মোড়টা ঘুরতেই থমকে গেলাম। ওরা আসছে। ইফতির হাত ধরে আছে সুতপা। চট্ করে ঘুরেই দেখি রাস্তার পাশে সরবতের টং। তেষ্টায় বুকের ছাতি ফেটে যাচ্ছে। এই সুযোগে গলাটা ভিজিয়ে নেয়া যাবে।
সুতপা আমাকে খেয়াল করবে না। ও চিনতে পারে না আমার গায়ের ঘ্রাণ, শার্টের রং, কিংবা দাঁড়ানোর ঢং। আমাকে গ্রাস করেনি অনেকদিন । ইফতিও তাকাবে না কারণ এখন তার দেহ-মন জুড়ে আছে আমার বুঁনোহাসের ডানা জোড়া। ওরা আমার মতো রাস্তায় দাঁড়িয়ে পেটপূজো করে না, তবে এই ঝকমকে রোদ্দুরের চকচকে বালির রাস্তায় কী করছে কে জানে !
পাশ কাটানোর সময় সুতপার গলার স্বর শুনতে পেলাম, এই গরমে কি ঘেমেছ তুমি ? ঠাণ্ডা কিছু খাবে? আমার অসুখ করলে এ ভাবেই ও জিজ্ঞাসা করে, ওষুধ খাবে? কপালটা টিপে দেই ? সেই একই ভঙ্গি, কথার একই টান, চেনা চাহনি। কী করে পারে ও? দু’জনের সঙ্গেই কি অভিনয় করে ? নাকি এক জনের সঙ্গে? তাহলে, কোন জন?
পাঁচ টাকা।
শতচ্ছিন্ন ময়লা নোটটা বাড়িয়ে দিলাম। টংওয়ালার তাকানোর ভঙ্গি দেখে মনে হলো নোটটাকে সে এক্সরে করে দেখছে। কিছুটা বিরক্তি নিয়ে গরু খেদানোর মতো হাত নেড়ে বললো- 'অবস্থা ভালা না। তয় খাইট্যা যাইব।' সামান্য একগ্লাস সরবতেই পাঁচটাকা চলে গেল। তবু লজ্জার হাত থেকে তো বাঁচলাম। সুতপার মুখোমুখি হলে সে অপ্রস্তুত হয়ে যেত।
ঝালমুড়ির ঠোঙ্গায় দুটো ছোলা ছড়িয়ে দিল মুড়িওয়ালা। দিনটা বেশ কেটে যাচ্ছে। ওদের চোখে পড়ার হাত থেকে বেঁচে গেলাম, ক’টা ছোলাও জুটে গেল ফাউ।
একসময় কলেজ থেকে ফিরে মা-র কাছে বসে ভাতের মাড়ে খানিকটা নুন গুলিয়ে খাওয়া ছিল আমার নিত্য অভ্যাস। টুকুনের বেশি খিদে পেত বলে ও ভাগে বেশি পেত। আমি অনেক সময় মুড়িতে দুটো পেঁয়াজ-মরিচ কেটে নিতাম। সে যে কী ঝাল ঝাল অমৃতসম ! টুকুনের সঙ্গে শেষ কবে দেখা হয়েছে মনে নেই।
মায়ের জন্মদিনে দেশের ছুটি। ১৬ই ডিসেম্বর।বিজয় দিবসে জন্মানো আমার মা দারিদ্রের কাছে চিরটা কাল বিজিতই থেকে গেল। সুতপার সঙ্গেও এমন করে কথা বলে ! আমি যদি রেগে বলি, ও ভাবে মাথা হেঁট করে থাকো কেন ওর কাছে, তো মা কাঁচুমাঁচু চোখে বলে- এ ভাবে ভাবছিস কেন? অ্যামন বড় মন, উদারতা কয়জনের থাকে?' সুতপা যে আমার চাকরির টাকার হিসেব নেয় না কখনও, তার ওপর আমারই টাকায় আমার ভাইয়ের পড়ার খরচ চালানো নিয়েও কোনও দিন আপত্তি করেনি, এমনকী আজও যে আমার বাড়িতে সাহায্য করার আদিখ্যেতায় কখনও বাদ সাধছে না এ কি কম বড় মনের পরিচয়! একালের বউদের মনের তল ঠাহর করা সেকেলে মায়েদের কম্মো নয়।
**********************
বাসে করে বাড়ি ফিরছি। সামনেই সিটে বসে ছিল মেয়েটা। নেমে যাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে ঘুরতেই অসাবধানতাবশত তার নিতম্ব ছুঁয়ে গেল আমার অনুভূতিপ্রবন জায়গাটায়। ভুলে যাওয়া বোধটার ঘুম ভেঙ্গে গেল। শিরশির অনুভূতি ! কিন্তু চোখে বিব্রত চাহনি। পাছে দৃশ্যটা গিলতে থাকা গুটিকয়েক চোখ অন্যকিছু ভেবে বসে ! প্রস্থানরত উর্বশীকেও কিছু বলা চলেনা। পাবলিক বাসে মেয়েদের সবকিছুই তো সংরক্ষিত ! চকিত চাহনি আর সুযোগের কালোয়াৎ স্বদব্যবহারে সেই স্বত্ত সংরক্ষনকারিদের কাছে আমার বক্তব্য মোটেও ভাল লাগবেনা। ভিড়ের মধ্যে থেকে মন্তব্য উড়ে আসবে, ধুর মিয়া আপনার কি কুষ্ঠ !
