সিভি আপনার অনুপস্থিতিতে আপনার সম্পর্কে কথা বলে। সিভিতে আপনি নিজেকে তুলে ধরেন। এখন ছেড়া নোংরা জামার মতো তুলে ধরবেন নাকি ব্র্যান্ডের আকর্ষণীয় মনোহর করে তুলে ধরবেন, সে আপনার বিষয়। ৯৬% সিভি দেখলেই মনে হয় নোংরা ছেড়া জামার মতো, কোন যত্ন নেই, কোন সিরিয়াসনেস নেই।
নোংরা ছেড়া জামা পরে আপনি কি ইন্টারভিউবোর্ডে যান? জান না। তবে অযত্নে ভরা, ভুলে ভরা, পদের সাথে কোন সংযোগ না বলেই সেই সিভি কীভাবে পাঠান? সেই সিভিটা তখন হয়ে যায় নোংরা জামার মতোই।
সিভিতে চাকুরি পেলে আপনি কিন্তু নতুন নতুন শার্ট, শাড়ি অনেক কিছু কিনতে পারবেন। তাহলে তার যত্ন নিচ্ছেন না কেন? প্রতিটা চাকুরির জন্য সিভিকে প্রতিবার সাজাতে হবে, এবং প্রতিবার আলাদাভাবে। সিভিকে এমনভাবে সাজান, যেন অন্তত ইন্টারভিউবোর্ডে যেতে পারেন।
না জানলে পরামর্শ নিন।
সিভি নিয়ে আসলে কারা সবচেয়ে ভালো বলতে পারবেন? যারা আসলে কমিউনিকেশন স্কিলস খুব ভালো জানেন, তাদের কাছ থেকেই সিভি নিয়ে পরামর্শ নেয়া ভালো।
কারণ কী?
কারণ, সিভি হলো টোটালি একটা কমিউনিকেশন টুল। আপনি আপনার সবকিছু কার্বন কপি করে পাঠিয়ে দিচ্ছেন সিভির প্রতিটা শব্দে।
প্রতিটা শব্দি আপনাকে কমিউনিকেইট করে চাকুরিদাতার সাথে।
সিভি লিখতে হলে জানতে চাই কমিউনিকেশন স্কিলস-
একটা সিভি হতে হবে Complete, Concise, Clear, Concrete, Correct, এবং থাকতে হবে Courtesy ও Consideration এর একটা বোধ।
এখন এই ৭টি বিষয় খুব ভালোভাবে জানলে,
আপনি শুধু সিভি নয়, যা কিছুই লিখবেন সেটাই হবে চমৎকার।
ভুলে ভরা, দুই দিন পাতা কিছু লিখে পাঠালেই কি সিভি হয়ে যায়? কখনোই নয়। সিভি হচ্ছে লেখালেখির মুন্সিয়ানার এক সর্বোচ্চ ধাপ। আর সেই বিষয়টাকেই আমরা খুব সহজ ভাবতে দিয়ে চরম অবহেলা করি, অযত্ন করি এবং তার ফলাফল কী?
ফলাফল হলো ১০০ সিভির মধ্যে ৯৬টি সিভিই বিনে ফেলে দেয়া হয়। মাত্র ৪% (সর্বোচ্চ) সিভি শেষ পর্যন্ত ইন্টারভিউবোর্ডের টেবিলে যেতে পারে।
একটা আগাছামুক্ত সিভি হতে হবে। একটা অতিরিক্ত শব্দ থাকবে না। জায়গা খুবই কম, সেখানে প্রতিটা শব্দ লেখার আগে চিন্তা করুন, কী লিখলে আপনার সিভি ভালো লাগবে।
কথা খুব পরিষ্কার। আগাছায় ভরা কোনকিছুই মানুষ পছন্দ করে না। মানুষ পছন্দ করে নিট অ্যান্ড ক্লিন জিনিস। এবং আরও পরিষ্কার কথা, এই নিট অ্যান্ড ক্লিন সিভি লিখতে জানে মাত্র ৪% মানুষ।
সিদ্ধান্ত আপনার, আপনার সিভি আপনার ব্র্যান্ড হবে নাকি বিনের খোরাক হবে!
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৫৭