২০০৯ সালে পাকিস্তান সফরে প্রথম টেস্টে অভিষেক ঘটে থারাঙ্গা পারানাভিথানার। সেই টেস্টের প্রথম ইনিংসে প্রথম বলেই আউট হন তিনি। পরের ইনিংসে করেন মাত্র ৯ রান। দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে মাঠে যাওয়ার পথে সন্ত্রাসীদের বোমা হামলার শিকার হয় শ্রীলংকান টিম বাস। বুকে স্প্লিন্টারবিদ্ধ হয়ে কাতরাচ্ছিলেন পারানাভিথানা। তাই দেখে কৌতুকের লোভ সামলাতে পারেননি সাঙ্গা— হায় খোদা! প্রথম ইনিংসে প্রথম বলেই আউট হলে। পরের ইনিংসে রান আউট। আর এখন তোমাকে হজম করতে হচ্ছে গুলি! প্রথম সফরেই কী ভয়ানক অবস্থা!’ (শেষ কিস্তি)
৫.
এমসিজিতে বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম দিন। এ টেস্টটা ভুলতে চায় শ্রীলংকা। সফরকারীরা মাত্র ১৫৬ রানে গুটিয়ে যায়। এর মধ্যে সাঙ্গাকারার একার অবদানই ৫৮। এটা তার টেস্টে সবচেয়ে দ্রুততম ১০ হাজার রানের স্মারক ইনিংস। রেকর্ডটির আরো দুই ভাগীদার শচীন ও লারা। তিনজনেই মাইলফলকটির দেখা পান ১৯৫তম ইনিংসে এসে। এমসিজি এদিন উঠে দাঁড়িয়ে সম্মান জানায় সাঙ্গাকারাকে। আর মাঠের জায়ান্ট স্ক্রিন তাকে আসন পেতে দেয়, শচীন আর লারার আগে!
রেকর্ডটার পাশে ক্রমানুসারে তিনটি নাম ভেসে ওঠে— কুমার সাঙ্গাকারা, শচীন টেন্ডুলকার, ব্রায়ান লারা! সাঙ্গাকারার রোমাঞ্চ বোধটা ঠিক এখানে। শেষের দুজনের আগে থাকতে পারাটা, সেটা হোক প্রযুক্তির মধুর ভুল, ‘এটা জানতাম, মাত্র এক ইনিংস আগে হলেই রেকর্ডটা আমার একার হতো। কিন্তু ১০ হাজার রানে পৌঁছামাত্রই স্ক্রিনে আমার নামটা দেখতে পাই সবার আগে। তার পর শচীন ও লারা। যদি বলি, এটা দেখে মোটেও আত্মতৃপ্তিতে ভুগিনি, তাহলে আমি চরম মিথ্যেবাদী। পাশেই ফিল্ডিং করা ডেভিড ওয়ার্নারেরও চোখে পড়ে ব্যাপারটা। সে ভীষণ অবাক হয়ে সম্ভবত এ রকম কিছু বলেছিল, ধারাবাহিকতায় ও সবার আগে। এটা ওরই প্রাপ্য।’
সাঙ্গার ফর্ম ২০১০ সালের পর থেকে অবসরের আগ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি প্রস্ফুটিত। ওয়াইন বোতলের মতোই সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সাঙ্গার ব্যাটের তেজ। এ সময় টেস্টে সবচেয়ে দ্রুততম ৮ হাজার থেকে ১২ হাজার রানের মাইলফলক নতুন করে লেখায় তার ব্যাট। সাঙ্গার প্রতিটি শট, এই মাত্র ল্যাবরেটরি থেকে তুলে আনা টেকনিক! মাঠের বাইরে তার ‘নির্জলা ভদ্রলোক’ ইমেজটা চোস্ত উচ্চারণের ইংরেজিতে আরো বেশি সুগঠিত। অর্থাত্ রসায়নটা প্রাচ্যের হলেও ভেসে আসে পশ্চিমা সুঘ্রাণ। কিন্তু সাঙ্গাকারা আসলে এ দুই ভিন্ন সংস্কৃতির অনবদ্য মিশ্রণ। প্রাতরাশে একটি চিজ ওমলেট খেতে ব্রিটিশদের কাঁটাচামচ ধার করার চেয়ে তার কাছে হাতের ব্যবহারই বেশি স্বস্তিদায়ক। এর সঙ্গে একটু চিকেন রেজালা আর ‘পোল সম্বল’ (নারকেলে প্রস্তুত এক প্রকার খাবার) হলে তো সোনায় সোহাগা! এটাই সাঙ্গাকারার অবচেতনমনের ‘স্মার্টনেস’। অনেকটা তার ব্যাটিংয়ের মতোই, যেকোনো পরিস্থিতির সঙ্গে কীভাবে যেন খুব সহজেই থিতু করতে জানেন।
থিতু হওয়ার রহস্য কী?
