আসেন একটা কৌতুক পড়ি আর হাসি -
"শিক্ষা মানুষের জন্মগত একটি মৌলিক অধিকার।"
যেখানে বিশ্বের অন্য দেশগুলোতে পড়ালেখার মান উন্নত করার জন্য বিশাল অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে, সেখানে আমাদের দেশে বেসরকারি ভার্সিটির স্টুডেন্টদের সকল ফি এর উপর ৭.৫% হারে ভ্যাট বসানো হয়েছে। তালিয়া ...
ভ্যাট সাধারণত কোন প্রোডাক্ট বা পণ্যের উপর বসানো হয়। শিক্ষা কি পণ্য? এটা কি শিক্ষার্থীরা কোন দোকান থেকে দরদাম করে কিনতেছে?
যারা মনে করেন প্রাইভেট ভার্সিটিতে কম মেধাবী এবং সব বড়লোকের সন্তানেরাই পড়াশুনা করছে তাদের বলতে চাই এবছর ইন্টার পাশ করা স্টুডেন্ট ৭ লাখ ৩৮ হাজার ৮৭২ জন। জিপিএ-৫ পাওয়া স্টুডেন্ট ৪২ হাজার ৮৯৪ জন। অথচ আমাদের ৩৪টি পাবলিক ভার্সিটিতে আসন সংখ্যা প্রায় ৩৮ হাজার। পাবলিক ভার্সিটিতে পড়ার সুযোগ থেকে যেখানে জিপিএ-৫ পাওয়া স্টুডেন্টরাই বাদ পড়ছে সেখানে অন্যদের বিকল্প চিন্তা করা ছাড়া আর কোন উপায় আছে কি ?
যদি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৫ লাখ আসনও থাকে তাহলেও বাদ পড়ে আরও ২ লাখ স্টুডেন্ট। তাই ঝুঁকি নিয়ে মধ্যবিত্ত শ্রেণির একটা অংশ ভর্তি হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যায় কিংবা মেডিকেলে। নিজের মাথা গোঁজার জমিটুকু বিক্রি করে অনেক বাবা মা এই পড়ালেখার টাকা দেন, স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশের কথা চিন্তা না করে মেসে গাদা গাদি করে থেকে পড়াশুনা কন্টিনিউ করছে অনেকে। সাথে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা যখন তখন টিউশান ফি বাড়িয়ে দিচ্ছে। অথচ এই সব অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকার নীতিমালা না করে উল্টো ভ্যাট বসিয়ে দিল স্টুডেন্টদের উপর!! যদি একান্তই ভ্যাট বসাতে হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মোট আয়ের উপর ভ্যাট বসান, শিক্ষার্থীদের ফি এর উপর নয়।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৬