কবিত্বময় চোখ।
আমি কখনো ভাবতে পারি নাই,
শূন্যতা তুমি আমার কবিতা হয়ে যাবে।
না হওয়ার অবকাশ কোথায় বল?
যেখানে অবলীলায় চলে দিন রাত্রির নিবির খেলা ।
যেখানে স্বর্ণচাঁপারাও জেগে উঠে হাসিমাখা আবেগে।
এতো আবেগি কবিত্বময় চোখ তোমার।
আমাকে মুগ্ধ করে তোমার উদাসীনতার হলুদ কাব্যে।
তোমাকে দেওয়ার মত কিছু নেই আমার –
মাঝে মাঝে আমার হলুদ খাম খুলে দেখ ?
দেখবে সাদা পাতা কিছুই নেই তাতে –
নাকি আছে!!- তুমি অন্তর চোখে দেখো?
ঠিকই খুঁজে পাবে আমার না বলা সকল কথা –
তুমি খুঁজে পাবে আমার খাম ভর্তি শূন্যতা,
খুঁজে পাবে কিছু অশ্রুপাত, আরও খুঁজে পাবে দীর্ঘশ্বাস।
তোমার না থাকা শূন্যতা আমকে ভাবায়।
তীব্রভাবে অনুভব করি না থাকার নিসঙ্গতা।
কিন্তু তুমি হয়তো জানো না -
তোমার নিঃশ্বাস বাতাসে ভেসে বেড়ায় –
অতঃপর আমাকে ছুঁয়ে যায় – আমি বুঝতে পারি।
আমার প্রতিটি স্পন্দনে শিহরন জাগায় ।
অনুভব করি, আমি আবারও অনুভব করি তোমার সকল শূন্যতা।
ঐ যে আকাশ দেখ- তোমার উদ্দেশে লিখে দিয়েছি শতশত কবিতা।
কতটাই বা আমি খাতায় লিখতে পারব ?
তোমার চোখে এতো উজ্জলতা –
আমি মাঝে মাঝে জ্বলসে যাই - অপার্থিব ব্যাকুল হয়ে উঠি।
প্রিয়তমা এতো কাব্যিক আর কবিত্বময় চোখ নিয়ে কি করে জন্মালে?
নেয়ামুল- ১৬-১-১৫
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৫