ভোররাতের দিকে প্রচন্ড বজ্রপাতের আওয়াজে ঘুম ভেঙে গেলো আনিসের। ধড়মড় করে বিছানায় উঠে বসলো সে। ইদানীং এই ব্যাপারটা খুব হচ্ছে; জোরে কোনো আওয়াজ শুনলেই বুকের মধ্যে ধড়ফড় করে তার। ধাতস্থ হতে কিছুটা সময় নিয়ে বেল টিপল। এই রাত দুপুরে একবার বেল টিপলেই কাজের মেয়েটা উঠে আসবে এমন মনে করা বোকামি, ও মোষের মতো ঘুমায়। আনিস কয়েকবার বেল টেপার পর ঢুলতে ঢুলতে সতেরো বছরের কুলসুম এসে দরজায় দাঁড়ালো। এক গ্লাস পানি চাইতেই আবার ঢুলতে ঢুলতে চলে গেলো। মেয়েটা অনেকটা বেড়াল স্বভাবের, নিঃশব্দে হাটে। বিছানায়ও বেড়ালের মতো গুটিসুটি মেরে থাকে, আনিস ঘুরিয়ে ফিরিয়ে মনের স্বাদ মিটিয়ে ওকে ব্যবহার করতে পারে, কোনো সাড়া শব্দ করে না কখনোই। সাড়া শব্দ করার কোনো উপায় ও অবশ্য ওর নেই। গ্রাম থেকে আনিস যখন ওকে নিয়ে আসে তখন ওর বয়স সাত, বাপ মা মরা মেয়ে, দেখার কেউ নেই। আনিসের বৌ এর সাথে ঘরের কাজে সাহায্য করতো তখন থেকেই। বৌ এর কথা মনে হতেই ভোঁস করে নিঃশ্বাস ফেলে আনিস, সামনের মাসে বৌ এর বাচ্চা হবে। বাচ্চা বিয়োতেই মায়ের বাড়ী গেছে। মেয়ে হবে না ছেলে সেটাই এখন চিন্তার বিষয়।
কুলসুম কখন পানির গ্লাস হাতে দাঁড়িয়েছে, আনিস অনেকটা চমকে ওঠে, পরক্ষণেই খেকিয়ে ওঠে "কিরে আওয়াজ করতে পারোস না? এমন ভূতের মতোন আইসা খাড়াস ক্যান"
ঢকঢক করে আনিস পানি খায়। তারপর ঘড়ঘড় করে বলে "এদিক আয়" । কুলসুম বেড়ালের মতো নিঃশব্দে আনিসের বিছানায় উঠে আসে।
এই ব্যাপারটা আনিসের খুব পছন্দ, মেয়েটা কখনোই হা না কিছু বলে না। বাধ্য মেয়ের মতো চুপচাপ আনিসের কথা শোনে। অবশ্য আনিসের মনে হয় অন্য কথা , তার নিজের যেমন চাহিদা আছে মেয়েটার নিশ্চয়ই আছে। বয়স তো আর কম হলো না। ওর ও নিশ্চয়ই আনিসের কাছে নিজেকে খুলে দিতে ভালোই লাগে।
সকালের ফিনফিনে আলোটা আনিসের পা স্পর্শ করতে আনিসের ঘুম ভাঙে। পাশেই মেয়েটা অঘোরে ঘুমাচ্ছে। আনিসের মেজাজটাই বিগড়ে গেলো। ধাক্কা মেরে ওকে বিছানা থেকে ফেলে দিলো আনিস। মেঝেতে পরে গিয়ে প্রথমে কুলসুম বুঝতেই পারে না কিছু। এর মধ্যে আনিস খেই খেই করে ওঠে, "তোরে না কইছি কাম শেষ হইলে নিজের জায়গায় গিয়া ঘুমাইবি সবসময়! আর একদিন যদি দেখি এই ঘরে ঘুমাইছোস তাইলে লাত্থি মাইরা মাঞ্জা ভাইঙ্গা ফালামু বেশ্যামাগী।"
***
আনিসের মেজাজ প্রচন্ড খারাপ। বৌ ফিরে এসেছে, তার কোলে শিশু কন্যা। এই ভয়টাই আনিস পাচ্ছিলো ।
আর কি ভয়ঙ্কর , দু'মাস যেতে না যেতেই আনিসের কেবল মনে হতে লাগলো তার মেয়ের চেহারা অনেকটা পাঁচতলার শফিউর সাহেবের তিন বছর বয়েসী মেয়েটার মতোই। পাশাপাশি দু'জনকে রাখলে কে বলবে এরা দুই বোন নয়!!!