‘নিদানম’। তামিল শব্দ। বাংলা অর্থ ‘কেন্দ্রীভূত মনোযোগ’। ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে যা ‘দ্য জোন’। উইকেটে নেমে এ দুনিয়ার তাবত্ ব্যাটসম্যানরা ‘জোন’-এ ব্যাট করার স্বপ্ন দেখে থাকে। মাইক ব্রিয়ারলি একবার ব্যাখ্যা করেছিলেন, ‘কোনো ব্যাটসম্যান যখন জোনের মধ্যে ব্যাট করেন, তখন তার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সাড়া দিয়ে থাকে। তখন শুধু বলটা ছাড়া আর কিছু মাথায় থাকে না। মনোযোগটা কেন্দ্রীভূত থাকায় সবকিছুই হয়ে ওঠে পারফেক্ট। এটাই ব্যাটিংয়ের জোন।’
গত বছর লর্ডসে প্রথম টেস্টে ‘নিদানম’-এ বুঁদ হয়ে ব্যাট করেছেন সাঙ্গা। বেসিন রিজার্ভে চলতি বছরের জানুয়ারিতে তার ডাবল সেঞ্চুরির ইনিংসেও ছিল ‘নিদানম’-এর তপস্বী প্রকাশ। ১৩৪ টেস্টে ৫৭.৪০ গড়ে ১২ হাজার ৪০০ রান। এর মধ্যে সেঞ্চুরি ৩৮টি, যার ১১টাই আবার ‘নিদানম’-এর স্পর্শধন্য। অর্থাত্ ডাবল সেঞ্চুরি। ব্রাডম্যানের চেয়ে একটি ডাবল সেঞ্চুরি কম করায় সন্তানের সামর্থ্য নিয়ে কেশামার মনে কোনো সন্দেহ থেকে যাবে কি?
জবাবটা এ গ্রহের সব বাবারই জানা থাকার কথা। সন্তানের সাফল্যে পুরোপুরি তুষ্ট হওয়াটা কোনো পিতারই ধর্ম নয়। সাঙ্গাকারার অবসরের পর তাই কেশামার কণ্ঠেও ঝরে পড়েছে আক্ষেপ, ‘সে নিজ সার্মথ্যের পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করতে পারেনি।’ সাঙ্গাকারা নিজেও এটা জানেন। মজার ব্যাপার, ব্যাটিংয়ের টেকনিক, মনঃসংযোগ— এসব ব্যাপারে পিতা-পুত্র কখনো ঐকমত্যে পৌঁছতে না পারলেও একটা ব্যাপারে দুজনের ক্রিকেটদর্শন অভিন্ন— শুধু রেকর্ডের জন্য খেলা চালিয়ে যাওয়া অর্থহীন।’ ঠিক এ কারণেই নিজের অবসর প্রসঙ্গে সাঙ্গার যুক্তি, ‘আমাকে বলা হয়েছিল, আরো বছর দুয়েক খেলা চালিয়ে গেলে হয়তো টেস্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের রেকর্ডটা নিজের করে নিতে পারব। কিন্তু আপনি যদি সত্যিই ভেবে থাকেন, শুধু এ কারণেই নিজের ক্যারিয়ারটা টেনে লম্বা করতে চান, তাহলে বিদায় বলার সময়টা এখনই। ধন্যবাদ।’
নিজের সিদ্ধান্তে কীভাবে এতটা অটল থাকতে পারেন সাঙ্গা? অদূর ভবিষ্যত্ইবা তাকে কোন তুলাদণ্ডে বিচার করবে?