তার থেকে সরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। এমনিতেও কী বা যাবে আসবে আমার। এ সব ছোঁয়ায় তো বোধ সম্পুর্ণ হয়না। পুরুষের শরীরের অন্দরমহলের আবহাওয়া খুব কমই ধরতে পেরেছে মেয়েরা। শরীরের অনুভূতিপ্রবণ আকরগ্রন্থিরাজির কোন কোরক ঠিক কখন স্পর্শ করলে বেরিয়ে আসে ভাল লাগার শীৎকার ,কিংবা ক্রোধের চিৎকার, সুতপা তা জানে। আমাকে সে গুলে খেয়েছে। অনেক হোঁচটের পর পাটিগণিতের সকল মার-প্যাঁচ যেভাবে ধরে ফেলে সবাই। বিদ্যেটা এখন সে ইফতির ওপর ফলাচ্ছে। ওরা কি রোজ সিএনজি করে ফেরে ? ইফতি এক দিন বলেছিল, বাসে ওঠা তার অপছন্দ। তার চেয়ে রিকশা ভাল। হ্যাঁ, রিকশা তো ভালই। তুই তো রিকশাতেই আছিস এখন।সহযাত্রীর প্রতি অরুচি আসার পর একসময় নেমে যাবি। আমাকেই প্যাডেল মেরে চলতে হবে !
মাঈশার জন্য একটা ঝুনঝুনি কিনি। আবারও খিদে খিদে পাচ্ছে। তিনটে মাঝারি সাইজের আমড়া পনেরো টাকা। মায়ের কিস্তির টাকাটা জমা দেয়ার বাকি আর দুই দিন।
ঈদ এলেই মা খুব খুশি। টুকুন এবার মা'কে শাড়ী কিনে দিয়েছে। মায়ের মুখে হাসি। ছেলে হাতে করে এনেছে শাড়ি, তাও আবার একা। বোধ হয় কণিকে না বলে কিনেছে ভেবে নিয়েছে মা। আমি জানি, শাড়িটা কণিই কিনেছে। ওর পছন্দ খুব সুন্দর।
কণিই প্রথম চিঠি দেয় টুকুনকে। তখন আমার কাছে পড়তে আসতো। বন্ধুর মতো সম্পর্ক ছিল। এক দিন লাজুক চাহনিতে বললো, মেয়েরা কাউকে ভালবাসলে তাকে নিজে থেকে জানানোটা কি ভুল? জবাব দিয়েছি, ভালবাসার তুই কি বুঝিস ? সে তো বিস্তৃত আকাশের মতো। হাসি-কান্নার ঠিক নেই। শক্ত চোয়ালে ও জবাব দিয়েছিল-' আমার দুইই চাই।'
মা এসবের কিছুই জানে না। কণিকে তার অপছন্দ। আমার কিন্তু বেশ লাগে। আমার ভাইকে যে ভালবাসে, তাকে ভালবাসব না ? মা বলে কণির জন্যই টুকুন ঢাকার বাইরে পোস্টিং নিল। কণির ব্যাংকের চাকরি মা’কে ছেলের থেকে দূরে করে দিয়েছে। এই কথাগুলো যখন মা বলে, আমার নাক তখন ডুবে থাকে বইয়ের তাকে। খুঁজে চলি শৈশবের সোঁদা গন্ধ। সেখান থেকে উঠে পুরোনা গিটারটা টুংটাং বাজাই। দাঁড়ি-গোঁফ উঁকি মারার বয়সের এই দুই অবিচ্ছেদ্দ্য সঙ্গীদের আমি নিজের বাড়িতে নিয়ে যাইনি। এই বই, গীটার, দখিনের জানালা,বাইরের আকাশ,ভেসে চলা স্বপ্ন,সবই আমার অম্ল-মধুর বয়সের স্মৃতি।
মাঈশাকেও এ রকম একটা ঘর বানিয়ে দেব। ইটের গাঁথুনি থাকবে কিনা জানিনা। ওর নানার বাড়িতে পাঁচ ইঞ্চির গাঁথনি দেওয়াল ভেঙে তাক করা যায় না। তবে বুক শেলফ্ আছে। ঘর বানানোর পর আমি দৈনিক পত্রিকা হাতে নিয়ে বক বক করতে করতে চা খাব, আর মাঈশা কানে ইয়ারফোন গুঁজে হার্ডরক শুনতে শুনতে বইয়ের তাকে সেঁধিয়ে যাবে। সে দিন অনেক দূর এখনও।
***********************
কবিতাটা ওরা ছাপিয়েছে। চলতি সহ বকেয়া মাসের সম্মানিও পাঠিয়েছে। ক'দিন নিশ্চিন্তে চলে যাবে।একসময় সুতপা আমার কবিতার লাইনগুলো শুনতে অফিস ফাঁকি দিতে ভয় পেত না। কিন্তু এখন সেই অক্ষরগুলোই তার চোখে অনিশ্চয়তার রেখাচিত্র-'কবিতায় চলবে ? সারা জীবন শুধু পরে পরে লিখলে ? উঠে আর দাঁড়াতে পারলে না।'
বাকি জীবন তো দুর অস্ত, কোনকিছুই কি একটানা বেশিদিন ভালবাসা যায়?
