দেশের যে কোন স্থানে কোন সংসদ সদস্য কিংবা মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী গেলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢালাও ভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়। বিষয়টি খুব হাস্যকর ও নিন্দনীয় মনে হলেও হরহামেশা এটিই হয়ে আসছে।
আমরা যখন ছাত্র ছিলাম। তখন প্রধামন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রীগণ দু’বার আমাদের জেলা (ভোলা) জনসংযোগের কাজে গিয়েছিলেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আগেই ঘোষণা দেয়া হয় আগামী কাল থানা সদরে আগতদের কে সম্মাননা জানাতে হাজির হতে হবে। তাই প্রতিষ্ঠান বন্ধ!!
শুধুমাত্র রাস্তার দুপাশে দাঁড় করিয়ে রেখে কি এমন জনকল্যানমূলক কাজ হয় আমার জানা নেই। শিক্ষার্থীদের দেখে মনে হয় দেশনেত্রী গণ উৎফুল্ল হন। যে শিক্ষার আলোয় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলো গতকাল দেশেল একমাত্র দ্বীপ জেলা ভোলায়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনকে স্বাগত জানাতে জেলার চরফ্যাশনে বেসরকারি ৭৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৭০টি বিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া পূর্বনির্ধারিত দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। শুধু শিক্ষার্থীরাই নয় অনেক শিক্ষক মন্ত্রীর সমাবেশে যোগ দিতে স্কুল থেকে সেখানে হাজির হন।
উপজেলার বড়-মানিকা ইউনিয়নে দক্ষিণ আইচা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে দুপুর ১২টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুধীসমাবেশে ‘দক্ষিণ আইচা’ থানার উদ্বোধন উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। মন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সকাল থেকে ভোলা-চরফ্যাশন-কচ্ছপিয়া সড়কের দুই পাশে সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে থাকে।
দুলারহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাজাহান, কেরামতগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন-অর-রশিদ বলেছেন, চরফ্যাশন শিক্ষক সমিতি গতকালের ইংরেজি পরীক্ষা পিছিয়ে তা ২৮ জুলাই নেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
পৃথিবীর অন্য কোথাও এই রীতির চর্চা হয় কিনা জানা নেই। তবে আমাদের দেশে এই সংস্কৃতি খুব ভালো বার্তা বহন করছে বলে আমারে মনে হচ্ছে না।