সন্ধ্যে পেরিয়ে রাত হয়েছে
অনেক আগেই,
আমি বসে আছি আমাদের ছোট
শহরের ছোট্ট লঞ্চ ঘাটে,
চুপচাপ।
বিকট শব্দে ভেঁপু বাজিয়ে লঞ্চগুলো
ঘাটে ভেড়ে, শুরু হয়ে যায়
যাত্রীদের নামা-ওঠা,
চীৎকার চেঁচামিচি,
কুলিদের, অটো ড্রাইভার,
হোটেল দোকানিদের
হাঁক-ডাক, মাত্র কিছু সময়ের জন্য
আবার ছেড়ে যায়
লঞ্চটা আমাদের ঘাট ছেড়ে,
ভেঁপু বাজিয়ে, এলোমেলো সার্চ লাইট জালিয়ে।
সমস্ত নির্জনতা, সমস্ত নিরবতা
ভেদ করে লঞ্চটা ছুটে চলে
বুকের ভেতর হু হু করে।
ভাবছিলাম কাছের বন্ধুরা সব অসুস্থ হয়ে পড়ছে
একে একে কেমন,
ব্লুটুথ হয়ে
নিজের মধ্যে ধারন কর নিতে পারতাম
যদি ওদের সমস্ত দু:খ কষ্ট।
কিন্তু হায়,
পারিনা, আমার অক্ষমতা আমাকে
কুরে কুরে খায়।
এরই মাঝে ভোর হয়ে আসে
ফিকে আলোর আভা দেখা দেয় চারিধার
দু'চারটে পাখী উড়ে যায়
এদিক থেকে সেদিক
নিরুদ্দেশ, অবশেষে,
শেষ লঞ্চটা ছেড়ে যায় ঘাট থেকে
ভোঁ..ও.....ভোঁ শব্দ করে,
আমি তখনও বসে থাকি
ঘাট প্রাঙ্গণে
এক রাশ বিষন্নতা নিয়ে
ভাবতে থাকি,
আমার কবে ছুটি হবে,
কবে আমি বাড়ি যাব ?