পায়ে হেঁটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম- প্রথম পর্ব
পায়ে হেঁটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম- দ্বিতীয় পর্ব
পায়ে হেঁটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম- তৃতীয় পর্ব
পায়ে হেঁটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম- চতুর্থ পর্ব
পায়ে হেঁটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম- পঞ্চম পর্ব
হেল দ্য হাইওয়ে
শেষ পর্বঃ চির উন্নত মম শির
ভোরের আলো ঠিকমতো চোখ মেলার আগেই মহাসড়কে পা পড়লো। ক্ষণস্থায়ী কুয়াশার উত্তরীতে আবৃত ৫ জুনের শনিবারের ঊষাকাল। পথ চলছি মৃদুমন্দ বাতাসের বিপরীতে। সূর্য তার তেজোদীপ্ত রূপে চারিপাশ ঝলসে দেওয়ার প্রস্তুতি এখনো নিয়ে উঠতে পারেনি। শহরতলীর মানুষজন এখনো আড়মোড়া ভেঙে বিছানা ছাড়েনি। ভোরের পাখিরা নীড় ছেড়ে বেগুনী আকাশ পানে উড়াল দিয়েছে কেবলমাত্র। দূরের শিল্প নগরীর সুউচ্চ চিমনি তার লম্বা নল দিয়ে ধোঁয়া উদ্গিরণের অপেক্ষায় নিশ্চুপ। রাতজাগা কুকুরগুলো মহাসড়কের এক কোণে নিশ্চিন্তে গুটিসুটি মেরে শুয়ে আছে; পাশ ঘেঁষে চলে যাওয়া বাস-ট্রাকের নীচে পিষে মরার ভয়ে তারা একটুও ভীত নয়। চেষ্টা করলাম স্মৃতির ধূসর অ্যালবাম ঘেঁটে আর ক্রনিকলের পুরনো পাতা দেখে চট্টগ্রাম এক্সপেডিশনের শেষদিনের শুরুটা বর্ণনার।
ভোর ৫:১১... আজ অনেক তাড়াতাড়ি বের হই। এই ছয়দিনের মধ্যে আজকেই সবচেয়ে আগে আগে যাত্রা আরম্ভ করি। অবশ্য মহাসড়কে নেমেই সকালের নাস্তাটা সেরে নিই। ৫:২৯ মিনিটে পার হই হযরত পীর বারো আউলিয়া (রঃ) দরগাহ শরীফ। ভোরের দরগাহ শরীফও কম ব্যস্ত না। সামনে এগোলাম। টানা কতগুলো কিলোমিটার পোস্টের তথ্য টুকলাম। একেকটা সিমেন্টের নিরেট স্ল্যাব পার হচ্ছি আর কেমন যেন নির্লিপ্ত হয়ে যাচ্ছি। ‘এতদিনের’ চলার পথ আর একটু পরেই শেষ হয়ে যাবে... আর ‘গুটিকয়েক’ কিলোমিটার পাড়ি দিলেই আমি পৌঁছে যাবো আমার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে! পিছনের দুঃখ-সুখের মিশ্রিত অনুভূতি সামনে চলে আসছে। ডানহাতের ময়লা রিষ্ট ব্যান্ড দিয়ে কপালের ঘাম মুছলাম। প্যান্টের বা’পকেট থেকে বের করলাম পাশ কুঁকড়ানো লম্বাটে ক্রনিকলটা। সামনে অপেক্ষায় আরেকটা কিলোমিটার পোস্ট। তাতে লিখা চট্টগ্রাম ২০; আর ঢাকা? ২২৫
