প্রিয়লতা তোমার দিকে তাকাতেই আজকাল বড্ড এলোমেলো হয়ে যাই,
তোমার চন্দনকাঠ সৌন্দর্য্য আর আচ্ছনতায় আমার বিবর্ণ শূন্যতা খুঁজে পায় স্বপ্ন,
তোমার কথা ভাবতেই বুকের ঠিক মাঝখানটায় আমার স্বরবর্ণ আর ব্যাঞ্জনবর্ন ভালোবাসার শব্দ সাঁজায়,
যে শব্দের রঙ পিকাসোর কোন ছবিতে আজ অব্দি আমি দেখিনি।
তোমার ঐ চোখের চাহনিতে তপ্তশ্বাস হয়ে যায় বিকেলের নরম পিপাসা।
যে তপ্তশ্বাস ওশেনিয়া অথবা এন্টারটিকা থেকে আসা ঠাণ্ডা হাওয়ায় মন ভুলাতে পারেনি আমার।
প্রিয়লতা - তোমার ঐ হাসিতে আমি এতোটাই স্ট্যাচু অব লিবার্টি হয়ে যাই,
যতটা ধ্যানমগ্ন গৌতম বুদ্ধ হতে পারেনি।
জানো প্রিয়লতা, তোমাকে দেখলেই আমার বৃত্তের আবরনে লেপ্টে থাকা
এই ইট কাঠের শৃঙ্খল কারাগারে অস্তিত্বের স্বস্তি খুঁজে পায়,
তোমার নিস্তব্ধতায় আমি তোমাকে খুঁজে বেড়াই অসীম আকাশের সমাপ্তহীন পাতায় পাতায়।
তোমার ভালোলাগার কাছে আজ আমি ঋণী হয়ে উঠেছি।
জানো প্রিয়লতা- চোখে তন্দ্রার মতো এলেই আমি হারিয়ে যাই তোমার স্পর্শ আভায়।
যে আভায় লেপ্টে আছে আকাশের রঙধনু ।
প্রিন্টিং প্রেসের লেখা তুমি হয়তো বুঝতে পারবে,
কিন্তু মনের ভিতরে যে লেখা,
কি করে বুঝবে তুমি প্রিয়লতা?
তাই আবারও বলি আজকাল বড্ড এলোমেলো হয়ে যাই তোমার স্পর্শহীন ভাবনার মুগ্ধতায়।
নেয়ামুল – ২/১১/১৫
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৬