অর্ন্তমূখী মানুষরা অন্যের কাছে নিজেকে তেমন প্রকাশ করতে পারে না বলে,অন্যের কাছে সে কিছুটা রহস্যময়।
জেনে নেয়া যাক অর্ন্তমূখী মানুষ সর্ম্পকেঃ
১.এই ধরনের মানুষেরা খুব বেশী সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করতে চায় না কারন তাদের নিজের সাথে তারা সময় কাটাতে যথেষ্ট ভালোবাসে।তারমানে এই নয় যে তারা সামাজিকতা কে ঘৃনা করে,তারা যেহেতু খুব বেশী হইহুল্লোড় করতে পারেনা,আসর জমাতে পারে না, তাই কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখে।
২.এই ধরনের মানুষের সাথে কথা বলার সময় আপনার মনে হবে সে আপনার কথা শুনছে না কারন সে হয়তো আপনার কথার খুব বেশী প্রতিউত্তর করবে না,তার মানে এই নয় যে আপনার কথা শুনতে তার খারাপ লাগছে।কারন অর্ন্তমুখী মানুষেরা শ্রোতা হিসেবে বেশ ভালো,তারা নিজে বলার চাইতে অন্যেরটা শুনতে পছন্দ করে বেশী।
৩.অর্ন্তমুখী মানুষদের পর্যবেক্ষন ক্ষমতা অনেক ভালো,তারা চারপাশের সবকিছুই বেশ গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করে।যদিও তাদের পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে তারা অন্যকে বিচার বিশ্লেষন করে না। এই পর্যবেক্ষন তার চারিত্রিক একটি বৈশিষ্ট্য মাত্র।
৪.অর্ন্তমুখী মানুষেরা অনেক বেশী মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন না, খুব অল্প মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে কিন্তু সেই অল্পসংখ্যক বন্ধুর সাথেই তার সম্পর্কটা হয় গভীর বন্ধুত্বের।
৫.অর্ন্তমুখী মানুষের সর্ম্পকে প্রচলিত একটি ভুল ধারনা হলো তারা মানুষকে দেখতে পারে না।আসলে তারা খুব বেশী কোলাহল পছন্দ করে না।তাদের আশে পাশে মানুষ দেখতে তারা অপছন্দ করে না,তবে মানুষের সেই ভীড়টা যেন নিজের সময়টুকুতে ব্যাঘাত না ঘটায়।
এই পৃথিবীর সব মানুষই কোন না কোন ভাবে একজন আরেকজনের থেকে আলাদা , সব মানুষই তার নিজের ভালো লাগার মতো করে বেচে থাকতে চায়।অর্ন্তমূখী মানুষের আচরন আর অভিব্যক্তি তার স্বাভাবিক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য মাত্র,নিজেকে রহস্যময় করার কোন কৌশল নয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৫১