********************
সুতপা আজ খেয়ে এসেছে। অফিসে পোগ্রাম ছিল। তা বটে ! তোমরা খেয়ে নাও। আমি সন্ধেবেলা একগাদা রিচফুড খেয়েছি, বলতে বলতে 'সেকলো' মুখে পুরছে । ফোন বাজছে ভেতরের ঘরে। মাঈশা দৌড়ে গেল ফোন আনতে, ইফতি কে আম্মু? ফোন করছে। সুতপা তাড়াতাড়ি ফোনটা নিয়ে বারান্দায় চলে গেল। বহু দিন হল ইফতি এ বাড়িতে আর আসে না। আগে পড়তে আসত সুতপার কাছে। আমি মায়ের ওখানে গেলে দুজন কফি বানিয়ে খেত জানি। ফিরে এসে ময়লা ফেলার পাত্রে নেসক্যাফের মিনিপ্যাক দেখে আন্দাজ করে নিয়েছি। সুতপার কাছে রান্না ব্যাপারটা বেশ বিরক্তিকর। ও বিকল্প খুঁজে নিতে পারে। আমাকেও তো করেছে।
ইফতি এক বার আমাকে বেঁফাস বলেছিল, সংসারের জোঁয়ালটা দুইজনের কাঁধে থাকা সুবিচার নয় কি ? খুব বিরক্ত লেগেছিল। সুতপার ভোটার আইডি কার্ডে আমার নামটা এখনো আছে। একটা নীলচে ফর্মে পাশাপাশি দুজন স্বাক্ষর করার ক্ষন থেকে ওর সকল দায় তো আমারই ? ইহধামের সকল চেতন-অবচেতন কর্মযজ্ঞের। ইফতি কেবল এসবের একটা অংশমাত্র। মহাবিচারের দিন সুতপা তার জীবনের ওই অংশটুকু নির্ভর করবে আমার জবানবন্দীতে। সেই সময়টার অপেক্ষা শুধু। কথাটা স্মরন করিয়ে দিতে ইচ্ছে হয়না। আমার বেশি কথা বলতে ভাললাগে না। পরে সুতপাকে বলেছিলাম, 'ছেলেটা বুদ্ধিমান।' ও বলেছিল- 'টিপ্পনি কেটোনা। ভাল না লাগলে পাত্তা না দিলেই তো হয়!' কথাটা বলেই শাড়ির কুঁচি ঠিক করতে লেগে পড়ে সুতপা। আমার সঙ্গে অপছন্দের আলোচনা এড়াতে সুতপার অস্ত্র শাড়ির কুঁচি ঠিক করা। এত নিঁখুত করে ফালি ফালি পরতে সাজিয়ে আল ঠিক করে যেন খানিকক্ষন পরই ভাঁজ খোলার প্রতীক্ষা ! ইফতি নিশ্চয়ই জানে। মাঈশার মুখে আধো আধো বুলি ফুটছে। এখন বলে-'বুলো বাব্বা।'
কথাটা কি কেউ শিখিয়ে দিয়েছে ?
*******************************
চাকুরীর পরীক্ষা দিয়ে ফেরার সময় বাসে সুতপা আমার হাত ছুঁয়ে বলেছিল তোমার চোখের নিচের এই গভীর কালির দাগ একদিন মুছে দেব। আমি হেসে বলেছিলাম, ওটা সবার আছে। বাবারও ছিল। এ অমোচনীয়। সুতপার কাছে, দাগটা ক্লান্তিগত। আসলে প্রেমিকাদের মধ্যে সবসময় বোধহয় একটা লড়াকু জেদ কাজ করে ? ভাইকে দাঁড় করানোর আর মাকে একটা ভাল জীবন দেওয়ার ইচ্ছেটাকে ঘিরে তখন একটা আলো বিরাজ করতো। বিয়ের পর সেটা নিভে গেল। সুতপা মাঝে মাঝে বলত, কলেজের চাবুক ছেলেটা এখন একেবারে নিরামিষ !
