আমি তোমাকেই ভালোবাসতাম, যে তুমি ছিলে মাটির মানবী
আর্তের মুখে কষ্ট দেখে যে তুমি আমাকে ভুলে যেতে __
নিরন্ন মানুষের দুঃখগুলো তোমাকে নির্ঘুম রাত্রি কাটাতো।
যে তুমি অবাধ্য হয়েছিলে একদিন আমার __
সেই তোমাকেই আমি ভালোবাসতাম।
আমি তোমাকেই ভালোবাসতাম
যে তুমি ভালোবাসতে মোটাভাত, মোটা কাপড়,সাঁনকির জল, দিঘির থমে থমে নীরতা
ধ্রুপদী কবিতা,
যে তুমি আবহমান বাংলার রূপে বিমুগ্ধতায় চোখে ঝরাতে জল
ভালোবাসতে নদীর ছলছল,
সেই তোমাকে আমি ভালোবাসতাম।
যে তুমি আজ খটখট হিলের শব্দে, বিদেশি ঘ্রাণে, সংক্ষিপ্ত বস্ত্রাবরণে এসে আলিঙ্গন করছো
সেই তুমি আমার না, সে তোমাকে আমি ভালোবাসিনা
কেনো না যে রক্তে চেতনায় লেগে আছে সোঁদা মাটির গন্ধ, শ্যাওলার অাস্তরণ, রোদের ঝাঁঝ
বৃষ্টিা ছাঁট, রুপালী খলিসার বর্ষার জলের বিস্তার।
নাগরিকা, তুমি ফিরিয়ে যাও, নদীর জলে ধুয়ে আসো তোমার যন্ত্রের শরীর
তারপর তোমাকে নীড় দেবো
আবহমান এক শান্তস্নিগ্ধ সুগন্ধি নীড়
দেখবে রক্তে তোমার চন্দন ঘ্রাণ, হৃদয়ে তোমার শাশ্বত সুন্দরতম পেলব অনুভব
তুমি নিজেই নবান্নের উৎসব।
০৭.০৭.২০১৪