টেলিপ্যাথি শব্দ টা এসেছে গ্রীক শব্দ টেলি এবং প্যাথিয়া থেকে । টেলি শব্দের অর্থ দূরবর্তী এবং প্যাথিয়া শব্দের অর্থ অনুভূতি । তাহলে,টেলিপ্যাথি শব্দের অর্থ দাঁড়াচ্ছে - দূরবর্তী অনুভূতি ।
টেলিপ্যাথি হচ্ছে মানুষ অথবা অন্য কোন প্রাণীর এমন একটা ক্ষমতা যার মাধ্যমে এক মন থেকে অন্য মনে তথ্য প্রেরণ করা যায় কোন কথা না বলে কিংবা অন্য কোন মাধ্যম ব্যবহার না করে ।
টেলিপ্যাথি ব্যাপক ভাবে খুঁজে পাওয়া যায় গল্প উপন্যাসে । যদিও টেলিপ্যাথি নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে,তবু ও বিগ্গানীরা টেলিপ্যাথি টা কে অত ব্যাপক ভাবে স্বীকৃতি দেয় নি ।
টেলিপ্যাথি হল এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে সরাসরি চিন্তা ভাবনার আদান-প্রদান যেখানে যোগাযোগের কোন মাধ্যম ই দরকার পড়ে না । যদি ও টেলিপ্যাথির অস্তিত্ব এখন ও প্রমাণিত না,তবু ও সাইকোলজিক্যাল কিছু টেকনিক কাজে লাগিয়ে টেলিপ্যাথি প্রতিষ্ঠে করা যায় । যেমন - ট্যারট রিডার যারা ৫টা কার্ড কে ব্যবহার করে অন্য মানুষের চিন্তা-ভাবনা বুঝতে সক্ষম ।
বাইবেলে আছে-কয়েকজন নবী ছিলেন যারা ভবিষ্যত দেখতে পেতেন । ঐ সময়কার মানুষদের এটা তে অন্ধ বিশ্বাস ও ছিল । কিন্তু কখনো বলা হয় নি যে একজনের কাছ থেকে অন্য জনের কাছে তারা ভাষা ব্যবহার না করেই কোন তথ্য পৌছে দিতেন । তাই,এখনও টেলিপ্যাথি নিয়ে দ্বিমত রয়েই গেছে । এমন কি প্যারাসাইকোলজি ও মাঝে মাঝে এ টেলিপ্যাথির অস্তিত্ব কে অগ্রাহ্য করে ।
১৮৮৬ সালে প্রথম পশ্চিমারা টেলিপ্যাথির ব্যাপারে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেয় । এই রিপোর্টেই প্রথম টেলিপ্যাথি কে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় যা আগে 'চিন্তার আদান-প্রদান' নামে পরিচিত ছিল ।
১৯১৭ সালে সাইকোলজিস্ট John E. Coover টেলিপ্যাথি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান । তিনি দেখলেন যে-তার অন্য মাধ্যম গুলা ১৬০টা কার্ড থেকে মাত্র ১টাকে ঠিক ভাবে চিনতে পারে । এরপর তিনি আর তার প্রচেষ্টা কে পজিটিভ মনে করেন নি ।
সম্ভবত খুব বিখ্যাত এক্সপেরিমেন্ট যারা করেছেন টেলিপ্যাথি নিয়ে তারা হলেন - J. B. Rhine এবং তার সহযোগী । ১৯২৭ সালে তারা প্রথম ESP Card ব্যবহার করেন । তার এই সংক্রান্ত সকল গবেষণার ফল একটা বই তে লিপিবদ্ধ করা হয় এবং ঐ বই পরবর্তীতে প্রকাশিত হয় -'এক্সট্রা সেনসরি পারচেপশান' নামে । যেটা এখন ই.এস.পি নামে পরিচিত ।
টেলিপ্যাথির আরেকটা বিখ্যাত বই - 'মেন্টাল রেডিও' লিখেছেন পুরষ্কার প্রাপ্ত লিখক Upton Sinclair ।
টেলিপ্যাথি ৩রকমের হয় । যেমন -
১। ফিজিক্যাল টেলিপ্যাথি,
২। ইমোশনাল টেলিপ্যাথি এবং
৩। মেন্টাল টেলিপ্যাথি
(সংগৃহীত তথ্য)
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৮