somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

অনুপম অনুষঙ্গ
আমার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : ১. এবার ধরা দাও (২০০০) ২. উচ্ছ্বাস(২০০১) ৩. পরিত্যক্ত পদাবলি(২০০২) ৪. এক বিকেলে(২০০৪) ৫. নিঃসঙ্গ নির্জন(২০০৫) ৬. ভাঙনের শব্দ(২০১১) ৭. আমার সন্তান যেন দুধেভাতে(২০১২) ৮. চারিদিকে জীবনে সমুদ্র-সফেন(২০১২) গবেষণা গ্রন্থ : ১. শওকত

কারো জন্য অপেক্ষা নেই, প্রতীক্ষাও // শাফিক আফতাব //

০৯ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৮:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কারো জন্য অপেক্ষা নেই, প্রতীক্ষাও

কারো জন্য একদিন ছিলো গোলাপদিন
কারো জন্য একদিন আমি ক্ষয় করেছিলাম পাথরের পথ
কেউ একদিন শিশিরভেজা গোলাপ দিনে গুনেছিলো দিন
একদিন কারো মনে আমি ছিলাম পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানব।

অভিমান করার লোক ছিলো একদিন
জবাবদিহি করারও লোক ছিলো
হৃদয়ের পাশে এক তাজা হৃদয় নিয়ে শুয়েছিলো একদিন একজন
চোখের জল ছিলো, ভালোবাসার ছল ছিলো,
বর্ষায় কদমভেজার দিন ছিলো একদিন
এখন কারো জন্য অপেক্ষা নেই, প্রতীক্ষাও।

একদিন এই সোনা মুখে সোনালী স্পর্শ ছিলো
লকলকে চুলের বিন্যাসে ফুটতো শতশত কাশফুল
একদিন ভরপুর ছিলো হৃদয়ের উপকূল
একদিন আমার তুমি ছিলে, আমি তোমার ছিলাম
অামরা ছিলাম শঙ্খচিল, তোমার আমার মাঝে ছিলো কত অন্তমিল।

এখন কারো জন্য কারো অপেক্ষা নেই, প্রতীক্ষাও।

০৮.০৭.২০১৪ অনধিকারে প্রবেশ //
শাফিক আফতাব //

অনধিকারে প্রবেশ করিনি কারো সংরক্ষিত এলাকায়
চর্চা করিনি কাউকে নিয়ে।
এমনকি কথা বলতে কাউকে থামিয়েও দেইনি।
বাক স্বাধীনতা হরণ করিনি, এমনকি প্রিয়তমার।
যদি বলেছে দিন, আমিও বলেছি দিন,
দিন বলেছে রাত, আমি বলেছি রাত
যদি বলেছে দুয়ে দুয়ে পাঁচ, আমিও বলেছি পাঁচ
বিপরীতে তাকালে আমি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছি,

কারো পাকাধানে দেইনি মই
যুবতীর বুকে ছুঁড়িনি দৃষ্টির ঢিল
আপন চরকায় তেল দিয়েছি দিনরাত
অথচ তবু মানব সন্তানগুলো ইটপাটকেল ছুঁড়ে
ককটিল মারে, ডাকনামের উপর লেপে দেয় কাদা
জীবনে যাকে কোনোদিন দেখিনি সে নাকি আমার দাদা !

কারো সংরক্ষিত এলাকায় অনধিকারে প্রবেশ করিনি
তবু নাকি আমি সবার কাছে ঋণী।
০৮.০৭.২০১৪


ফেরা //
শাফিক আফতাব //

ফেরাতে চেয়েছি, পারিনি। সমুদ্রের জল কি ফিরে ?
যদি ফেরে মেঘের বিন্দু।

ফেরাতে চেয়েছি, পারিনি,
সময় কি ফিরে, যদি ফেরে মৃত্যুর পর
তখন তো সময় স্থবির পড়ে থাকে পাষাণ পাথরের ওপর।

মূলত ফেরে না কিছু। যদি ফেরে সাইকুলিকর্ড়ারের রূপান্তর।

তুমিও ফিরে এলে
তোমার মসৃণ দেহে নখের আঁচর, জমাট জখম, কালচে রক্ত
তোমার সোনাবুকে তামাট গন্ধ
তুমি নিজেও রুপান্তিরিত এক ভিন্ন মানবী

