ক্যানভাসে আঁটা বন্দিনীরূপে-
উদাত্ত অশ্রুগুলোর বেয়ে পড়া থমকে দিতাম,
এক দু ফোঁটা টপকে পড়লে
তুলির টানে প্রলেপ দিতাম
ঘুচে যাওয়া দুঃখগুলিকে।
ফ্যাকাশে রঙগুলো জেগে উঠত না,
কি বিস্ময়ে সূর্য প্রাখর্যে শুকিয়ে যেত বর্ণহীনতা-
এক চুমুক কষ্ট ছাপিয়ে !
দ্বন্দ্বের সংকটরা ধুয়ে যেত
এক ঝাপটা তুলিভেজা পানির ছিটায়।
কখনও নিথর ক্যানভাস স্ট্যান্ডে দাড়িয়ে থাকতো জীবন,
শক্ত কামড় দিয়ে ধরে রাখা বৈচিত্রহীনতা-
আটকে দিত প্রবাহিত সাদা কার্বন-পেপার।
চুইয়ে পড়া রঙের সারি এঁকে বেঁকে
শুদ্ধ করত শত জনমের পাপবোধ।
বেদনার কাজল গড়ানো দেখে -
কতবার ভ্যানগগ হতে চাওয়া
আর পিকাসোর হাতে অঙ্গুলি সন্ঞারণ;
লেপটে পড়া মোনালিসাতে তোমায় খুঁজতে
নিঃশেষ করা কৌটোর পর কৌটো রঙের আস্তরন।
শুধু একবার আঁচড় পরবে বলে-
গ্যালারীর এফোঁড় ওফোঁড় চষে
প্রদর্শিত ছবি হতে খুটে খুটে আনা একমুঠো রঙের গুঁড়ো
ছিটকে ফেলে রাখি নতুন রঙের খোঁজে।
খোলা আকাশে তবে হোক না আজ,
ময়লা ফুটপাতের ধুলো মেখে--
তোমার ছবি হয়ে উঠা!
হোক না তবু তোমার রক্তে
পিচের রাস্তার ক্যানভাসে--
বুলেটবিদ্ধ ভালবাসা ..।