দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের প্রতি দূর্বার আগ্রহ সেই কলেজ লাইফ থেকে। আগ্রহের আতিশয্যে নটরডেম কলেজের সেই রঙিন দিনগুলো কাটাতাম সাদাকালো বইয়ের পাতায় পাতায়। কলেজের লাইব্রেরীতে ছিলও অনেক বই। কিছু বই ছিল অনেক পুরাতন। ৪০-৫০ বছর বয়স তো হবেই কোন কোনটার। ডিপজল চেহারার আর হিটলার হৃদয়ের লাইব্রেরিয়ানরাও আমাকে এক পর্যায়ে কিছু বলতো না। অল্প ক'দিনের ভিতরই তারা জেনে গিয়েছিল আমার অদম্য নেশার কথা... এরপর সময়ের পরিক্রমায় ধূসর অ্যালবামে চলে গিয়েছিল মহাযুদ্ধের সবকিছু। হঠাৎ একটু আগে নজরে পড়লো... গতকাল ৬ জুন (যা ইতিহাসে ডি-ডে নামে পরিচিত) ছিল নরম্যান্ডি অভিযানের ৭০তম বার্ষিকী। অথচ আমি বিস্মৃত... কেন ভুলে গিয়েছিলাম তার ব্যাখ্যা পরে দিই? আসেন, আগে দেখে নিই নরম্যান্ডি অভিযান এবং তাকে কেন্দ্র করে আগে ও পরে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনার সচিত্র বর্ণন...
এক কাগজে ফ্রান্সের নরম্যান্ডি। কালো কালিতে মিত্র পক্ষের আক্রমণের পরিকল্পনা; অন্যদিকে লাল কালিতে অক্ষ শক্তির অন্যতম সদস্য হিটলারের জার্মানির অবস্থান।
৮ম পদাতিক বাহিনীর উটাহ বীচের ল্যান্ডিং প্ল্যান।
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যরা ওয়েমাউথের (ইংল্যান্ডের এক সমুদ্রঘেঁষা শহর) এক রাস্তা দিয়ে মার্চ করতে করতে ডকের দিকে যাচ্ছে। সেখানে তারা আক্রমণের জন্য প্রস্তুত করে রাখা বিমানে গিয়ে উঠবে।
১০১ এয়ারবোর্ন ডিভিশনের গোলন্দাজ কম্যান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল অ্যান্থনি সি ম্যাকঅলিফে উড্ডয়নের পূর্ব মুহূর্তে তার গ্লাইডার পাইলটদের শেষ মুহূর্তের ব্রিফিং দিচ্ছেন।
ডি-ডের প্রাক্কালে ইংল্যান্ডে... জেনারেল ড্যুইট ডি আইজেনহাওয়ার প্রথম আঘাতের জন্য আদিষ্ট আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ছত্রীবাহিনীর সদস্যদের সাথে কথা বলছেন।
মহাযুদ্ধের গ্রাফিতি... THE CHANNEL STOPPED YOU BUT NOT US. NOW IT'S OUR TURN...
