুচা খুচা দাড়ি,, কয়েক সপ্তাহ সেভ করা হয় নি,,
তার উপর কুঁচকানো নীল পাঞ্জাবিটা,,
দেখতে ঠিক কেমন যেন লাগে।।
সিগারেটের প্যাকেটটা হাতে নিয়েই রাস্তায় বেড়িয়ে পড়ল নীরব।
পাঞ্জাবিটা কোনো এক মায়ায় টানছে নীরব কে,
হয়তো ছায়ার খুব কাছে নিয়ে চলেছে।
হাটতে হাটতে একটা নির্জন জায়গায় গিয়ে ছাওনীর নিছে বসে একটা সিগারেট জ্বালালো।
আশেপাশের ল্যামপোস্টের আলোগুলো খুব ভালো লাগছে, আর গাড় নীল পাঞ্জাবিকে রঙ্গিন ভাব দিচ্ছে।
এখানে একাএকা কি করছো??
ছায়ার কন্ঠ শুনে চমকে উঠল নিরব।
বলছিলাম এখানে কি করছো??
বসে আছি,,
বসতে পাড়ি তোমার পাশে???
হ্যা!!
আনমনে আরেকটা সিগারেট জ্বালালো নিরব
সিগারেট খাচ্ছো কেন??
নীরব চুপ হয়ে আছে। তার মানে সে কোনো উত্তর দেবে না।
নীরব??
বলো।
এই পাঞ্জাবিটা তোমাকে খুব কষ্ট দেয় তাই না??
নাহ। বলে নিচের দিকে তাকিয়ে রইলো নীরব, ছায়ার চোখের দিকে তাকাতে খুব ভয় হচ্ছে।
দু'জনেই চুপ করে রইলো।
ছায়া নীরবের হাত চেপে ধরে বসে রইলো।
একফোটা গরম জল নীরবের হাতে এসে পড়ল
নীরব বুঝতে পারছে ছায়া কাঁদছে, তারপরও মূর্তির মত বসে আছে।
নীরব।
হ্যা বলো?
তুমি আমার দিকে তাকাচ্ছো নআ কেন?
নাহ! আমি পারবো না,নতুন করে আর কোনো মায়ায় আমি জ্বড়াতে চাই না।
একটি বার আমার চোখের দিকে তাকাও, তাহলে বুঝতে পারবে ভালোবাসার কত আখাঙ্কা তোমাকে ঘিরে।
আমি তোমাকে বুঝি।
তাহলে আমার চখের দিকে তাকাতএ এত ভয় কেন?
যে মায়া আত্নঘাতী সেই মায়ায় পড়লে হৃদয়টা বার বার পুড়ে ছারকার হয়ে যায়।
তবুও আখাঙ্কিত দুটি চোখ নীরবকে ডাকছে,
সাড়া দিতে হবে।
চোখ দুটি উপরে তুলল নিরব।।মুখে কোনো কথা বের হচ্ছে না।
রক্তজবা দুটি চোখ নীরবের দিকে একরাশ অভিমান নিয়ে তাকিয়ে আছে।
ছায়া নীরবের হাত দু'টি চএপএ ধরল,
তার দু'টি চুম্বট নীরবের গাল ছুঁয়ে দিতে থাকল।
নীরবের হাত পা পোরো শরীর অবস হয়ে আসছে,
নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে,
অস্থির লাগতে শুরু হল এই পৃথীবিটাকে।
নিরবের নিশ্বাস ফুরিয়ে আসছে ধীরে ধীরে।
ছায়া নীরবকে নিতে এসেছে,
এক অশান্ত ভালোবাসার গল্প নতুন করে শুরু করবে বলে।
সকালে ছায়ার কবরের পাশে একটি লাশ পাওয়া গেল,
ভালোবাসায় হারিয়ে যাওয়া নীরবের ঘুমন্ত লাশ।
(ভুলত্রুটি সংশোধন যগ্য)
লিখা: নস্ট কবি