সাঙ্গার মনে এসব নিয়ে কোনো ভাবনা নেই। তার যুক্তিটা তার ব্যাটিংয়ের মতোই সরল হলেও দর্শনে ভরপুর, ‘জীবনের সিংহভাগ সময় জুড়ে আপনি যদি শুধু একটা কাজই করে থাকেন— ক্রিকেট খেলেন— তাহলে অবসর-পরবর্তী জীবনকে কিসের সঙ্গে খাপ খাওয়ালে ভালো হবে, তা নিশ্চিত হওয়া অসম্ভব।’
শুরুতে স্পিনের বিপক্ষে যার পা চলত না, সেই ব্যাটসম্যানই ক্রিকেট ব্যাকরণে নিখুঁত টেকনিকের উদাহরণ। উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে যে ক্রিকেটার সমানে ক্যাচ লোফা আর স্টাম্প ভাঙার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে স্লেজিং করেছেন, তিনি এখন খেলাটির ইতিহাসে অন্যতম সফল এক নিপাট ভদ্রলোক। ক্রিকেটের একজন ‘মেজাই’। এমন মানুষদের আগামী নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকে না। সবকিছু ছেড়ে দেন তারা সময়ের হাতে। পরিবর্তনকে মেনে নেয়ার স্বার্থে ‘সময়’ই সাঙ্গার সেরা বটিকা, ‘ক্রিকেটের পর একটা বিশাল পরিবর্তন আসবে আমার জীবনে। কিন্তু এটা নিয়ে ভাবনার কিছু নেই। পরিবর্তন খারাপ নয়, বরং ভালো।’
৬.
ক্রিকেটাবেগ প্রকাশে অসিদের মতো কিপটে নয় লংকানরা। আবার ভারতীয়দের মতো উন্মাদও বলা যাবে না। হূদয়ের ভালো-মন্দ অনুভূতির বহিঃপ্রকাশে লংকানরা সবসময়ই নিয়ন্ত্রিত। পেশাদার। সাঙ্গা-মাহেলার মধ্যে কে সেরা? প্রশ্নটার জবাব, শুধু টি স্টল কিংবা বাস স্টপের অলস সময়গুলোতেই খোঁজ করে সবাই। মধুর এ বিতর্কটা কখনই তাদের বেডরুম পর্যন্ত উঠে আসেনি। দুই বন্ধুই এত দিন গণমাধ্যমে চেষ্টা করেছেন একে অন্যকে প্রশংসায় ভাসিয়ে দিতে। সাঙ্গা যদি বলেন, ‘মাহেলাই সেরা— এ ব্যাপারে আমার মনে কখনই কোনো সন্দেহ ছিল না।’ তাহলে জয়াবর্ধনে জবাব ফিরিয়ে দেবেন এভাবে, ‘বটে! দুজনের রানের দিকে তাকান। তাহলে টের পাবেন, কে সেরা ব্যাটসম্যান।’