ইংল্যান্ডের কোন এক জায়গায়... ওমাহা বীচে প্রাথমিক আক্রমণ শানানোর জন্য পানিতে ভেসে থাকা ল্যান্ডিং ক্র্যাফট ট্যাংক ও ল্যান্ডিং শিপ ট্যাংকে জীপ, ট্রাক, ইত্যাদি আরো অনেক কিছু তোলা হচ্ছে।
দক্ষিণ ইংল্যান্ড... ১৯৪৪ সালের মের শেষ কিংবা জুনের প্রথম... ৭৪১ ট্যাংক ব্যাটালিয়নের এ কোম্পানির এ৪ শেরমান ট্যাংকগুলি রওয়ানা হয়েছে ফ্রান্সের রণাঙ্গনে অংশ নেওয়ার জন্যে।
অস্ত্রসমেত কোস্টগার্ড অ্যাসল্ট ট্রান্সপোর্ট শিপের ডেকে অপেক্ষমাণ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যরা।
৩... ২... ১... মার্ক... পরস্পরের সাথে সিঙ্ক্রোনাইজ করে নিচ্ছে মিত্রবাহিনীর অগ্রবর্তী প্যারাজাম্পাররা। এরাই ছিল ডি-ডে অভিযানের প্রথম সৈন্য যারা আক্রমণের জন্য ল্যান্ডিং জোন মার্ক করার দুঃসাহসী ও আত্মবিধ্বংসী দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়।
এমজি৪২ ভারী মেশিনগান নিয়ে শত্রুবধের অপেক্ষায় এক জার্মান সেনা।
বন্দর নগরী চিয়ারবার্গের এক বাঙ্কারে স্থাপিত এক জার্মান মারণাস্ত্র।
ফ্রান্সের উটাহ বীচের ব্যাপকভিত্তিক প্রতিরক্ষাব্যবস্থার একটি অংশ... বালুর মাঝে একটি উত্থিত মাইন।
নৌ ও আকাশ পথে নরম্যান্ডির দিকে ধেয়ে আসছে মিত্রশক্তির এক বিশাল বহর।
নরম্যান্ডির পথে...
৬ জুন ভোর পেরিয়ে ৬:৩০... নরম্যান্ডির ওমাহা বীচের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে মিত্রপক্ষের অগ্রবর্তী দল।
একটি বিখ্যাত স্থিরচিত্র। এই ছবিটির হুবহু রোমন্থন করা হয় স্টিভেন স্পিলবার্গের সেভিং প্রাইভেট রায়ান মুভিতে। সময়টা ৬ জুনের সকাল... ওমাহা বীচের ডগ গ্রীন সেকশনের দিকে পানি ডিঙিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ই (E) কোম্পানির একদল অকুতোভয় বীরযোদ্ধা। তবে জার্মানির ৩৫২তম ডিভিশনের মুহুর্মুহু হামলায় এই কোম্পানির দুই-তৃতীয়াংশ হতাহতের শিকার হয়।
ইউএসএস হবসনের ডেকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নিক্ষিপ্ত গোলার পরিত্যক্ত খোলস।
উটাহ বীচের দিকে গোলাবর্ষণরত ইউএসএস নেভাডা।
প্রতিপক্ষের দুর্বার আক্রমণে একের পর এক দুর্গ ভেঙে যাচ্ছে আর তা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে জার্মান সৈন্যরা...
নরম্যান্ডির ডমফ্রন্টের রেল যোগাযোগের উপর আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমানের বোমাবর্ষণ।
যুদ্ধপ্রিয় মানুষের কাছে এটি একটি নাইস শট; কিন্তু আমার কাছে এটি স্রেফ যুদ্ধের প্রকাশ্য নগ্নতা। বোমাবর্ষণরত মিত্রশক্তির একটি এ-২০ ডগলাস হ্যাভক।
ভাঙা মাজল নিয়ে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে একটি ৮৮মিমি জার্মান মেশিনগান।
দেখে কি কেউ বলতে পারবেন কি অক্ষত আছে এখানে? নরম্যান্ডির প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সেইন্ট লৌ শহর আর তার রেল স্টেশনের ৯৫ ভাগই ধ্বংস হয়ে গেছে মহাযুদ্ধের বিভীষিকায়।