খারাপ লাগত আমার। ওর কাছে আমিষ হতে গেলে যা যা করতে হয় তা করে উঠতে পারতাম না। বিছানা ভাগাভাগি শুরুর পর সুতপা অন্যমানুষ !
আগে ভাবতাম বাসে কেউ ছুঁড়ে মারলেই নাম্বারটা টুক করে টুকে নেব। আমার তো সে রকম কোনও সমস্যা ছিল না। শুধু যখন চরম সময়ে বলতাম-'আই লাভ ইউ'' সুতপা যেন আহত হতো !.....'এই তো ! বলতো তুমি আমাকে কি করছো?'
-আদর করছি।
সুতপা ঝেংটি মেরে বলতো- ' আহ্! এত ভাল কথা বলছো কেন! একটু খোলামেলা হতে সমস্যা কোথায় ?'
পারতাম না। জানি না তা নয়। খিস্তি জানি সবই। কিন্তু বলা যায় এ ভাবে! তাও সবচেয়ে আকাংখিত মুহুর্তটিতে ! আমি পারি না সুতপা। প্লিজ জোর করো না! বার বার মাথা ঝাঁকিয়ে ও আমার বুকের ওপর ফণা তুলতো। বলো কী করছো? তুই পুরুষ ? আমার জিভ আটকে যেত। সুতপার সুখের ঘাম ছিটকে এসে পড়ত আমার কপালে, ঠোঁটে। বলত, একটু খারাপ হতে সমস্যা কি ? ব্যাপারটা বড্ড গতানুগতিক হয়ে যাচ্ছে না ? আমি থমকে যেতাম। এই টানাপোড়নে শরীরের চূড়ান্ত আবেগ ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে নেমে আসত নিরাবেগ শিথিলতায়। এভাবে কতদিন ? তাই বিকল্প পথটা বেছে নিয়েছে সুতপা। ইফতি হয়তো ওর শরীরে ঢুকে রোজই ওই কথাগুলো বলে। কিন্তু এটাতেও তো একদিন একঘেয়েমি চলে আসবে ? তারপর ? আচ্ছা, আগ্রহ হারানোর অন্যকোন কারণ ছিল কি ? আমি বোধহয় এখনও ওকে খুব ভালবাসি। নইলে এই লুকোচুরি কেন এড়িয়ে চলছি ? কেন করি? ও যে আমাকে একদম ভালবাসে না, তা নয়। সংসারের প্রতি মায়া ওরও আছে।ইফতিকে তাই তাই চৌকাঠের ওপারে রেখেছে। এ পারে আনবে না বোধ হয়। সুতপার বাইরের পৃথীবির ভার এখন ইফতির। আমি দেখি ভেতরেরটা। এখানে অন্ধকার।
***************
অনেক দিন পরে আজ সুতপার পাশে শুচ্ছি। ঘরে ডিমলাইটের মিটমিট আলো। টেবিলে পানির বোতলের মুখ খোলা। খাটে দু-চারটে ছড়ানো কাগজপত্র। আমাকে দেখেই কাগজগুলো গুছিয়ে রেখে সুতপা বললো-' শুয়ে পড়। সকালে উঠতে হবে।'
-হ্যা। টুকুন ফোন করেছিল। মা অসুস্থ্। কাল হাসপাতালে নিয়ে যাব।
- কাল ? কখন ? দরকার থাকলে আমাকে জানিও। চলে আসবো।
আসতে পারলে তো ভালই হয়। ভরসা থাকে, বলতে বলতে আমি ওকে ডিঙিয়ে বোতলের মুখটা লাগাতে যাচ্ছিলাম। বালিশের পাশে রাখা মোবাইলে নিঃশব্দে আলো জ্বেলে উঠে মেসেজ এল...স্ক্রীনে ফুটে উঠলো ‘ইফতি’... আমি চটপট বোতলটা নিয়ে ঘুরে শুয়ে পড়ি। চৌকাঠটা এগিয়ে আসছে এই মুহূর্তে। ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে আমার ঘর। ভাগের বিছানার ছোট্ট এই পরিসরটুকুর সীমা ছুঁয়ে ফেলার আগেই চোখ বন্ধ করে সজোরে চৌকাঠটাকে ঠেলা মারি। আর একটু, আর একটু জায়গা চাই আমার। অন্তত ঘুমিয়ে গিয়েও যদি এক বার পাশ ফিরতে চাই...ভাগের জায়গাটুকু যেন খুঁজে পাই।
ছবি ঃ ইন্টারনেট