আসলে দুটি পিঠ মিলেই তো একটি মুদ্রা? লংকান ক্রিকেটে সাঙ্গা-মাহেলার রসায়নটাও ঠিক একই রকম। একে অন্যের পরিপূরক। এক পিঠ ভিন্ন মুদ্রাটা অসম্পূর্ণ। বলা হয়, মাহেলার সংস্পর্শ না পেলে সাঙ্গা যেমন ‘সাঙ্গা’ হয়ে উঠতে পারতেন না, তেমনি মাহেলাও এশিয়ার সেরা বুদ্ধিজীবী ক্রিকেটারের সংস্পর্শে না এলে ‘মাহেলা’ হয়ে উঠতে পারতেন না। জয়াবর্ধনের ব্যাটিং মুক্ত পাখির মতোই স্বাধীন। আনন্দপূর্ণ। যুদ্ধ-পূর্ববর্তী শ্রীলংকার প্রতিচ্ছবি! কিন্তু সাঙ্গার ব্যাটিং তার বন্ধুর চেয়েও পরিশীলিত। টেকনিকে ভরপুর এবং সব শটই সুবিবেচনাপ্রসূত। মনে হবে এই মাত্র কোনো কারখানায় উত্পাদিত! অনেকটাই যুদ্ধ-পরবর্তী শ্রীলংকার প্রতিচ্ছবি, যারা দিন দিন উঠে আসছে উন্নতির সোপান বেয়ে। ঠিক যেন সাঙ্গার ব্যাটিং— সময় গড়িয়ে চলার সঙ্গে আরো বেশি ক্ষুরধার, কিন্তু ‘সার্জিক্যাল নাইফ’-এর মতোই নিখুঁত।
লংকানরা ‘তুলনা’ করতে পছন্দ করে। দিনেশ চাণ্ডিমালকে ভাবা হয়েছিল ‘নেক্সট অরবিন্দ ডি সিলভা’। কুশল সিলভা এখনো ‘জয়াসুরিয়া’ হয়ে ওঠার বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছেন। তবে প্রতিভাটা জন্মগত বলেই হয়তো আরেকজন ‘মাহেলা’কে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। হয়তো পাওয়া যেত না আরেকজন ‘সাঙ্গাকারা’কেও, যদি না সেদিন নজর এড়িয়ে যেত টনি গ্রেগের!
২০১১, পাল্লেকেলে টেস্ট। বোলিংয়ে মাইক হাসি! শ্রীলংকার মাটিতে মাত্র তিনবারই হাত ঘুরিয়েছেন হাসি। কিন্তু সেদিন তার ২-১-৫-০ স্পেলটি অন্য একটি দিক বিচারে ভীষণ তাত্পর্যপূর্ণ। হাসির ওই স্পেলে হাঁটু গেড়ে একটি ট্রেডমার্ক কাভার ড্রাইভ করেন সাঙ্গাকারা। মাঠের ক্যামেরা তার ওই শট দেখানোর পরই চলে যায় মাঠের বাইরে! পাশেই একচিলতে জায়গায় অনুশীলনে মগ্ন এক ক্ষুদে। উচ্চতা ব্যাটের চেয়ে একটু বেশি। কিন্তু সেই ছেলেটাই অবলীলায় হাঁটু গেড়ে কাভার ড্রাইভ করে চলছিল একের পর এক! উচ্ছ্বসিত টনি গ্রেগ শুধু বলেছিলেন, ‘অসাধারণ কাভার ড্রাইভ। এ তো ক্ষুদে সাঙ্গাকারা!’