নিকষ কালো রজনীতে অনিশ্চিতের পানে ঝাঁপ দেওয়ার প্রাক্কালে মিত্রপক্ষের এক ছত্রীসেনা। ১৯৪৪ সালের ৬ জুন তোলা।
৬ষ্ঠ এয়ারবোর্ন ডিভিশনের টেট্রার্ক লাইট ট্যাংক নিয়ে যাচ্ছে মিত্রবাহিনীর হ্যামিলকার গ্লাইডার। ছবিটি ৬ জুন ফ্রান্সের র্যানভিলে গ্রামের কাছাকাছি কোন জায়গা থেকে তোলা। র্যানভিলে ছিল ফ্রান্সের প্রথম গ্রাম যা ডি-ডের পর স্বাধীন হয়।
জীপ ও লাগোয়া ট্রেইলারে করে ল্যান্ডিং ড্রপ জোনের দিকে যাচ্ছে একদল ব্রিটিশ রাইফেলম্যান; পাশে বিধ্বস্ত এয়ারস্পীড লিমিটেডের তৈরি একটি হোরসা গ্লাইডার (Horsa glider)।
গোল্ড বীচের একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত জার্মান বাঙ্কার। পাশে হেলান দিয়ে থাকা সাইকেলটি যেন ইতিহাসের অন্যতম ধ্বংসলীলার নীরব প্রত্যক্ষদর্শী।
৬ষ্ঠ এয়ারবোর্ন ডিভিশনের দু'জন সৈন্য র্যানভিলে গ্রামের কাছাকাছি অবস্থিত এক রোড জাংশনে পাহারা দিচ্ছে। দূরে দাঁড়িয়ে এক হোরসা গ্লাইডার। ডানদিকের সাইনবোর্ডে জার্মান ভাষায় লিখা "Umgehung" এর ইংরেজি হল "Bypass"।
আরো একটি দল এগিয়ে যাচ্ছে ওমাহা বীচের দিকে। দূরের সাদা ধোঁয়া মিত্রপক্ষের সাপোর্টিং ন্যাভাল গান ফায়ার।
ধোঁয়াশাপূর্ণ আর বিশৃঙ্খলাময় সোর্ড বীচের দিকে এগিয়ে আসছে ব্রিটিশ কম্যান্ডোরা।
ডি-ডে... ব্রিটিশ কম্যান্ডোরা ধেয়ে আসছে লা রিভিয়েরে (La Riviere) এর গোল্ড বীচের দিকে...
ল্যান্ডিং ক্র্যাফট থেকে ওমাহা বীচের দিকে আসছে মিত্রপক্ষের সৈন্যরা। দূরে বিধ্বস্ত সামরিক যুদ্ধযান।
জুন ৬, ১৯৪৪... ওমাহা বীচের পয়েন্তে দ্য হকের খাড়িতে মই বেয়ে উপরে উঠে আসছে মিত্রপক্ষের রেঞ্জার ব্যাটালিয়নের সৈন্যরা।
কঠিন দায়িত্ব আর দুর্ধর্ষ মিশন নিয়ে সোর্ড বীচের অন্তরীপের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ব্রিটিশ রয়াল মেরিন কম্যান্ডোরা। পিছনে দেখা যাচ্ছে ঊর্ধ্বাকাশে আনত চার্চিল ট্যাংক ব্রিজ লেয়ার।
নরম্যান্ডির জুনো বীচের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে কানাডিয়ান সৈন্যরা।
আরো একটা রঙিন ছবি পাওয়া গেলো তাইলে... জুনো বীচের দিকে হেঁটে যাচ্ছে একদল কানাডিয়ান সৈন্য... অদূরে এক বিধ্বস্ত গ্রাম।
জুনো বীচের জার্মান মানচিত্র পর্যবেক্ষণ করছে দুই কানাডিয়ান সৈন্য।
শত্রুর আঘাতে ডুবে যাওয়া ল্যান্ডিং ক্র্যাফটের সৈন্যদের তীরে উঠতে সাহায্য করছে সহযোদ্ধারা।
ডি-ডের দু'দিন পর... ওমাহা বীচের পয়েন্তে দ্য হকে রিলিফের জন্য অপেক্ষমাণ রেঞ্জারের সৈন্যরা। সেম সাইড ঠেকাতে মাটিতে বিছানো Stars & Stripes আর একটু দূরেই মাথার পিছনে দু'হাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে জার্মান বন্দিরা। Stars & Stripes কি জানেন? এটি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের পতাকার একটি নিকনেম।
নাৎসি অপশাসনের অবসানের নিমিত্তে এক রক্তাত্ত পদক্ষেপের উপক্রমণিকার এই সেই বিখ্যাত ছবি...