৬:৪৭ মিনিটে কদম রসূল বাজারে পৌঁছলাম। ডান পায়ের ব্যথাটা একটু বেশিই অনুভূত হচ্ছে। বা’পায়েরটার কথা নাই বা বললাম। অধিক শোকে পাথর হয়ে যাবার মতো এই ব্যথা অনুভূতির সীমা পার করে গেছে অনেক আগেই। কিন্তু ডান পায়ের মাসল পুলের অল্প ব্যথায় কাতর না হয়ে পারছি না যে। চলার গতি ইচ্ছা করেই ধীর করে ফেললাম। ধীর কদমের দৃপ্ত পদক্ষেপ নিয়ে ৭:১৩ মিনিটে পৌঁছলাম একটা হাটে। মাদাম বিবির হাট। আস্তে ধীরে ব্যস্ত হতে শুরু করেছে হাটগুলো, বাজারগুলো, আশেপাশের শিল্প-কারখানাগুলো... মানুষগুলো। কেবল আমিই যেন নির্ভার হয়ে হেঁটে যাচ্ছি ব্যস্ত মানুষের ভিড়ে।
৭:৪০ মিনিটে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি (BMA) লিখা একটা সাইন পোস্ট দেখলাম এবং সাথে একটা ভাস্কর্য। নাম- স্মৃতি অম্লান। এর মিনিট দুই বাদে সবুজ পাহাড়ের উপরে চোখ পড়লো। সেখানে লিখা... চির উন্নত মম শির। বিদ্রোহী কবির এই চরণখানি আমাদের বীর সেনাবাহিনীর আপ্তবাক্য। আশেপাশের এইসব দেখে বুঝে গেলাম যে, এখন আমি ভাটিয়ারীতে আছি। একটু পরেই বা’দিক দিয়ে BMA তে যাওয়ার একটা সড়ক চলে গেলো। সবুজে ঘেরা ঐ দূর পাহাড়ের ওপাশে হয় যোদ্ধা তৈরির কঠোর পরিশ্রম, নিরন্তর সাধনা... মাথার ভিতর ঢুকিয়ে দেওয়া হয় চির উন্নত মম শিরের ধারণা। অনেকক্ষণ ধরে দেখলাম পাহাড়ের উপর লিখা সেই কথাটি। পথ চলতে চলতে তা একসময় অক্ষির অগোচরে চলে গেলো; কিন্তু মনে বাজতে লাগলো, মাথার ভিতরে অনুরণিত হতে লাগলো... চির উন্নত মম শির।
৮:১৮ মিনিটে আহমাদকে ফোন করলাম। ও চট্টগ্রামে পৌঁছে গেছে কিন্তু গন্তব্যে এসে পৌঁছায় নাই। আমার মতোই। ৮:২৫ ও ৩২ মিনিটে যথাক্রমে ফৌজদারহাট পুলিশ স্টেশন ও ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ পার হলাম। ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এটিই বাংলাদেশের প্রথম ক্যাডেট কলেজ। একটু পর বিভিন্ন জায়গার নির্দেশনা সম্বলিত আরেকটা সাইন পোস্ট দেখলাম। সোজা মহাসড়ক ধরে গেলে পাওয়া যাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, কাপ্তাই, রাঙামাটি ও চট্টগ্রাম; আর ডানে চলে গেছে পোর্ট লিঙ্ক রোড। আমি তখন জানতাম না যে, এই রোড ধরে কিছুক্ষণ হাঁটলেই আমি সমুদ্র দর্শন করতে পারবো। এও জানতাম না যে এতক্ষণ আমি (মোটামুটি) সাগর সৈকতের সমান্তরালে হেঁটেছি! সামনে একটা ফ্লাইওভারের মতো দেখা যাচ্ছে। চট্টগ্রামের এই জায়গায় ফ্লাইওভার? কি নাম এর?
