: দোস্ত, আমি তো শ্যাষ।
আমি বলি, "কেন দোস্ত? কি হইছে?"
: কি হয়নাই তাই বল। দুই দিন বাদে শর্মী আজ ক্লাসে আসছে। ওর হাতে আংটি।
: তো তাতে কি হইছে?
: কি হইছে মানে। তুই তো দেখি কিছুই জানোস না। মেয়েরা প্রথম কখন আংটি পড়ে? ছেলে পক্ষ এসে যখন আংটি পড়িয়ে দিয়ে যায়।
: তোর ধারণা ঠিক নাও হতে পারে। তু্ই শর্মীর সাথে কথা বলে দেখ। গত দুইদিন ও ক্লাসে আসে নাই কেন? হঠাৎ ওর হাতের আংটিটা কিসের?
: কি বলিস? শর্মীকে দেখলেই আমার কেমন যেন হার্টবিট বন্ধ হয়ে যায়। আর ওর সামনে দাড়িয়ে কথা বলতে গেলে তো আমি হার্টফেল করে মরবো। তারচেয়ে এই দেখ, বিষ কিনেছি। ওর যেদিন বিয়ে হবে সেই দিন এই বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করবো। দোস্ত, আমার কারণে কখনো মনে কোন আঘাত পেলে ক্ষমা করে দিস।
আমার কলেজের সেই বন্ধুটির সাথে প্রায় চার বছর বাদ হঠাৎ রাস্তায় দেখা। দেখি হন্তদন্ত হয়ে ছুটছে। আমি ওর পথরোধ করে দাড়ালাম। আমাকে দেখেই আমার বন্ধুটি কোন ভুমিকা ছাড়ায় বলে উঠল, "দোস্ত। আমি তো শ্যাষ।"
আমি বলি, "কেন দোস্ত? কি হইছে?"
: তোর ভাবি, শর্মীতো আমার সাথে রাগ করে বাপের বাড়ি চলে গেছে।
: চলে গেছে তো কি হইছে? কয়দিন বাদে দেখবি ঠিক ফিরে আসবে।
: না দোস্ত। তুই তো ওকে আমার মতো করে চিনিস না। আমি জানি, ও আর আসবে না। দোষটা আমারই ছিল। কেন যে ওর সাথে খামোখা ঝগড়া করতে গেলাম।
: তুই এতো পেরেশান হইস না, দোস্ত।
: কি বলিস? আমি পেরেশান হবো না? শর্মী ছাড়া আমি একদিনও থাকতে পারবো না। জানি, ও আর ফিরে আসবে না। তারপরও শেষ চেষ্টা করে দেখি। এই দেখ এক ডজন ঘুমের ওষুধ কিনেছি। ও যদি ফিরে না আসে, ওর সামনে বসেই ঘুমের ওষুধ খেয়ে ফেলব। দোস্ত, আসি রে। আমার জন্য একটু দোআ করিস। আর ভুল-চুক কিছু মনে রাখিস না।