তীর্থের কাঁক
নাজিম হাসান
যতদূর মনে পড়ে, তোমার গোধূলি অনেক ভালো লাগতো,
সেদিন বিকেলের পর বুকের রক্তিম ভালবাসা আকাশের নীল আঁচলে মেখে দিয়েছিলাম।
তুমি নিশ্চয়ই দেখনি, তাই না?
আচ্ছা, তোমার তো ঘাসের বুকে ভোরের শিশিরের ঝলমল ভালো লাগতো,
তুমি কি আর কোনদিন হেঁটেছিলে খালি পায়ে ঘাসে?
হাঁটোনি, তাই না?
হাঁটলে তুমি দেখতে পেতে, ঘাসের বুকে অশ্রু কতটা নির্মল দেখায়।
যতদূর মনে পড়ে, সন্ধ্যার নামাযের পর তুমি উদাস হয়ে কিছু ভাবতে,
তুমি কি এখনও তেমনি ভাবো?
ভাবলে ঠিকই তোমার ভাবনা জড়িয়ে খুঁজে পাবে কারো দীর্ঘশ্বাস।
আচ্ছা, মনে আছে তুমি হঠাৎ তোমার ঘরে আসা জোনাকি দেখে কতো খুশি হতে?
মনে নেই তো?
আমি জানি, আর তাইতো আমার চারিদিক জুড়ে শুধু আজ জোনাকির সমাধি।
তুমি ভুলে গেছো; তাই না? নীল রঙয়ে কতো সুন্দর লাগতো তোমাকে।
আর তাই আজ আমার সূর্য থাকার পরও আকাশ নীল রাঙ্গা শাড়ি পড়েনা।
যতদূর মনে পড়ে, তুমি তোমার চারিপাশে আমায় খুঁজতে।
এখন হয়ত আর খুঁজো না।
খুঁজলে তুমি বুঝতে পারতে এক একটা রাত কতো দীর্ঘ।
আচ্ছা, তুমি কি ভুলে গেছো শীতে তোমার ঠাণ্ডা পায়ে আমার হাতের তালুর উষ্ণতা?
আমি জানি তুমি ভুলে গেছো।
আর তাই তো আজ আমার হাত জুড়ে শীতলতার রেখা।
তুমি সব ভুলে যাও, না বলব না আমি।
ডাকব না আর পিছু।
মনে রেখো, আছে তীর্থের কাঁক আজও প্রতীক্ষায়।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:১১