নরম্যান্ডি তীরের আরেকটি মহাযজ্ঞের নমুনা...
৩য় ব্যাটালিয়ন, ১৬তম পদাতিক রেজিমেন্ট, ১ম ইউএস পদাতিক ডিভিশনের কিছু আহত সৈন্য। এরাই ছিল ওমাহা বীচের স্বাধীনতায় অগ্রবর্তী দল।
আহত সহযোদ্ধার সেবার নিমিত্তে সদ্যস্বাধীন ওমাহা বীচের চিকন তটরেখা ধরে হেঁটে যাচ্ছে মিত্রপক্ষের এক মেডিক।
ডি-ডের দু'দিন পর... গোল্ড বীচের অন্তরীপের দিকে ক্রোমওয়েল ট্যাংকের একটি কলাম এগিয়ে যাচ্ছে।
সেইন্ট লৌ এর দুই জার্মান যুদ্ধবন্দী।
ঝোপঝাড় আর কাঁটাঝোপ... মহাযুদ্ধের দুই পক্ষেরই শত্রু
না, কাউকে সংগিন দিয়ে কিছু করছে না... পরিখা খননে ব্যস্ত ১ম স্পেশাল সার্ভিস ব্রিগেডের এক কম্যান্ডো।
বিধ্বস্ত হোরসা গ্লাইডারকে কভার হিসেবে ব্যবহার করে জার্মান রুখতে এগিয়ে যাচ্ছে মিত্রপক্ষের এক শেরমান ট্যাংক। ছবিটি ১০ জুনের কিন্তু...
যুদ্ধের একটি আবশ্যকীয় উপাদান লজিস্টিক। ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে, ফ্রান্সের মালবেরি পোতাশ্রয় থেকে যুদ্ধসামগ্রী ট্রাকে খালাস করা হচ্ছে।
পুরাতন ইঞ্জিনে আর কত? এবার দরকার নতুন আবহ... আর তাই ৮ম আর্মার্ড ব্রিগেডের ওয়ার্কশপে নতুন ইঞ্জিন লাগানো হচ্ছে এক শেরমান ট্যাংকে।
মালবেরির অস্থায়ী পোতাশ্রয় থেকে ওমাহা বীচ ছাড়ছে ইউএস আর্মির একটি বহর। সামনে আছে একটি এম৩ হাফ-ট্রাক, টেনে নিয়ে যাচ্ছে একটি হাউইটজার কামান।
মিত্রপক্ষের অগ্রাভিযানে আর কখনোই বাধা হয়ে দাঁড়াবে না এই দুটি জার্মান প্যাঞ্জার ট্যাংক।
এক কথায় বলবো যুদ্ধের বীভৎসতা। হোক এরা জার্মান সৈন্য। কিন্তু এরাও বহন করছে যুদ্ধের নগ্নময় অন্ধকার দিক।
নরম্যান্ডির আরেকটি বিধ্বস্ত জার্মান কলাম।
ফ্রান্সের বেল্লা নদীর ধারে সম্মুখ সমরে রত একদল ব্রিটিশ কম্যান্ডো। এই যুদ্ধের দৃশ্য ১৯৬২ সালের বিখ্যাত চলচ্চিত্র The Longest Day তে চিত্রায়িত হয়েছিল।
ফ্রান্সের এক শহরের একটি ফার্ম হাউস ঘিরে রেখেছে আফ্রিকান-আমিরিকান সৈন্যদের একটি প্লাটুন। আশেপাশে লুকিয়ে থাকা এক জার্মান স্নাইপারের কারণে থেমে গেছে তাদের অগ্রযাত্রা।
আফ্রিকান-আমিরিকান সৈন্যদের একটি মাইন সনাক্তকরণ দল রাস্তার পাশের একটি টেলিফোন পোল পর্যবেক্ষণ করছে।
এম৪২ মেশিনগান কাঁধে নিয়ে দণ্ডায়মান এক জার্মান তরুণ এসএস সেনা।