এই তোমাকে কোথায় রাখি ?
কী করে ভালোবাসি আগের মতোন ?
০৮.০৭.২০১৪

তাকে উড়তে দাও, অথই আকাশ ছুঁইতে দাও //
শাফিক আফতাব //

তারে কেনো বাঁধতে চাও সীমান বাঁধনে
তুমি তো নিজেই বৃত্ত ভেঙে চাও অবাধ বিস্তার
তবে তার কেনো দুঃখ দাও মধুর লগনে
তবে তারে দাও না কেনো একটু নিস্তার।

পৃথিবীর প্রতিটি বস্তুর আছে এক স্বতন্ত্র ধর্ম
নদীর তরঙ্গ যথা নিজের মতোন বেগে বেগে ধায়
সে যেমন কোনোদিকে কখনো নাহি তাকায়
এখানে যে যার মতোন করুক না কর্ম।

প্রাণকে কী করে তুমি বন্দি করবে খাঁচায়
একদিন সে নিজেই চলে যাবে অনন্তে
পরিত্যক্ত দেহখানি তোমার পড়ে রবে মধু বসন্তে
তবে তারে কেনো কষ্ট দাও নিয়মের খোঁচায়।

তাকে উড়তে দাও, অথই আকাশ ছুঁইতে দাও
সে নিজেই ফিরে আসবে উৎসে, কষ্ট কেনো পাও ?
০৮.০৭.২০১৪


চলো ফিরে যাই পূর্বপুরুষের বাস্তভিটায়, লাঙলে মুঠি ধরি //
শাফিক আফতাব //

চলো মাটির ঘরে যাবো, শানকির জলে তৃষ্ণা মেটাবো
নদীর জলে ধুয়ে দেবো ভালোবাসার ব্যবহারিক শরীর
কদমবনে বর্ষার জলে ভিজে নিবেদিতো হবো
লতায় পাতায় বানাবো আমাদের ভালোবাসার নীড়।

ইটপাথরের ঘরে, পিচঢালা পথে আছে পাষাণ দানবের আঁচ
আছে মানুষের মিথ্যা অলিক আর অভিনয়ে স্বচ্ছ সুন্দর কাচ
আছে ভাষার দহনে ভালোবাসার আদায়ের বিবিধ ফন্দি
অন্যায় আর অসত্যের সাথে চুক্তি, সন্ধি।

পোড়া মাটির মতোন পুড়ে ঝামা হয়েছে মানুষের মন
কারো চোখের জল এতটুকু করুণা নিয়ে আসেনা এই শহরে
এখানে আছে জীর্ণ আস্তানা, বেগানা, নগ্ননারীর রমণ
অজস্র কীট বাস করে এই শহরের গহবরে।

চলো ফিরে যাই পূর্বপুরুষের বাস্তভিটায়, লাঙলে মুঠি ধরি
আবহমান বাংলার রূপ হৃদয়ে ধারন করি, হে অভিসারি।
০৮.০৭.২০১৪

ঋণ //
শাফিক আফতাব //

আমি তো দীনহীনই ছিলাম, তুমিই ভালোবাসা ঋণ দিয়েছিলে
জলবতী করেছিলে ভালোবাসার মরা নদী
বৃষ্টির জলে ধুয়ে দিয়েছিলে অন্তর্গত সুন্দরের শরীর
তোমাকে পেয়ে হয়েছিলাম অপার অনাদী।

আমি ছিলাম চৈত্রের চোচির মাঠ
তুমি দিয়েছিলে বৃষ্টির স্পর্শ
মনে বর্ষার কদমের ঘ্রাণ হয়েছিলো জমাট
তুমি হয়ে উঠেছিলে বিশেষ দিন, উৎসব অার নববর্ষ।

আমার দৈন্যতা ছিলো উপবাসে কতদিন আমি কেটেছি রাত
প্রতিবেশীর আভিজাত্য দেখে কোনোদিন হিংসায় জ্বলেনি আমি
মানুষের দিন যেতো আনন্দে, কামনার অবিরাম জলপ্রপাত
তুমি বড় প্রাঞ্জল করেছিলে, কত উর্বর করেছিলে মনোভূমি।

সাধের সাধ্য ছিলো না, স্বপ্ন দেখিনি কোনোদিন অপরূপা সুরঞ্জনার
তুমিই ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছিলে, কত সুষমা দিয়েছিলে বর্ষার।
০৮.০৭.২০১৪


০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×