বাংলাদেশে ৪ ধরনের মানুষ আছে -
১। যারা শুধু দিয়েই যায়, আরেকজন কী দিলো না দিলো, প্রতিদান দিলো না ক্ষতি করলো তার ধার ধারে না,
২। আরেক ধরনের আছে, যারা পাইলে দেয়, না পাইলে দেয় না,
৩। আরেক কিসিমের আছে, ১ টাকা দিয়ে ১০ টাকা রিটার্ন হিসাব করে,
৪।আরেক পক্ষ কখনো দিতে শিখে নাই, খালি নিতেই জানে!
ভালো থাকে কে জানেন?
দ্বিতীয় ধরনের মানুষগুলো মাথার মধ্যে খালি হিসাব নিকাশ কাজ করে, কিছু দিতে গেলে মস্তিষ্ক ঘাটাতে থাকে, সে আসলে কতটুকু পাইছে, আদৌ পাইছে কিনা কোন উপকার - তারপর সিদ্ধান্ত নেয় অন্যকে দিবে কি দিবে না!
এদের জীবন যায় এইসব হিসাব নিকাশ করতে করতে! মাথাটা সুস্থ চিন্তা করার সময় পায় না কখনো
তৃতীয় ধরনের মানুষগুলো বাংলাদেশে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি। এরা এক কাপ চা খাওয়ানের আগে হিসাব করে কতটাকা রিটার্ন আসবে! যেমন হুলমার্ক গ্রুপের কথা ধরুন - ১০/১৫ টা প্রাডো/পাজেরো ঘুষ দিয়ে ৪ হাজার কোটি টাকা খেয়ে ফেললো! সর্বত্রই এরা আছে। বসের মেয়ের বিয়েতে ২ লাখ টাকার গহনা দিয়ে কিংবা ২০ লাখ টাকার গাড়ি উপহার দিয়ে দুই কোটি টাকার ধান্দা করে থাকে।
চতুর্থ ধরনের মানুষগুলো অবশ্য ভিক্ষুকের মতো! খালি কিছুই না দিয়ে কীভাবে সব পাওয়া যায় - এই হিসাব নিকাশেই এদের মস্তিষ্ক সারা জীবন ব্যস্ত থাকে। এরা সারা জীবন নিয়েই যাবে, এবং সারা জীবনই এদের ভিক্ষুক দশা থাকে।
প্রথম ধরনের মানুষ?
এদের ব্রেনটা থাকে সব সময় ফ্রেশ। দুনিয়ার তাবৎ গবেষণা প্রমাণ করেছে মানুষ মেধা বা ব্রেইন সবচেয়ে অ্যাকটিভ থাকে যখন ব্রেইন থাকে ফ্রেশ! টেনশন মুক্ত, ফালতু হিসাব নিকাশমুক্ত থাকে এদের ব্রেইন।
এরা দিয়েই যায়। কারণ দেয়ার ক্ষমতা এদের বাড়তেই থাকে। কারণ সে সফল হতেই থাকে। আর প্রকৃতির অদ্ভুত নিয়ম হলো, যারা দিয়ে পাওয়ার আশা করে না - তারাই সবচেয়ে বেশি পায়!
প্রথম ধরনের মানুষই রিয়েল স্মার্ট! ভালো থাকে এরাই, পায় বেশি এরাই। বাকি তিন ধরনের মানুষ বলদ ছাড়া কিছুই না।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:০০