কি ভাবছেন? অন্যকিছুর ছবি এখানে ভুল করে আপ দিয়ে ফেলেছি? আমি যখন প্রথম ছবিটা দেখি তখন আমারও মনে হয়েছিল এই হ্যামিলনের বংশীবাদক কি করে এখানে! পরে বিস্তারিত ঘেঁটে দেখি ঘটনা সত্য। এই সত্য ঘটনা ঘটেছিল ফ্রান্সের কেইন নগরী দখলের জন্য পাঠানো অপারেশন এপসম (Operation Epsom) এর ক্ষেত্রে। সামনে এক বংশীবাদক রেখে এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিল ৭ম সিফোর্থ হাইল্যান্ডার্স ও ১৫তম স্কটিশ ডিভিশনের সৈন্যরা। তাদের উদ্দেশ্য ছিল এই... The symbolic and motivational power of the pipes may outweigh the element of surprise.
১২তম এসএস প্যাঞ্জার ডিভিশনের একটি ধৃত ট্যাংকে ছদ্মাবরণ দিচ্ছে মিত্রপক্ষের দু'জন।
কিছু আমেরিকান সৈন্য বসে আছে সদ্যধৃত একটি জার্মান জীপ ভক্সওয়াগন কিউবেলওয়াগনের উপর।
ফ্রান্সের ব্রেস্ট বন্দর যেখানে রাখা হয়েছিল জার্মান ডুবোজাহাজ ইউ-বোট। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের একটি স্মরণীয় যুদ্ধ ছিল The Battle for Brest...
অন্যতম বন্দর নগরী চিয়ারবার্গ মুক্ত করার চেষ্টায় আমেরিকান সৈন্যরা...
ইংলিশ চ্যানেলের এপারে (ফ্রান্সে) সহাস্য অবস্থায় মিত্রপক্ষের সুপ্রিম কম্যান্ডার জেনারেল ড্যুইট ডি আইজেনহাওয়ার।
কানাডা ও ব্রিটিশ সৈন্যদের মাঝে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল। ছবিটি মুক্ত স্বাধীন ফ্রান্সের মাটিতে তোলা।
এতক্ষণ তাদের তোলা ছবি দেখেছি। এবার দেখুন ক্যামেরার পিছনের পাঁচ ফটোগ্রাফারকে। সিগন্যাল কোরের এই পাঁচ ফটোগ্রাফারের এই ছবিটি নরম্যান্ডি অভিযানের কোন এক বিরতিতে তোলা হয়েছিল।
এটি দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের যতোগুলো ড্রামাটিক ছবি আছে তার ভিতর অন্যতম। হেলান দিয়ে মরে পড়ে জার্মান অধিকৃত চিয়ারবার্গের শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ করে যাওয়া কিছু জার্মান সৈন্যের একজন।
কোন ব্যাখ্যার দরকার আছে কি...?
অনেক তো দেখলেন হত্যা, ধ্বংস, মৃত্যু আর বিভীষিকার ছবি... এবার না হয় অন্য রকম কিছু একটা... কি গল্পে মত্ত এই ব্রিটিশ গানার আর স্থানীয় ফ্রেন্স মেয়েটি? :!> :!> :!>
-----
আসলে গত দু'দিন যাবত সেই মাত্রায় জ্বর। গতকাল একটু বেশী ছিল; আজ কম... সবার কাছে দোয়ার প্রার্থনা রইলো...