somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি আফসোসের কাহিনী :-/

০১ লা এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যখন যেটা পেয়েছি মনে হয়েছে এটা আমার চাইনা, আবার সেটাই যখন পাইনি তখন অস্থির থেকেছি কেন পাচ্ছিনা তাই।

৭/৮ বছর তখন, মনে আছে আমি, বাবা, মা, ভাই কোন এক দাওয়াতে যাবো তাই মহাখালির জলখাবার থেকে মিষ্টি কিনতে থেমেছি। বাবা কি মনে করে যেন আবার দুটা পাটিসাপটা কিলে চার ভাগ করে চারজনকে দিল। আমি এক কামড় খেয়ে আর খাইনি, মনে হয়েছিল খুব বাজে খেতে। কিন্তু যেই মিষ্টি কিনে রওনা করলাম সাথে সাথেই মনে হল, পিঠাটা ওনেক মজা ছিল। ওটার জন্য আফসোস শুরু হল, সেই দু:খে দাওয়াতের খাওয়াও ঠিকমত খাইনি। এই আফসোস অনেকদিন ছিল, শেষ হল যেদিন মা বাসায় সেই পাটিসাপটা পিঠা বানায়।

৬বছর বয়স থেকে আমি আলাদা রুমে একা থেকে অভ্যস্ত। আমার ছোট ভাই একরাতে অনেক আশা নিয়ে আসল আমার সাথে রাতে থাকবে। আমি চার হাতপা ছড়িয়ে শুয়ে থাকলাম যাতে সে শুতে না পারে। অনেক কান্নাকাটি করল, মা অনেক বকা দিল কোনটাতেই কাজ হলনা। শেষ পর্যন্ত ভাই কাঁদতে কাঁদতে মার সাথে যেয়ে ঘুমালো। কিন্তু যেই আমার রুম থেকে চলে গেল সাথে সাথেই মনে হল থাকতে দিলেই তো পারতাম, মজাও হত অনেক কারন অনেক্ষন খেলা ধুলাও করতে পারতাম। সেই আফসোসে অনেক রাত পর্যন্ত জেগে ছিলাম। আফসোসটা আর কোনদিন যায়নি, কারন এরপর আর কোনদিন ভাই আমার সাথে ঘুমানোর জন্য বায়না করেনি।

এমন অনেক আফসোসের কাহিনী আছে যেটা লিখলে মহাগদ্যের আকার ধারন করবে। তাই সব বাদ দিয়ে একদম নতুন আফসোসের কথা লিখছি।

গত বছর যখন সরকার এক ঘন্টা টাইম আগালো মেজাজ খারাপ হল। সকালে উঠলে মনে হত আগের টাইম থাকলে আরো এক ঘন্টা বেশি ঘুমাতে পাড়তাম। অফিস থেকে বাসায় ফিরলে আবারো মেজাজ খারাপ, বাসায় যেতেই ঘুমানোর টাইম হয়ে যায়, ছেলেটাকে সময় দিতে পারিনা। ইত্যাদি ইত্যাদি। আর যখন জানলাম সরকার আর সময় বদলাবেনা তখন আবার আফসোস শুরু। সময়টা বদলালে অন্তত মাঝে মাঝে অফিস থেকে বের হয়ে আলোর দেখা মিলত। স্টার ওয়ার্ল্ডে কিছু সিরিয়াল দেখায় ১০.৩০ এ, ওই সময় ছেলেটাকে ঘুম পাড়াই বলে আর দেখা হয়না, সময়টা বদলালে তো সিরিয়ালের টাইম ১১.৩০ হত। তাহলে তো একটাও মিস করতামনা /:)। এখন সারাদিন এই আফসোস।

এত আফসোস নিয়ে যে কিভাবে দিন কাটে :((

যা পেয়েছি আমি তা চাইনা, যা চেয়েছি আমি তা পাইনা।।:((
১২টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×