নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা সানাউল্লা নূর বাবু হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী বনপাড়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র জাকির হোসেন ও মাঝগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান খোকন মোল্লাসহ ২৭ জনকে নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত হাজতে পাঠিয়েছে। উচ্চ আদালতের আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর গতকাল রোববার পূর্ব নির্ধারিত হাজিরার দিনে সব আসামী নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে স্থায়ী জামিন নিতে গেলে আদালতের বিচারক মাহামুদুল হাসান তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালতের বিচারক দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আসামীদের সবাইকে আদালতের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়ে পরে নথি দেখে মূল আদেশ দিবেন বলে জানান। এসময় তাদের সবাইকে নাটোর আদালতের হাজত খানায় নিয়ে আটকে রাখা হয়।
পরে সন্ধ্যার দিকে পুলিশ তাদের নাটোর জেলা কারাগারে নিয়ে যায়। এরা হলেন মামলার প্রধান আসামী নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ও বনপাড়া পৌরসভার মেয়র কে এম জাকির হোসেন, তার দুই সহোদর কে এম জামিল হোসেন ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কে এম জিল্লুর রহমান জিন্না, ৪নং আসামী বনপাড়া পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও স্থানীয় মাঝগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান খোকন মোল্লা। মামলার অন্য আটককৃতরা হলেন একই এলাকার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আশরাফুল ইসলাম, মোয়াজ্জেম হোসেন বাবলু, মাসুদ সোনার, সৈকত, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম রিকোন, তার ভাই রাসেল ওরফে রাপ্পু ওরফে রাক্কু, সেলিম হোসেন, হাসেম, বাদশা, হাসেম-২, গৌতম ঘোষ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, রিপন সোনার, আব্দুল মালেক, মাহবুব হোসেন, জনি, আশরাফুল ইসলাম মিঠু, হাবিব, আব্দুল মোমিন, বাবলু মোল্লা, লুৎফর রহমান, বাবু ও বনপাড়া ফজিলাতুন নেছা মুজিব মহিলা কলেজের অধ্য আব্দুর রাজ্জাক।
২০১০ সালের ৮ আক্টোবর সকাল ১১টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসুচী পালনের সময় বনপাড়া বাজারে রাস্তার ওপর প্রকাশ্য দিবালোকে উপজেলা চেয়ারম্যান বাবু নির্মমভাবে খুন হন। পর সানাউল্লা নূর বাবুর স্ত্রী মহুয়া নূর কচি বাদী হয়ে কে এম জাকির হোসেনকে প্রধান করে মোট ২৭ জনকে আসামী করে বড়াইগ্রাম থানায় হত্যা মামলা করেন। গত ২৭ অক্টোবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন নাটোর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কে আইন শৃংখলা সভায় যোগ দিলে প্রধান অভিযুক্ত কে এম জাকির হোসেন মামলাটিকে মিথ্যা অভিহিত করে রাজনৈতিক মামলা হিসেবে প্রত্যাহারের আবেদন জানান। এর ২৩ দিন পরে গতকাল তারা আদালতে স্থায়ী জামিন নিতে আসলে আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠান।