রাতের আকাশে হাজারো তারার
ভিড়ে আমি একাকী হারিয়ে যেতে চাই ।পারিনা । আনমনে ভেবে অবাক হই ,হারিয়ে যেতেও কি তবে সঙ্গী লাগে!
দুপুরের কড়া রোদে আমি পথে পথে একলা হাঁটি ।হাতের আইসক্রিমটা আধ খাওয়াই
রয়ে যায় ।
আচমকা নামা বৃষ্টি থেকে নিজেকে রক্ষার ব্যর্থ চেষ্টা করতে করতে পাশের হুড খোলা রিকশায় টোনা টুনির খুনসুটি দেখে নিজেকে বড্ড অসহায় লাগে । মনে মনে ভাবি , হায়! বৃষ্টিবিলাস করতেও তবে সঙ্গী লাগে!
ভরসন্ধ্যায় উতলা হাওয়ায় চুল উড়িয়ে ,হাতে কৃষ্ণচূড়া ফুল নিয়ে দরজার ওপাশে কেউ অপেক্ষা করেনা আমার জন্য।
মাঝরাতে মুঠোফোনে কেউ আমায়
মনে করিয়ে দেয় না আজ পূর্ণিমা । চাঁদের আলো তাই অধরাই থেকে যায় ।
শীতের ভোরে আগুন গরম চায়ের কাপ হাতে যখন থাকি ছোট্ট বারান্দাটায় ,আমার পাশে দাঁড়িয়ে কোন চঞ্চল চোখ আমাকে জোড়া শালিক খুঁজে দেয় না ।আমার চোখে পড়ে শুধু ডানা ভাঙ্গা সেই
বিষণ্ণ একলা শালিকটা ।
যখন আমার ভাবনাগুলো ক্লান্তি হয়ে আমার মাঝেই
মিশে যায় , যখন অচেনা সুরে গাই আমার কষ্টগুলো , নিয়ন আলোর বর্ণমালায় লেখা কবিতাটা যখন অপরিচিত মনে হয়,
তখনো কেউ গভীর মমতায়
ছুঁয়ে দেয়না আমাকে ।
তবুও আমি জানি সে আমার খুব
কাছাকাছি আছে।আছে আমার
ইন্দ্র যে আমাকে দাহকালে বৃষ্টির গল্প শোনাবে।রাতের আকাশ
থেকে তাকে এনে দেব তারার মেলার ছবি।
মিলিয়ে নেব আমার স্বপ্নগুলো।
পাশাপাশি হাঁটবো অনন্তকাল।চৈত্রের
শেষ প্রহরে রাঙা আলোয় চোখে চোখ চেয়ে রব।ভালবাসা দিবসে তার হাতে তুলে দেব একগুচ্ছ
কৃষ্ণচূড়া কিংবা রজনীগন্ধা।
বলবো,ভালবাসি তোমায়।
আমি অপেক্ষায় আছি।অপেক্ষায়
আছে একগুচ্ছ কৃষ্ণচূড়া অথবা রজনীগন্ধা।
ইন্দ্র,তুমি আসবে?