যতদূরে যাও, ফিরবে, পদ্মা মেঘনার যমুনার তীরে
রূপালী ইলিশের কাছে, লাউপাতার সাথে শিং মাছের ঝোল
সরিষাইলিশ, ঢ়েঁড়শ বেগুন আলু আর কচুপাতার ভর্তায় বাঙালির
ভাতে মাছের প্রবাদের কাছে ফিরবে।
সকালের নরমরোদে ভাঁপ ওঠা ভাতের প্লেট আবার অমৃত মনে হবে তোমার
তুমি কৃষকের আঙিনায আবার ফিরে আসবে, কৃষাণীর খোলা দেহের আবেশ নিতে
আবার ফিরবে তুমি,ধানক্ষেতের আলধরে আবার শহর থেকে গ্রামে আসবে।
সুরম্য অট্রালিকায় থাকো, রূপশী রমণী রমণে কাটাও অলসদিন
মধ্যস্বত্ত্ব ভোগ করে ঘুমায় ফুলবতী রাত __
আভিজাত্যের অহমিকায় কুকুরের মতোন তাড়ায় রাস্তার মানুষ
কৃষকের অধিকার আদায়ে তোমার মুখে কথা ফোটেনা__
চাইনিজ খাও, হালকা হালকা ইংরেজি বলো
রঙিন গ্লাসে পৃথিবীরে তোমার আজ কল্পনগরী বলে মনে হয়
পায়ের তলায় সব মাড়িয়ে তুমি উঁচু তলায় ওঠো
ভুলে যাও বাপ দাদার নাম
অথচ শিকড়ের সন্ধান তুমি রাখো না
প্রস্রবণ আর ব্যাপনহীন কোনো বৃক্ষ বাঁচে বলো ?
তাকে মাটির কাছে ফিরতে হয়, শিকড়ের কাছে আসতে হয়।
স্বর্ণলতার মতোন তুমি কদিন বাঁচবে
অভিবাসি অধিবাসি তুমি কদিন শিকড়হীন বাঁচবে ?
এসো মাটির কাছাকাছি, কান পেতে শোনো তোমার পিতাদের জীবনধারার মর্মরিত ব্যঞ্জনা,
মাটির ফলায় দেখো তোমার মায়ের স্পর্শ লেগে আছে, স্নেহময়ী মা তোমার মৃত্তিকার সাথে
মিশে আছে, তুমি তাকে ভালোবাসো, .....
২৬.০৬.২০১৪