গ্রেগের এ প্রশংসাটুকুই পাল্টে দেয় তখনকার মাত্র পাঁচ বছর বয়সী শারুজান শানমুগাথানের পরবর্তী জীবনধারা। এখন শ্রীলংকাজুড়ে তার পরিচিতি ‘লিটল সাঙ্গা।’ পূর্বসূরির মতো শারু নিজেও বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান। টেকনিকের দিক থেকে সাঙ্গাকারার ‘ক্লোন’ বলা যায়। তার বাবা পেশাদার ফটোগ্রাফার শানমুগাথানের ভাষায়, ‘ভারতের সব ক্রিকেটারের সঙ্গে শারুর ভীষণ খাতির। তবে ধোনির অটোগ্রাফ নিতেই সে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে। ধোনি অবশ্য তাকে মুফতেই অটোগ্রাফ দেন না। এক অটোগ্রাফ পিছু একটা করে সাঙ্গার কাভার ড্রাইভ শট খেলে দেখাতে হয় তাকে।’
শারু এখন শ্রীলংকার বয়সভিত্তিক দলের ‘সম্পদ’। খ্যাতির সংস্পর্শে এসেছে সাঙ্গাকারার মতোই খুব অল্প বয়সে। কিন্তু পূর্বসূরির মতোই এখন পর্যন্ত নিজের পথটা সে ধরে রেখেছে। স্কুলে শারু সবার প্রিয়। শিক্ষকরা পছন্দ করেন তার দুর্নিবার মেধার জন্য। সে তার শ্রেণীর ফার্স্ট বয়! সহপাঠীদের কাছে স্রেফ বিনয়ী এক ক্রিকেটার বন্ধু, যে কিনা উঠে আসছে সাঙ্গাকারার পথ বেয়ে। নিজ ‘আদর্শে’র সঙ্গে একবার সাক্ষাতের পর শারুর উপলব্ধিটা এ রকম, ‘আমি কেন লেখাপড়া করতে পছন্দ করি, জানেন? কারণ ‘সাঙ্গা স্যার’ আমাকে বলেছেন, শুধু লেখাপড়া ভালোমতো করলেই তুমি ক্রিকেটে সফল হতে পারবে।’
ভিক্টর ট্রাম্পারের ক্যারিয়ারে যেটা অভিষেক টেস্ট, ডব্লিউজি গ্রেসের ক্যারিয়ারে সেটাই আবার শেষ টেস্ট। নটিংহামের সেই টেস্টে তরুণ ট্রাম্পারের দ্যুতি দেখে যারপরনাই মোহিত হন ‘ক্রিকেটের জনক’খ্যাত শ্মশ্রুমণ্ডিত ভদ্রলোক গ্রেস। পরে লর্ডস টেস্টে ট্রাম্পার ১৩৫ রানের ইনিংস খেলার পর গ্রেস নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি। সেদিনই অসি ড্রেসিংরুমে গিয়ে ট্রাম্পারের হাতে নিজের ব্যাটটা তুলে দেন গ্রেস। সেই ৩৮ ইঞ্চি উইলোখণ্ডের ওপর খোদাই করা ছিল স্বীকৃতিসূচক বাক্য— ‘অতীতের চ্যাম্পিয়ন থেকে ভবিষ্যতের চ্যাম্পিয়ন।’ বাকিটুকু ইতিহাস। অসি ক্রিকেট সম্পর্কে যারা এতটুকু খোঁজখবর রাখেন তারা জানেন, গোটা পৃথিবী ব্রাডম্যানকে একবাক্যে ‘সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান’ হিসেবে মেনে নিলেও ডনের নিজের সেরা ছিলেন ভিক্টর ট্রাম্পার।
সাঙ্গাকারা মোটেও গ্রেস হওয়ার চেষ্টা করেননি। নিজের কোনো ব্যাট তিনি শারুর হাতে তুলে দেননি। কিন্তু শারুর মস্তিষ্টে যে চেতনাটা তিনি প্রোথিত করেছেন, ক্রিকেটে তা অমূল্য। সত্যিকারের কিংবদন্তিরা এভাবেই নিজের উত্তরসূরি বেছে নেন। জায়গা ছাড়ার আগে উঠে আসার পথটা দেখিয়ে দেন তারা। শারু কত দূর পর্যন্ত যেতে পারবে, সেটা তোলা রইল সময়ের হাতে। কিন্তু ক্রিকেটের ‘পরম্পরা’টা ঠিকই দেখিয়ে দিলেন সাঙ্গাকারা। সত্যিকারের কিংবদন্তিরা যেমন হয়ে থাকেন আর কি!