রোজ কেয়ামত বা কাল কেয়ামত বলা হয় কেন, যেখানে আদতে কেয়ামত আগামীকাল হবে না?
খুবি লজিকাল একটি প্রশ্ন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এরকম প্রশ্নের এক্সাক্ট বা টু দ্যা পয়েন্ট কোনো উত্তর মৌলবি সাহেবেরা দিতে চান না। কেন দিতে চান না উনারা সেটা ভাল জানেন
কিন্তু এই প্রশ্নের এক্সাক্ট উত্তর আছে। বোথ স্পিরিচুয়াল এন্ড সাইন্টিফিক এন্সার।
#স্পিরিচুয়াল: ধরুন, আপনি সুস্থ মানুষ। সকালে নেয়ে খেয়ে ক্লাস/অফিসের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হলেন। রাস্তায় এক সাতটন-ই ট্রাক আপনার উপর তুলে দিলো। আপনি মৃত্যুবরণ করলেন। গোসল, কাফন, দাফন হলো। আপনাকে কবর দেয়া হলো। মুনকার নাকির সওয়াল জবাব করল। দেন আপনার রুহ বারযাখ নামক স্থানে গেল। এই জায়গাটি এমন যে এখানে সময়ের অস্তিত্ব নেই। কোথাও কোথাও বলা হয়, বারযাখ এমন একটি স্থান যেখানে আপনার 'কনশাসনেস' এক স্বপ্নহীন ঘুমে কাটাবে। অর্থাৎ আপনার কাছে ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে মনে হবে, আপনি গতকালকেই মারা গিয়েছেন এবং আজকেই জেগে উঠেছেন। কিন্তু বারযাখ থেকে শুধু কেয়ামতের দিনই সবাইকে জাগ্রত করা হবে শেষ বিচারের জন্য। তাই, এক্ষেত্রে রোজ বা কাল কেয়ামত ঘটনাটি মৃত ব্যক্তির জন্য লিটারেলি আগামীকালই।
#সাইন্টিফিক: সাইন্টিফিক বা লজিকাল অংশে আমি শুধু বারযাখ সম্পর্কএ বলব যে এরকম ঘটনা সাইন্টিফিকালি পসিবল কী না? কারণ বাকি অংশের থিওরি দেয়া সম্ভব বাট ল' বানানোর জন্য এক্সপেরিমেন্ট করা পসিবল না।
আমরা যারা টুকটাক সাইন্স নিয়ে খুবি হাল্কা ঘেটেছি অথবা কল্প বিজ্ঞান আশ্রিত ফিল্ম দেখেছি তারা ডিপ হাইপারনেশন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়ার কথা। গত বছরের 'প্যাসেঞ্জার' নামক মুভিতেও বিষয়টি দেখানো হয়েছে। মোরওভার, বিজ্ঞানীগণ সার্বিয়া অঞ্চলে এক ধরণের ব্যাঙ পেয়েছেন যেটি শীতকালে ডিপ হাইপারনেশনে চলে যায়। তার গোটা বডি বরফে জমে যায়, ইভেন হার্ট বিট বন্ধ হয়ে যায় ব্রেইনেও কোনো ইলেক্ট্রিক ফ্রিকুয়েন্সি দেখা যায় না। কিন্তু ৯ মাস পরে বসন্ত শুরু হলে সে আবার জেগে ওঠে। জাস্ট লাইক বারযাখ।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:১২