নারায়নগঞ্জের ৭ হত্যা ও তার পরবর্তী কর্মপ্রবাহ মানুষের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে আমাদের দেশ কি ভয়াবহ রাজনৈতিক দুবৃত্তায়নের কবলে পরেছে। কোন সন্দেহ নেই যে আমাদের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রকাশ্য সহযোগিতায় এবং প্রশ্রয়ে এমনটি ঘটেছে। এমতাবস্থায় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কোনরকম আশ্বাসবাণীতে আস্থা রাখার কোনো্ কারণ আছে কি? জনগণ বলতে গেলে হতাশ ও নেতৃত্বশূন্য অবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থায় আশা ছিলো সুশীল সমাজ একটি শক্ত অবস্থান নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াবেন ও অবস্থা পরিবর্তনে একটি কার্যকর আন্দোলন গড়ে তুলবেন। কিন্তু আমরা দেখছি তারা জনগণের বন্ধু হবার ও তাদের সেবা করার এ সুযোগটি হাতছাড়া করছেন। কারণ তাদের মানসিক দেউলিয়াপনা ও রাজনৈতিক আশ্রয় হাতছাড়া হবার ভয়। আপনি সত্য কথা বললে কেউ না কেউ নাখোশ হবেন। তাই বলে কি চুপ করে থাকবেন। আর বাস্তবতা হচ্ছে সময়ের সত্য কথা সে সময়ের সরকারের বিরুদ্ধে যাবে- যেহেতু তারা সরকার চালাচ্ছেন। এই সাধারণ হিসাবটা সম্ভবত আমাদের সুশীলদের মাথায় ঢুকছে না।
আসলে বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় এ সমস্যাগুলোর সমাধান কিভাবে সম্ভব । যে সমস্ত রাজনৈতিক দল ও সরকার অজস্র নূর হোসেনেদের স্রষ্টা দুর্ধর্ষ গডফাদারকে এমপি বানায় এবং পৃষ্ঠপোষকতা করে সেই সরকার থাকা অবস্থায় এর সমাধান সম্ভব নয়। যদি তাই সম্ভব হয় তাহলে কালা জাহাঙ্গীরদের দিয়ে সরকার গঠন করলেও দেশ ভালো চলবে। আসলে বর্তমানে প্রয়োজন পরিবর্তন। এবং সেটা যত দ্রুত হয় তত মঙ্গল। কোন ধরণের রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব নয়, সুচিন্তিত মতামত হলো- বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতা ও সরকারে পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত স্বস্তির অবস্থানে পৌঁছানো সম্ভব নয়। এখানে আওয়ামি লীগ বা বিএনপি কোনো প্রশ্ন নয়। এ স্বত:সিদ্ধকে সামনে রেখে যদি সুশীল সমাজ জনগণের সামনে চলে আসতেন- তাহলে তারা জনগণের কাছে ত্রানকর্তা হিসেবে চিন্হিত হতে পারতেন। কিন্তু তারা সেরকম দৃশ্যমান কোনো অবস্থান গ্রহন করেননি। এখন আমরা পারি কেবল দোয়া করতে। একজন ত্রানকর্তার জন্যে । আসুন আপাতত দোয়া করি। আর দেশের ডাকে দেশের কল্যানে করণীয় নিয়েও ভাবি। এখন আর উটপাখির মত মুখ লুকিয়ে থাকলে হবে না। যার যার অবস্থান থেকে আমাদের প্রচেষ্টা হোক দেশের কল্যানে নিবেদিত।