হেলিকপ্টার
এক কৃপণ লোকের বহুদিনের শখ সে হেলিকপ্টার চালানো শিখবে। তো একদিন সে তার পার্শ্ববর্তী এক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গেলো যেখানে হেলিকপ্টার চালানো শেখানো হয়। সেখানে গিয়ে প্রশিক্ষককে বলল তার মনোবাসনার কথা। কিন্তু প্রশিক্ষক জানালেন যে, এখন কোন হেলিকপ্টার খালি নেই। সব প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু কৃপণ লোক নাছোড়বান্দা। সে কিছুতেই হেলিকপ্টার চালানো না শিখে যাবে না। এতো কষ্ট করে জুতার সোল নষ্ট করে এতদূর এসেছে অথচ কিছু না শিখেই চলে যাবে! তা তো হয় না। তার পীড়াপীড়িতে শেষতক প্রশিক্ষক তার ব্যক্তিগত হেলিকপ্টারটি দিয়ে প্রশিক্ষণ দিতে রাজি হলেন। কিন্তু এতে সমস্যা হল এই হেলিকপ্টারটি এক আসনের। দুইজন একসাথে কিছুতেই বসতে পারবে না। কৃপণ লোকটি বলল, “সমস্যা নেই। আপনি নিচ থেকে আমাকে ওয়ারলেসে ইন্সট্রাকশন দেবেন আর তা শুনে শুনে আমি চালাবো। কোন অসুবিধা হবে না।” দেখা গেলো লোকটা প্রশিক্ষকের কথামতো ভালোই হেলিকপ্টার চালাচ্ছে। প্রশিক্ষককে অবাক করে দিয়ে সে কপ্টারটিকে এক হাজার ফিট উপরে নিয়ে গেলো। কিছুক্ষণ পর দুই হাজার ফিটে। এক সময় সবাইকে অবাক করে দিয়ে তিন হাজার ফিটে উঠে রেকর্ড করে ফেললো। প্রশিক্ষক তো যারপরনাই মুগ্ধ। হঠাৎ অদূরে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হবার শব্দ শোনা গেলো। প্রশিক্ষক দৌড়িয়ে সেখানে গিয়ে দেখলেন তার এক আসনের কপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে। আর ভিতরে সেই লোকটা ব্যথায় কাতরাচ্ছে।
প্রশিক্ষকঃ আচ্ছা, আপনি তো ভালোই চালাচ্ছিলেন। তা হঠাৎ কি হল!
কৃপণ লোকঃ আর বইলেন না। আমি আপনার কথামতো বেশ ভালোই চালাচ্ছিলাম। এক সময় এক হাজার ফিট উপরে উঠলাম। দেখলাম আবহাওয়া বেশ ভালো। তারপর দুই হাজার ফিট উপরে। এখানে একটু ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা লাগলেও সমস্যা হচ্ছিলো না। কিন্তু যেই না তিন হাজার ফিট উপরে উঠলাম দেখি মারাত্মক ঠাণ্ডা। একেবারে জমে যাবার দশা। এমন সময় উপরে তাকিয়ে দেখি মাথার উপর বনবন করে একটা ফ্যান ঘুরছে। এতো ঠাণ্ডার মধ্যে ফ্যান চালানোর কোন মানে হয়! তাই আমি ওইটা বন্ধ করে দিলাম। আর তারপরই...............
সংগৃহীত
রসরচনা ০১