লোকমুখে শুনলাম, এইটা ফ্লাইওভার না; ওভারব্রিজ। ফকিরহাট ওভারব্রিজ। ওভারব্রিজের কিছু আগে সড়কের ডানদিকে নার্সিং কলেজ চোখে পড়লো। পুরো ওভারব্রিজ পার হতে সাত মিনিট সময় লাগলো। ওপারে গিয়েই অনেকক্ষণ পর একটা অক্ষত কিলোমিটার পোস্ট দেখলাম। অনেকক্ষণ পর- কথাটা বলার কারণ হল, ৭:০৭ মিনিটে চট্টগ্রাম ১৯ লিখা কিলোমিটার পোস্টটার পরে আরো চারটা পোস্ট আমার চোখে পড়ে। কিন্তু তার কোনটায় হয় কিছুই নেই, না হয় আংশিক আছে। আর আংশিক যা ছিলও অতি কষ্টে তার পাঠোদ্ধার করার পর দেখলাম, এখানে চট্টগ্রামের দূরত্বটা নেই। আছে কেবল ঢাকা আর সীতাকুণ্ডের দূরত্ব। এইটা দিয়ে করবোটা কি! তয় করবোটা কি বলে কিছু করি নাই তা কিন্তু না। তথ্য টুকে রেখেছি ঠিকই। যাইহোক, কিলোমিটার পোস্টটা থেকে জানতে পারলাম, চট্টগ্রাম আরো ১২ কিলোমিটার দূরে।
পোর্টো গ্র্যান্ডে, ইসলামাবাদ কিংবা প্রাচ্যের রাণী, ইত্যাদি নানা নামে পরিচিত বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। একটু পরেই আমি ঢুকতে যাচ্ছি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরের প্রবেশদ্বার দিয়ে। চট্টগ্রাম তোরণ। বিভিন্ন রকম বিজ্ঞাপন আর পোস্টার দিয়ে নিচ থেকে যতটা পারা যায় উপর পর্যন্ত মোড়ানো তিনটা স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে দুইটা আর্চওয়ে। লালরঙা চট্টগ্রাম তোরণের ঠিক নীচে যখন আমি তখন আমার ক্যাসিও ঘড়িতে সময়- সকাল ৯টা বেজে ১৮ মিনিট। একটু পর রাস্তার পাশের এক দোকান থেকে আহমাদকে আবার ফোন দিলাম। ও পৌঁছে গেছে। এখন আমার পালা। সকাল সাড়ে নয়টায় পৌঁছলাম কর্নেল হাটে। আট মিনিট পরে ঢেউটিন মার্কেটে। আর তারও বারো মিনিট পরে অলংকার পুলিশ বক্সের সামনে। ওখানকার স্থানীয় কয়েকজনের কাছ থেকে চট্টগ্রাম শহরের কেন্দ্রস্থল নিউমার্কেট জিরো পয়েন্ট যাওয়ার রাস্তাটা জেনে নিলাম। এক পুলিশ অফিসার জানালেন, সোজা গেলে আপনার লাভ নাই। সামনে আর রোড নেই। আপনি যেহেতু নিউমার্কেট যাবেন; অতএব বা’দিকের এই রাস্তাটা ধরেন। এইটা দিয়ে চলে যান। সবাই যখন একই কথা বলছে তো কি আর করা। আর তাছাড়া এই প্রথম আমার চট্টগ্রাম আসা। আগে কখনোই আসিনি এই নগরীতে। বাঁক নিলাম ডানদিকে। লক্ষ্য- নিউমার্কেট জিরো পয়েন্ট।
