গত কদিন আমি মনে হয় তন্দ্রাচ্ছন্নই ছিলাম।
অথবা মানুষ যেমন বোধশক্তি হারিয়ে ফ্যালফ্যাল করে তাকায় ঠিক সেরকমই।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের প্রগতিশীল বলুন আর মুক্তবুদ্ধির মানুষই বলুন, সবাই আশায় বুকে বেঁধেছিল। এবার একটা পরিবর্তনের হাওয়া লাগবে এ দেশের গায়ে।
আওয়ামীলীগও এমন একটি শ্লোগান সাধারণ মানুষের সম্মুখে রেখেছিল, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’।
মনে হয়েছিল সম্ভাবনার দোয়ার তারা খোলে দেবে।
আমার মতো এমন একজন সাধারণ খেটেখাওয়া মানুষও আশায় ছিল, এবার হয়তো রাজনৈতিক সংস্কৃতিরও একটা পরিবর্তন আসবে।
কিন্তু আজ হিতেবিপরীত।
মনে হলো, কয়লার সে ময়লা যতই ধোয়ে ফেলুন তাতে যাবেই না বরং চারদিকে ছড়াবে। ঠিক সেরকমই।
রাজনৈতিক অনাচার আরো বেড়ে গেলো।
১/১১ থেকে কোন শিক্ষাই মনে হয় বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দল নিলো না।
‘চ্যানেল ওয়ান’ যেদিন বন্ধ হলো আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।
কেন এমন একটি আদর্শবাদী দল, এমন একটি নেক্কারজনক কাজ করলো?
তারপর ‘আমার দেশ’ পত্রিকা বন্ধ।
পত্রিকাটির মতাদর্শের সাথে যদিও আমি একমত নই এবং পত্রিকাটির গ্রাহক যদিও আমি কোনদিন ছিলাম না, তবুও পত্রিকার অফিস, প্রেস তালাবদ্ধ করার দৃশ্য দেখে হতবাক না হয়ে পারিনি।
বাকস্বাধীনতা বলতে কি বুঝায় তা আমার বোধগম্য নয়।
আর তারপর ঢাকায় বিল্ডিং ভেঙ্গে পড়া।
তারপর স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। শতাধিক মানুষের করুণ ভাবে চলে যাওয়া। হাজার হাজার মানুষের আহাজারী।
তারপর উঁচু উঁচু দালান হেলে পড়ার দৃশ্য।
হায় ইশ্বর!
কি হলো এদেশের?
কেন এতো কান্না আওয়াজ।
তুমি আমাদের রক্ষা করো, প্রভু।
হায় সরকার!
তোমার শুভবুদ্ধির উদয় হোক।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫১