আগের পর্ব .........
৩। গরীব মহিলাদের সবাই উদ্যোক্তা?
আপনারা যারা এই লেখা পড়ছেন তাদেরকে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন সেরকম ধরে নেয়া যায়। হয়ত এক-আধজন ততদূর যেতে পারেননি, কিন্তু ৯০%এর উপরে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন। বাংলাদেশে কলেজ-বিশ্ববিদ্যলয়ে যেতে হলে কিছু সোনার চামচ মুখে দেয়া বড়লোকের স্পয়েল্ট সন্তানরা ছাড়া অন্যদেরকে অনেক সংগ্রাম করতে হয়। যারা স্মার্ট না, তাদের পক্ষে বেশিদূর আসা সম্ভব না আমাদের অসম এবং বৈষম্যযুক্ত সমাজব্যবস্থার কারণে। তাহলে আপনারা যারা এই লেখাটা পড়ছেন তারা বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারি শিক্ষিত সমাজের স্মার্ট লোকজনের প্রতিনিধিত্ব করেন। আপনাদের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু-বান্ধবরাও তাই। আপনি কি একটু চিন্তা করে দেখবেন আপনার কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে কতজন ব্যবসা করেন? বাপের ব্যবসা না, নিজে উদ্যোগ নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছেন এরকম শতকরা হার কয়জন? খুব কম, তাই না? বেশিরভাগই চাকরি করেন। আপনার কলেজ-বিশ্বববিদ্যালয়ে যাদের সাথে পড়েছেন সেসব বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে হয়ত শতকরা ৫% এরও কম (আমার মতে ১%এর বেশি না) নিজের উদ্যোগে কোন ব্যবসা শুরু করেছেন। নিজের উদ্যোগে কোন ব্যবসা শুরু করলে, তাদেরকে বলা হয় উদ্যোক্তা। ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতার উপর ভিত্তি করে মানুষকে রিস্ক-এভারস (যারা ঝুঁকি নিতে চাননা), রিস্ক-প্রোন (যারা রিস্ক নিতে ভালবাসেন) এবং রিস্ক-টলারেন্ট (যারা মাপা ঝুঁকি নেন যদি প্রয়োজন হয়) এই তিনভাগে ভাগ করা যায়। শেষোক্ত দুইশ্রেণীর মধ্য থেকেই উদ্যোক্তা হয়। সারাবিশ্বজুড়েই এদের সংখ্যা ১০%এরও কম। আবার এদের মধ্যে যারা নিজে ব্যবসা শুরু করেন তাদের সংখ্যা আরো কম, ধরেন ৫%। আবার এদের মধ্যে যারা সফল উদ্যোক্তা, ব্যবসা করে অনেক কামাতে পারেন তাদের সংখ্যা আরো কম, ২-৩%। উদ্যোক্তা নিয়ে এতসব ত্যানা প্যাঁচাচ্ছি তার একটা কারন আছে। যদি সবচেয়ে স্মার্ট জনগণের মধ্যেই ২-৩% এর বেশি সফল উদ্যোক্তা না থাকে, তাহলে সমাজের সবচেয়ে দলিত, অবহেলিত, শিক্ষা-দীক্ষাহীন অনগ্রসর গরীবলোকদের মধ্যে কি কোন হিসেবেই ৩-৫% এর বেশি উদ্যোক্তা থাকা সম্ভব? সম্ভব না, বাস্তবতা এবং অর্থনীতির থিয়রী অনুসারেই সেটা সম্ভব না। অথচ আমাদের ক্ষুদ্র-ঋণের প্রবক্তারা ধরে নেন যে গরীবলোকদের মধ্যে মহিলারা (যারা সাধারণত পুরুষদের থেকে উদ্যোক্তা হওয়ার সম্ভাবনা আরো কম, রিস্ক-এভারশানের কারনে), তাদের মধ্যে ১০০%-ই উদ্যোক্তা! কি আজীব! এই অনুমিতিটা (এজাম্পশান) সম্পূর্ণভাবে বাস্তবতাপরিপন্থী। তো এরকম গণহারে ভুল অনুমিতি ধরে সব গরীবলোকদেরকে ক্ষুদ্রঋণের কাস্টমার ধরে নিলে যে এরা ব্যবসা করে কিস্তি ফেরত দিতে পারবেনা, তাতে আশ্চর্য্য হওয়ার কি আছে? কিস্তি ফেরত দিতে না পারলে এরা ভিটে-মাটি হারাবে, আরো গরীব হবে, এতে ক্ষুদ্র-ঋণের ব্যবসায়ী উদ্দেশ্যটা, যা উপরে বলেছি, সেটার জন্য সুবিধা। আর গরীবদের মধ্যে যে ২-৩% আসলেই উদ্যোক্তা তারা উদ্যোক্তা বলেই সফল হবে, এদেরকে তখন উদাহরণ হিসেবে দেখানো যাবে। বর্তমানধারার প্রচলিত ক্ষুদ্র ঋণের গোড়ার অনুমিতিতেই গলদ আছে, তাই এটা কোনভাবেই সফল হতে পারেনা, দারিদ্র্য দূরীকরণ কোনমতেই হতে পারেনা যদি ধরে নিই গরীবদের মধ্যে ১০০% মহিলাই উদ্যোক্তা।
৪। প্রথম সপ্তাহ থেকেই কিস্তি দিতে হয় কেন?
প্রচলিত ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমে মূল ঋণ যখন দেয়া হয় তার পরের সপ্তাহ থেকেই কিস্তি দিতে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রথম কিস্তি মুল ঋণ থেকেই কেটে রেখে বাকিটা দেয়া হয়। এটা চরম অবিচার ছাড়া কিছুই নয়। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে ঋণ প্রদানের উদ্দেশ্যই হচ্ছে গ্রহীতা সেটা বিনিয়োগ করে লাভবান হবে, লাভের অংশ থেকে ঋণের টাকা সুদাসলে ফেরৎ দিবে। এজন্য তাকে বিনিয়োগ করে লাভ করার মত সময় দিতে হবে, সেটা বিনিয়োগকারী/ঋণগ্রহীতা আর ঋণ প্রদানকারীর পারস্পরিক চুক্তির মাধ্যমে হতে পারে বা দেশের প্রচলিত ব্যাংকিং আইন অনুসারে হতে পারে। কিন্তু ক্ষুদ্র ঋণের ক্ষেত্রে যদি প্রথম সপ্তাহ থেকেই কিস্তি ফেরৎ দিতে হয় তাহলে গ্রহীতা এই টাকা বিনিয়োগ করবে কখন, কখন লাভ পাবে আর কখন লোনের টাকা ফেরৎ দিবে? নিঃসন্দেহে এমন ব্যবসা খুব কমই আছে যেখানে এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যবসার কাঁচামাল, স্থায়ী সম্পত্তি ইত্যাদি জিনিসপত্র কিনে ব্যবসা শুরু করে মূলধন উঠিয়ে আরো লাভ করবে। ধরুন গৃহপালিত পশুপালন বা মৎস্য চাষের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ নেয়া হল, তাহলে কিভাবে এক সপ্তাহের মধ্যে এই টাকা বিনিয়োগ করে, লাভ করে কিস্তি দেয়া সম্ভব? সবকিছু ঠিক করতেই তো মাস ছয়েক লেগে যাবে, অথচ সেই সময়ের মধ্যে ঋণের টাকার অর্ধেকরও বেশি শেষ। তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কোন উৎপাদনমূলক কাজ শুরু না করেই, যে ঋণ নেয়া হয়েছে সে ঋণের কোন সুফল না পেয়েই খুবই কড়া সুদে কিস্তি ফেরৎ দিতে হচ্ছে! এটা কি অবিচার নয়? এরকম ক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতাদের একটা বড় অংশই ঋণ ফেরৎ দিতে পারবেনা, পরিণামে ভিটে বাড়ি হারাতে হবে, এতে আর আশ্চর্য্য কি? সিস্টেমই করা হয়েছে যাতে ঋণগ্রহীতা ঋণ ফেরৎ দিতে না পারে।
৫। সবাই একই পণ্যই বিক্রি করে, ক্রেতা কোথায়?
কোন পণ্য বিক্রি হবে কিনা সেটা নির্ভর করে চাহিদা আর যোগানের উপর। পানির যোগান চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি, তাই পানির দাম কম, যদিও পানির গুরুত্ব অপরিসীম। হীরার যোগান চাহিদার তুলনায় অনেক কম, তাই আপাতদৃষ্টিতে এটার ব্যবহারিক উপযোগিতা পানির তুলনায় খুব কম হলেও দাম অনেক বেশি। যখন কোন এলাকায় কোন ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান ঋণ দেয়, তখন দেখা যায় এক এলাকার সব ঋণ গ্রহীতাই একই ধরণের ব্যবসা করছে। বেশিরভাগই হয়ত মুরগী পালন করছে, অথবা গরুর দুধ বিক্রি করছে এরকম কিছু। মোটামোটি বলা যায় ব্যবসায়ে তেমন বৈচিত্র্য চোখে পড়েনা। এটার কারন ২ নং পয়েন্টের সাথে সম্পর্কিত। একই এলাকায় সবাই একই পণ্য বিক্রি করলে যোগান অনেক বেশি হয়ে যাচ্ছে অথচ চাহিদা নেই। তাতে ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতারা মার খেয়ে যাচ্ছে, তাদের পণ্য বিক্রি হচ্ছে না, হতাশ হয়ে কয়দিন পরে ঋণের টাকাটাই উড়িয়ে দেয়, যদিও প্রথমে খুব আগ্রহের সাথেই শুরু করেছিল।
তবুও ঋণ খেলাপ এত কম কেন?
প্রশ্ন হচ্ছে ঋণ পরিশোধ করতে না পারার এত সিস্টেম করে রাখলেও কিভাবে গ্রহীতারা ঋণ ফেরৎ দেয়, ডিফল্ট রিস্ক এত কম কেন? প্রশ্নটা খুবই প্রাসংগিক। আমরা বুঝতেছি ক্ষুদ্র ঋণের গরীবদের রক্ত চোষার সব কারিগরী থাকলেও ঋণ ফেরৎ দেওয়ার হার ৯৮%! এটা একটা কনানড্রাম বটে। ঋণ দেয়া হয় ৫-১০ জনের একটা গ্রুপকে, যদি একজন ডিফল্ট করে তাহলে সবাইকেই বিভিন্নরকম পেনাল্টি দিতে হয়। তাই গ্রুপের মধ্যেই একজন অন্যজনকে নিজেদের স্বার্থের জন্যই চাপে রাখে যাতে সময়মত কিস্তি ফেরৎ দেয়, নাহয় সবারি সমস্যা হবে। আবার একটা ঋণ শোধ করতে না পারলে তাকে একই প্রতিষ্ঠান থেকে আরো ঋণ দেয়া হয়, সে ঋণ দেয়ার সময় আগের ঋণের কিস্তি কেটে রাখে, ঋণগ্রহীতা নতুন ঋণ থেকে নেক্সট কিছুদিন দুই ঋণেরই কিস্তি শোধ করে। একসময় দুটা ঋণেরই কিস্তি দিতে না পরে অন্য একটা ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান থেকে কড়া সুদে ঋণ নেয়, সেখানেও একি অবস্থা, তারপর আরেকটা থেকে। অনেকে শেষে এসে মহাজনদের কাছ থেকে আরো কড়া সুদে ঋণ নেয়, এভাবে চলতে থাকে বছর ৪-৫, তারপর একসময় তার ঘরের টিন থেকে শুরু করে সব চলে যায়। একদিন তাকে তার ঘড়-বাড়ি হারাতে হয়, যদি জমি থাকে সেসব বিক্রি করতে হয়। ঋণ গ্রহীতাকে ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরাই গিয়ে পরামর্শ দেয় জমি বিক্রি করার, গরু বিক্রি করার, যতক্ষণ কিস্তি ফেরৎ দেয়া না হয় ততক্ষণ বাড়িতে গিয়ে বসে থাকে, ঘ্যানর ঘ্যানর করতে থাকে। বাসার স্কুল পড়ুয়া ছেলেকে কাজে পাঠাতে বলে, সো মাচ সো ফর পভার্টি এলেভিয়েশান!