অলংকার পুলিশবক্স থেকে ডানে মোড় নেওয়ার পর একেবারে গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত ক্রনিকলে আর কিছু তুলি নাই। তবে এইটা মনে আছে, আমি পাহাড়তলি ও টাইগার পাস হয়ে নিউমার্কেট পৌঁছাই এবং কম করে হলেও ছয়জনের কাছ থেকে বিভিন্ন জায়গায় একই কথা শুনি, নিউমার্কেট? সেটা তো এই দু-তিন কিলো পরেই। সেই এক মজার আর বিরক্তিকর কাহিনী। পাহাড়তলিতে প্রথম একজনকে জিজ্ঞাসা করি জিরো পয়েন্টের কথা। উনি বললেন, এই তো দু-তিন কিলো পরেই। ওকে, ভালো কথা। হাঁটি আরো দু-তিন কিলো। কিন্তু সেকি! প্রায় ২০ মিনিট ধরে হেঁটে আবার যখন আরেকজনকে জিজ্ঞাসা করলাম, সেও একই কথাই বলে। এই তো বেশি না। আমি বললাম, বেশি না টা কত? উনি আগেরজনের মতোই সুধালেন, দু-তিন কিলো। আবার দু-তিন কিলো! যথা আজ্ঞা। হাঁটলাম আরো মিনিট ত্রিশেক।
এই তো, সামনে। দু-তিন কিলোর মতো হবে। ঘণ্টাখানেক হাঁটার পর তৃতীয়বারের মতো আরেকজনের কাছে শুনলাম সেই একই কথা। মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো। ভিতরে ভিতরে দাঁত পিষতে পিষতে আরো বিশ মিনিটের মতো হাঁটলাম। আরেকজনকে জিজ্ঞাসা করলাম। সেও একই কথা বলে, দু-তিন কিলো। ততক্ষণে আমার মাথায় অন্য চিন্তা আসলো। আচ্ছা, আমি একইপথে বার বার আসছি না তো? একই রাস্তা রিপিট করছি না তো? নিশ্চিত হওয়ার জন্য এক পুলিস ভাইয়ের কাছে গেলাম। উনি শুনে বললেন, না, আপনি ঠিক রাস্তাতেই আছেন। আরেকটু হাঁটতে হবে। আমি ততক্ষণে বিরক্তির চোটে সেইরকম ক্লান্ত। বললাম, আরেকটুটা কতটুকু? বললেন, বেশি না। আপনার জন্যে কমই। তিন-চার কিলো। যাক, তাও ভালো। দু-তিন কিলো তো আর শুনতে হয় নাই এইবার।
পুলিস ভাইয়ের তথ্য সত্য ছিল না। আমি টাইগার পাস পার হওয়ার পর আরেকজনের কাছে শুনলাম। উনিও সেই দু-তিন কিলোর পুরানো ডায়লগই দিলেন। এক সময় আমার মনে হতে লাগলো, এতদিন যে পরিমাণ হেঁটেছি এইবার মনে হয় তার থেকেও বেশি হাঁটতে হবে আমায়! তাছাড়া আর কিই বা ভাববো বলেন? কেউ যদি আমাকে এইটা বলতো যে, দশ-বারো কিলো। সেইটাও ভালো ছিল। পরবর্তী সময়ে আরো তিনটা এক্সপেডিশনে গিয়ে আমি এই বিষয়টা ধরতে পারি। শহর কিংবা শহরতলীর বাসিন্দারা কিলোমিটার পোস্টের হিসাবটা অত ভালো বোঝে না। এটা তাদের দোষ না। শহরের ভিতরে তো আর কিলোমিটার পোস্ট থাকে না। আর ব্যস্ত শহরের এই ঠাস বুনটের ভিড়ে কয়জন মানুষই বা পায়ে হেঁটে চলাচল করে? কিন্তু না, শেষের জনের দু-তিন কিলো বলাটা ঠিকই ছিল। টাইগার পাস পার হবার দুই কি তিন কিলোমিটার হাঁটার পরেই নজরে পড়লো নিউমার্কেটের সেই কাঙ্ক্ষিত ছোট্ট গোল চক্করটা। আস্তে আস্তে হেঁটে গেলাম সেইদিকে। আবেগে আর উচ্ছ্বাসে পা চলছিল না আমার। মাথা নিচু করে হঠাৎই কুঁজো হয়ে হাঁটতে লাগলাম। আর তারপর... বেলা ১১:৩৩ মিনিটে পৌঁছে গেলাম পোর্টো গ্র্যান্ডের জিরো পয়েন্টে। শেষ হল আমার ৫ দিন ৪ ঘণ্টা ১৯ মিনিটের দীর্ঘ যাত্রা। শেষ হল যাত্রাপথ।
তারপরের কথা...
