somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"ডি" এর গল্প ;)

২৩ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ২:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রোফেশনাল মাস্টার্স কোর্সে আমাদের সাথে "ডি" নামে একটা ছেলে পড়ত। সে ছিল বেশ মোটা আর কালো।
একদিন এক স্যার হঠাৎ তার কাছে জানতে চাইলেন তার এই স্বাস্থ্যের রহস্য। 'ডি' বলা শুরু করল তার স্বাস্থ্য এবং ত্বকের রং এর গুরু রহস্য কাহিনী। সে যখন অনেক ছোট ছিল একদিন গ্রামের বাড়ির পুকুরে সাঁতার কাটতে যেয়ে পানিতে ডুবে গেল। তার এক মামা একটু দুরে দাড়িয়ে ছিলেন, উনি লক্ষ্য করে আসতে আসতেই ডি পুরা পুরি পানির নিচে। একপর্যায়ে খেয়াল করল সে পুকুরের মাটি স্পর্শ করেছে। বাচাঁর জন্য যখন হাত পা নাড়া চাড়া করছে, কিছু পুকুরের মাটি খেয়ে মুখে ঢুকে গেল, যা তার গিলে ফেলা ছাড়া আর উপায় ছিলনা। এই যখন অবস্থা ঠিক তখন তার বীর মামা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে ডাঙ্গায় আনতে সক্ষম হলেন। এই ঘটনার সময় ডি নাকি খুব হালকা পাতলা আর ফর্সা ছিল। কিন্তু পুকুরের মাটি খাবার পরবর্তি এফেক্ট হিসেবে সে মোটা হওয়া শুরু করল, যা এখনও হয়ে যাচ্ছে। সেই পুকুরের মাটি এতই উর্বর ছিল যার কার্যকারিতা এখনও তার শরীরে বিদ্যমান। আর তার শরীরের রং হয়ে গেল সেই পুকুরের মাটির রং। এই কাহিনী শুনে আমারে গিনিস বুক অফ রেকর্ডের কতৃপক্ষকে খবর দেবার তীব্র ইচ্ছা হয়েছিল কিন্তু ঠিকানা জানা না থাকায় তা আর হয়ে উঠেনি।

পাস করার পরপরি ডি বিয়ে করে। আমি, ডি সহ আরো তিনজন একি প্রাইভেট ব্যংকে জয়েন করি। একদিন ডি কে ফোন করলাম অফিসিয়াল কাজে। বিভিন্ন কথার পর তার কাছে জানতে চাইলাম বউয়ের খবর। সে তখন খুশি হয়ে বলল, সে প্ফাদার (ডি এর উচ্চারন এমনি ছিল) হয়েছে। আমি খুবি অবাক হয়ে জানতে চাইলাম, বিয়ে হয়েছে মাত্র তিন মাস আর এর মধ্যেই প্ফাদার!! তখন জানাল যে, সে অনুমান করছে তার ওয়াইফ কনসিভ করেছে কিন্তু এখনও ডাক্তারের কাছে সিওর হবার জন্য যায়নি। আমি আর জানিনা সত্যি সত্যি ডি সেবার প্ফাদার হয়েছিল কিনা, কারন আমি সেই ব্যাংকে বেশিদিন চাকরি না করায় তার সাথে আর যোগাযোগ হয়নি। কয়দিন আগে জানতে পারলাম ডিও ব্যাংক বদলে একটা বিদেশি ব্যাংকে জয়েন করেছে।

সেই প্রাইভেট ব্যাংকে থাকা কালীন একটা এক মাসের ফাউন্ডেশন কোর্স করেছিলাম। সেই মাসটাতে খুবি গরম ছিল আর এই গরমে ডি প্রতিদিন টাইট শার্ট (নাকি শরিরের কারনে টাইট) আর টাই পড়ে আসত। অর্ধেক ক্লাস যেতে না যেতেই দেখতাম ডি গরমে হাঁসফাঁস করছে, তাও টাই খুলতনা, হাজার হোক সে হল এছমার্ট বয়।

খুব জানতে ইচ্ছে হয়, এখনো কি ডি এমন সব অদ্ভুত গল্প করে যাচ্ছে!! আর এখন তো বিদেশী ব্যাংক, নিশ্চই গর্বের সাথে গলায় টাই ঝুলিয়ে অফিস করছে। ডি এর নতুন বলা গল্প কারো জানা থাকলে জানতে চাই ;)
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×