তবে এটা হচ্ছে এক্সট্রিম কেইস, মোটামোটি ১০-১৫% কেইস এরকম হয়। প্রায় ৭০% লোক নিয়মিত ভালমতেই কিস্তি পরিশোধ করে। এরা সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করে, কিস্তির টাকা না দিলে আশেপাশের লোকজনের কি হয়েছে সেটা মনে রাখে, তা ভেবে শিউরে উঠে, তাই যে কোন মতেই অন-স্কেজিউল কিস্তির টাকা দেয়। কিন্তু এরা কোনমতে কিস্তি পরিশোধ করতেই সব শেষ হয়ে যায়, কোনমতে পরিবার চালায়। সচ্ছলতা দেখা যায়না, দেখা যায় বছরের পর বছর ধরে ১০-১২ বছর কিস্তি দিচ্ছে, ঋণ নিচ্ছে কিন্তু অবস্থার উন্নতি নাই, যদিও ঋণ ঠিকমতই পরিশোধ করছে। এরা ঋণ যখন নিয়েছিল তখন যে অবস্থায় ছিল এখনও সেই অবস্থায় আছে, হয়ত অতি সামান্য ভাল হয়েছে, কিন্তু সেটা কিস্তি পরিশোধ করার জন্য অতিরিক্ত অমানসিক পরিশ্রম করে বলে, ক্ষুদ্র ঋণের কেরামতির জন্য না। এদের অবস্থা ভালও না খারাপও না, তবে এদের মধ্যমে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো ফুলে ফেঁফে উঠে। এরকম ঋণগ্রহীতাদের পাওয়ার জন্য ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কাড়াকাড়ি পড়ে যায়, কর্মচারীরা এদের বাড়িতে গিয়ে বসে থাকে ঋণ দেয়ার জন্য, এদেরকে বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে আরো ঋণ দিতে চায়। ক্ষুদ্র ঋণ যে উপকারটা করেছে সেটা হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ, বিশেষ করে গরীবরা যে প্রচন্ড পরিশ্রমী এটা প্রমাণ করেছে, এদের পরিশ্রম এদের দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য কাজে লাগেনি, ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোই লাভবান হয়েছে শুধু।
আর খুব বেশি হলে ১০% লোক কিছুটা উন্নতি করতে পারে, তবে এটা এদের অতিরিক্ত উদ্যোক্তাসুলভ গুণের জন্যই হয়, ক্ষুদ্র ঋণের আহামরি কোন কারিশমার জন্য না। ইন্ডিভিজুয়াল কেইস বিশ্লেষণ করলে এদের সাফল্যের পিছনে অন্য অনেক কারন পাওয়া যায়, ক্ষুদ্র ঋণ না নিলেও হয়ত এরা সফল হত অন্যকোনভাবে। তবুও আমরা ধরে নিচ্ছি এরা ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে উপকার পাচ্ছে।
তাহলে ক্ষুদ্র ঋণের দরকারটাই বা কি?
তবে এতসব সমস্যা থাকা স্বত্ত্বেও আমি মনে করি ক্ষুদ্র ঋণের দরকার আছে। ডঃ ইউনুস যেমন দাবি করেন ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে দারিদ্র্যকে জাদুঘরে পাঠাবেন ওসব স্টান্টবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়, বড়জোর সেলসম্যানশিপ বলা যায়, এর বেশি কিছু না। ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে কখনই বড় আকারে দারিদ্র্য দূরীকরন সম্ভব না, সেটার জন্য অর্থনৈতিক নীতির ব্যাপক পরিবর্তন করতে হবে, খুবই দূরদৃষ্টিসম্পন্ন অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে, দূর্নীতি সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে, অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে, দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে এবং কৃষিভিত্তিক শিল্পকাঠামো নির্মান করতে হবে। একমাত্র সৎ এবং যোগ্যতাসম্পন্ন রাজনৈতিক নেতৃত্বের মাধ্যমেই টেকসই উন্নয়ন (সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট) সম্ভব। সাইফুর রহমান এ কথাই বলেছিলেন। কিন্তু সেসব এই লেখার আওতার বাইরে। আমি মনে করি ব্যাপক হারে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরী করার জন্য ক্ষুদ্র ঋণ খুবই ভাল ভূমিকা রাখতে পারে, তবে তা কোনমতেই বর্তমানে প্রচলিত ক্ষুদ্র ঋণ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় সম্ভব না । ক্ষুদ্র ঋণ গুরত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক আবিষ্কার বলে মনে করি, তবে কিভাবে সেটা বাস্তবায়ন করা উচিৎ সেটা আমি পরের পর্বে আলোচনা করব।
(পরের পর্বে সমাপ্য.....................................)
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১২:২৮