somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রতিঘাত

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভোররাতের দিকে প্রচন্ড বজ্রপাতের আওয়াজে ঘুম ভেঙে গেলো আনিসের। ধড়মড় করে বিছানায় উঠে বসলো সে। ইদানীং এই ব্যাপারটা খুব হচ্ছে; জোরে কোনো আওয়াজ শুনলেই বুকের মধ্যে ধড়ফড় করে তার। ধাতস্থ হতে কিছুটা সময় নিয়ে বেল টিপল। এই রাত দুপুরে একবার বেল টিপলেই কাজের মেয়েটা উঠে আসবে এমন মনে করা বোকামি, ও মোষের মতো ঘুমায়। আনিস কয়েকবার বেল টেপার পর ঢুলতে ঢুলতে সতেরো বছরের কুলসুম এসে দরজায় দাঁড়ালো। এক গ্লাস পানি চাইতেই আবার ঢুলতে ঢুলতে চলে গেলো। মেয়েটা অনেকটা বেড়াল স্বভাবের, নিঃশব্দে হাটে। বিছানায়ও বেড়ালের মতো গুটিসুটি মেরে থাকে, আনিস ঘুরিয়ে ফিরিয়ে মনের স্বাদ মিটিয়ে ওকে ব্যবহার করতে পারে, কোনো সাড়া শব্দ করে না কখনোই। সাড়া শব্দ করার কোনো উপায় ও অবশ্য ওর নেই। গ্রাম থেকে আনিস যখন ওকে নিয়ে আসে তখন ওর বয়স সাত, বাপ মা মরা মেয়ে, দেখার কেউ নেই। আনিসের বৌ এর সাথে ঘরের কাজে সাহায্য করতো তখন থেকেই। বৌ এর কথা মনে হতেই ভোঁস করে নিঃশ্বাস ফেলে আনিস, সামনের মাসে বৌ এর বাচ্চা হবে। বাচ্চা বিয়োতেই মায়ের বাড়ী গেছে। মেয়ে হবে না ছেলে সেটাই এখন চিন্তার বিষয়।
কুলসুম কখন পানির গ্লাস হাতে দাঁড়িয়েছে, আনিস অনেকটা চমকে ওঠে, পরক্ষণেই খেকিয়ে ওঠে "কিরে আওয়াজ করতে পারোস না? এমন ভূতের মতোন আইসা খাড়াস ক্যান"
ঢকঢক করে আনিস পানি খায়। তারপর ঘড়ঘড় করে বলে "এদিক আয়" । কুলসুম বেড়ালের মতো নিঃশব্দে আনিসের বিছানায় উঠে আসে।
এই ব্যাপারটা আনিসের খুব পছন্দ, মেয়েটা কখনোই হা না কিছু বলে না। বাধ্য মেয়ের মতো চুপচাপ আনিসের কথা শোনে। অবশ্য আনিসের মনে হয় অন্য কথা , তার নিজের যেমন চাহিদা আছে মেয়েটার নিশ্চয়ই আছে। বয়স তো আর কম হলো না। ওর ও নিশ্চয়ই আনিসের কাছে নিজেকে খুলে দিতে ভালোই লাগে।

সকালের ফিনফিনে আলোটা আনিসের পা স্পর্শ করতে আনিসের ঘুম ভাঙে। পাশেই মেয়েটা অঘোরে ঘুমাচ্ছে। আনিসের মেজাজটাই বিগড়ে গেলো। ধাক্কা মেরে ওকে বিছানা থেকে ফেলে দিলো আনিস। মেঝেতে পরে গিয়ে প্রথমে কুলসুম বুঝতেই পারে না কিছু। এর মধ্যে আনিস খেই খেই করে ওঠে, "তোরে না কইছি কাম শেষ হইলে নিজের জায়গায় গিয়া ঘুমাইবি সবসময়! আর একদিন যদি দেখি এই ঘরে ঘুমাইছোস তাইলে লাত্থি মাইরা মাঞ্জা ভাইঙ্গা ফালামু বেশ্যামাগী।"
***
আনিসের মেজাজ প্রচন্ড খারাপ। বৌ ফিরে এসেছে, তার কোলে শিশু কন্যা। এই ভয়টাই আনিস পাচ্ছিলো ।
আর কি ভয়ঙ্কর , দু'মাস যেতে না যেতেই আনিসের কেবল মনে হতে লাগলো তার মেয়ের চেহারা অনেকটা পাঁচতলার শফিউর সাহেবের তিন বছর বয়েসী মেয়েটার মতোই। পাশাপাশি দু'জনকে রাখলে কে বলবে এরা দুই বোন নয়!!!
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৬
৪৫৬ বার পঠিত
৭টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিরাট ব্যাপার-স্যাপার | রম্য =p~

লিখেছেন জটিল ভাই, ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)


(ছবি নিজের মোবাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাই সরাসরি দুইস্তর বিশিস্ট প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন: নতুন বাংলাদেশের অঙ্গীকার

লিখেছেন বিদ্রোহী ভৃগু, ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৪

ভূমিকাঃ

ছাত্র-জনতার সফল জুলাই বিপ্লবের পর আজ বাংলাদেশ গণতন্ত্র, মৌলিক মানবাধিকার, আইনের শাসন ও প্রকৃত উন্নয়নের এক নতুন পথে যাত্র শুরু করেছে। নোবেল লরিয়েট ড। ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তবর্তীকালীন সরকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=শোকর গুজার প্রভুর তরে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:১৪



প্রভু তোমার দয়ার কথা, বলে হয় না শেষ তো
কত রিযিক আহার দিয়ে, রাখছো মোদের বেশ তো!
তোমার সৃষ্টির কেরামতি, নেই কো বুঝার সাধ্য
তোমার বান্দা তোমার গোলাম, শুধু তোমার বাধ্য!

গাছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সুপার সানডে : সংঘর্ষ ও নৈরাজ্যের পথে বাংলাদেশ!

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭


আজকের দিনটি বাংলাদেশের সচেতন মানুষের দীর্ঘদিন মনে থাকবে। এত সংঘর্ষ ও মারামারি অনেকদিন পর ঢাকাবাসী প্রত্যক্ষ করলো। দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে মানুষ আগে থেকেই উদ্বিগ্ন তার উপর বিভিন্ন অবরোধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভয়েস অব আমেরিকার জরিপে সংস্কার শেষে ভোটের পক্ষে রায় দিয়েছে ৬৫.৯ % মানুষ

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


পাগল ও নিজের ভালো বুঝে ,কখনো শুনেছেন পাগল পানিতে ডুবে মারা গেছে কিংবা আগুনে পুড়ে মারা গেছে ? মানসিক ভারসাম্য না থাকলেও মানুষের অবচেতন মন ঠিকই বুঝে আগুন ও পানি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×