শীতের সকাল
তবে ততটা শীতও পড়েনি
প্রত্যেকদিন এর মতো রহমান সাহেব আজও সকালে হাঁটতে বেরিয়েছেন।মূ্লত তিনি পার্কের ভেতর হাঁটেন,আজ পার্কে গুটি কয়েক লোকই দেখা যাচ্ছে।
.
রহমান সাহেব আজ সমাজের প্রতিষ্ঠিত একজন লোক।সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কিন্তু তাঁকে দেখে বোঝার উপায় নেই।সকলের যেমন জীবনে কিছু অপূর্ণ দিক থাকে উনারও আছে।সেটা হলো তিনি নিঃসন্তান। তবে তিনি বাস্তবতা মেনে নিয়েছেন।তিনি নিজেকে,বারবার একটি কথায় বলেন সেটা হলো,"আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন।"
.
মনে হয়,আজ তিনি তাড়াতাড়িই বেরিয়ে পড়েছেন।লোক কম দেখা যাচ্ছে,তিনি অনেকটা হেঁটে কিছুটা বিশ্রামের জন্য পার্কের একটা বেঞ্চে গিয়ে বসলেন।
কোথা থেকে তিনি একটা বাচ্চার কান্নার আওয়াজ পাচ্ছিলেন।
তিনি এদিক ওদিক তাকাচ্ছেন কিন্তু কাউকে দেখতে পাচ্ছেন না,আবার কান্নার আওয়াজ।এবার তিনি খেয়াল করলেন,কান্নাটা আসছে,তার বেঞ্চের পেছন থেকে। একটা ত্যানা টাইপের কাপড়ে জড়ানো বাচ্চা কাঁদছে।রহমান সাহেব আশেপাশে তাকানো সত্ত্বেও কাউকে দেখতে পাচ্ছেন না।বাচ্চাটা আবার কেঁদে উঠল,রহমান সাহেবের মনটা কেমন জানি নরম হয়ে গেল।তিনি সামনে গিয়ে কোলে তুলে নিলেন,কন্যা সন্তান।
.
রহমান সাহেবের স্ত্রী কাঁদছেন,আজ উনাদের ৭ম বিবাহ বার্ষিকী।আজকের মতো বড় উপহার রহমান সাহেব দিতে পারেননি।তিনি মিসেস রহমানকে 'মা' হওয়ার স্বর্গীয় অনুভূতি দিলেন।
তিনি,বাচ্চাকে কোলে নেওয়া থেকে কেঁদেই যাচ্ছেন।উনার কান্না দেখে,রহমান সাহেবের চোখেও পানি কারন তিনি যে আজ থেকে বাবা হলেন।
রহমান সাহেব আবারও মিসেস রহমানের দিকে তাকালেন,মিসেস রহমান এখনও ফোঁপাচ্ছেন।রহমান সাহেব জানেন,এ অশ্রু সুখের,মা হওয়ার সুখের।
নীতিবাক্য: অবস্থানের জন্য কখনো আফসোস করবেন না,কারন আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন
লেখক:নাঈম আশফাক
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৮