আহমাদের সাথে দেখা হল নিউমার্কেটের সামনেই। অনেক দিন পর পরিচিত একটা মুখ দেখে ওকে জড়িয়ে ধরলাম। আপনাকে চেনাই যাচ্ছে না, ভাইয়া! আহমাদের কথার সত্যতা পেতে একটা আয়নার সামনে এসে দাঁড়ালাম। চমকে উঠলাম নিজেকে দেখে। এই আমি! এরকম হয়ে গেছি! পুরো মুখ রোদে পুড়ে তামাটে বর্ণ ধারণ করেছে। চোখগুলো ছোট ছোট হয়ে গেছে। উঠেছে খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি। মুখজুড়ে ছেয়ে আছে একরাশ রুক্ষতার ছাপ। এইবার বুঝলাম কেন বিভিন্নজনের কাছে আমি আর্মির লোক বলে মনে হয়েছিলাম।
চট্টগ্রাম এক্সপেডিশন আমাকে পুরোপুরি অন্য মানুষে রূপান্তরিত করে দেয়। ইংরেজিতে একটা কথা আছে- Transmogrification। আমার ক্ষেত্রে ঠিক এই জিনিসটাই ঘটেছিল। জীবনে আর যত এক্সপেডিশনেই যাই না কেন, যত দুর্গমতাকেই জয় করি না কেন, যত প্রতিকূলতাকেই বশে আনি না কেন, কি কারণে যেন মনে হয় তাদের কোনটাই কখনো চট্টগ্রাম এক্সপেডিশনের সমান্তরালে বা ধারে কাছে আসতে পারবে না। কয়েকবার নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরে আসা কিংবা মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখা; মচকানো পা নিয়ে প্রায় দু’শো কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়া কিংবা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বৃষ্টিতে ভেজা; ভোরের আলোয় পথ চলা কিংবা আঁধার রাতের গহিনে পথ খোঁজা; চেনা আকাশের নীচে অচেনা পথের দু’পাশের নানা রকম, ধরন আর চলনের মানুষের সাথে পরিচিত হওয়া- এরকম আরো অনেক স্মৃতিতে অম্লান হয়ে আছে এবং চির অম্লান হয়ে থাকবে আমার এই চট্টগ্রাম অভিযাত্রা।
পরিশেষে...
আল্লাহ্ তায়ালার অশেষ রহমতে এরপরে আমি আরো বেশ কয়েকটা এক্সপেডিশনে বের হই। একা একাই পথে নামি। একাই চলি পথ, একাকী পাড়ি দেই দূর গন্তব্য। আমার দ্বিতীয় এক্সপেডিশন ছিল ২০১০ সালের ৩ নভেম্বরে। ঢাকা থেকে বাংলাদেশের সর্বউত্তরের বিন্দু বাংলাবান্ধায়। ৫০০ কিলোমিটারেরও অধিক পথের এই এক্সপেডিশনে আমার ১৩ দিন সময় লাগে। তৃতীয় এক্সপেডিশন ছিল ঢাকা টু সিলেট। ২৪০ কিলোমিটারের এই পথ পাড়ি দিতে ৬ দিন সময় লাগে। এই ট্যুর ২০১২ সালের ২১ মার্চে দিই। আর সর্বশেষটা ছিল (এখন পর্যন্ত) ঢাকা থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরের সুন্দরবনবিধৌত খুলনা। ২০১২ সালের ২২ আগস্ট ঈদুল ফিতরের পরের দিন থেকে শুরু হয় ৮ দিনের এই চতুর্থ এক্সপেডিশন। সব একে একে শেয়ার করবো, ইন শা আল্লাহ্...
(আপাতত সমাপ্ত)