অতি ওয়াফাদারী গোস্তাকীতে রূপান্তর হয়।
সম্রাট আকবরের জীবনে সেনাপতি বৈরাম বেগের ভূমিকা বহুল আলোচ্য। বৈরাম খাঁ ছিলেন মোঘল সম্রাট হুমায়ুন এবং আকবরের সেনাপতি, উপদেষ্টা এবং হুমায়ুনের সবচেয়ে বিশ্বস্ত সভাসদ। বাদশাহ হুমায়ুন তাকে খান খানান (রাজাধিরাজ বা রাজাদের রাজা) উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন। তাঁর প্রকৃত নাম ছিল বৈরাম বেগ।
বাদশাহ হুমায়ুনের অকাল মৃত্যুতে ১৩ বছরের নাবালক আকবরকে যক্ষের ধনের মতন আগলে রেখেছিলেন। বৈরাম খাঁর তত্ত্বাবধানেই আকবর সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার সাম্রাজ্য বিস্তার করতে থাকেন। সেই বৈরাম খাঁকেই সাবালক হবার আগেই আকবর দি গ্রেট জোরপূর্বক ক্ষমতা হরন করে হজ্জে পাঠিয়ে দেন। এবং পথিমধ্যে আফগান আততায়ীর হাতে খুন হন বৈরাম খাঁ।
জনশ্রুতি আছে খুন করিয়েছিলেন সম্রাট স্বয়ং ।
ইতিহাসের এই নির্মম দিকটার চেয়ে প্রাধান্য পেয়েছ অধিক গুরতর এর কার্যকারণ । মোগল সাম্রাজ্যের সবচেয়ে সফল অধিপতি বাদশাহ আকবর যখন সুস্পষ্ট ভাবেই বুঝে গিয়েছিলেন বৈরাম বেগ আকবরের অভিভাকত্বে ভুলেই গেছেন যে তিনি অতি নির্ভরযোগ্য এক অধিনস্ত, রাজ্য চালনা বা যুদ্ধ ক্ষেত্রে বিজিতের বন্দীত্ব বা শীরোচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিতে বাদশাহকে তিনি হুকুম বা প্রভাবিত করতে পারেন না, তখনি সাম্রাজ্য রক্ষায় আকবর এই নির্মম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন ।
যুক্তি ছিল , অতি ওয়াফাদারী কখনো কখনো সীমানা ভুলিয়ে দেয়, সীমা লংঘন করায়, গোস্তাকীতে বাধ্য করে।
ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো , ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয়না।
এক বিশেষ সময়ের ওয়াফাদীর পুরষ্কার হিসাবে যাবজ্জীবন ছাড়পত্র পেয়ে ওয়াফাদারেরা সীমা লংঘন করে দানব হয়ে যায়। নারায়নগঞ্জে অটোমান সাম্রাজ্যের দানবীয় আধিপত্য পুনঃস্থাপিত হয়ে প্রমান করলো আমাদের লক্ষ্য দুষ্টের শাসন শিষ্টের দমন।
তেঁতুল হুজুরের আব্দারে রোজার আগেই লেডি জাস্টিসিয়া সরানো হলো।
একে যদি আমরা নিছক একটি মূর্তি ভাঙ্গার ঘটনা বলে ধরে নেই তাহলে হবে আত্মঘাতী। এটি হলো একটি বৃহৎ অপশক্তির কাছে সকল শুভ শক্তির পরাজয়। শীঘ্রই তারা শহীদ মিনার, জাতীয় সৃতিসৌধ সহ সকল স্থাপনা ভাঙ্গার দাবী তুলবে। জাতীর পিতার ভাস্কর্যও বাদ যাবে না।
তবুও আমরা ভাববো , থাক আমার বাপের গালে জুতা মেরেছে, আমার গালে তো মারেনি। মারলেও ভাববো , "ভেঙেছিস না হয় কলসির কানা, তাই বলেকি প্রেম দেবো না'?
আমাদের সময় নাই, ঠ্যাকা নাই। যাদের ঠ্যাকা আছে তারাও রাস্তায় নামে তো আসলে "পাবলিসিটির জন্য! নাইলে রামপালের কাজ তো ঠিকই শুরু হলো । কার বাংলা বা হিন্দী চুল বাঁকা করা গেল? "
তারা যখন ভরসার কথা বলে তখন সেই লাইনটাই সত্যি মনে হয় , “ স্বয়ং ঈশ্বরের ভরসায়ও বসে থেকো না, কে জানে হয়তো ঈশ্বরও তোমার ভরসায় বসে আছেন! “
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:০১