কেউ ভালবাসা দেয়নি, ত্রিশটি (তিন বছর কম) বছর কাটল,
কেউ ভালবাসা দেয়নি,
ছেলেবেলায় এক মেয়ে গালের খুব কাছথেকে মুখটা ফিরিয়ে নিয়ে বলেছিল,
বাকীটুকু শুক্রবার দিন দিয়ে যাবে ।
তারপর কত অন্ধকার, শুক্রবার চলে গেল কিন্তু সেই মেয়েটি আর এলনা..
আঠারো বছর প্রতিক্ষায় আছি।
কাকাবাড়ীর মন্টুকাকা বলেছিল,
বড় হও ভাতিজা তোমাকে আমি সিনেমা হলে নিয়ে যাব
যেখানে বাংলা সিনেমার পরিবর্তে স্বল্পদৈর্ঘ্য ইংলিশ ছবি চালানো হয়।
মন্টুকাকা! আমি আর কত বড় হব?
প্যান্টপরা বাদ দিয়ে ধুতি পরতে শুরু করলে,
তুমি আমাকে সিনেমা দেখতে নিয়ে যাবে।
একসেট তাস (কার্ডস) কিনতে পারিনি কখনো
বাবল-গাম দেখিয়ে দেখিয়ে ফুলিয়েছে কুন্ডুবাড়ীর ছেলেরা,
অনাহারীর মত রায়বাড়ীর গেটে দাঁড়িয়ে থেকে দেখেছি, ভিতরে কানামাছি খেলা
অবিরল ঐ খেলার মধ্যে শর্টপ্যান্ট আর টিশার্ট পরা মেয়েরা ,কত লাফালাফি করেছে
তারা আমাকে একবারও ডাকেনি।
কাকা আমার ঘাড় ধরে বলেছিলেন, চল! দেখিস, একদিন আমরাও..
কাকা আজ আলাদা হয়েছে, আমাদের দেখা হয়নি কিছুই
সেই তাস, সেই বাবল-গাম, সেই কানামাছি খেলা, আমায় কেউ ফিরিয়ে দেবেনা।
দুর থেকে ফ্লাইং কিস ছুরে দিয়ে, বুবলি (মেয়ে) একদিন বলেছিল,
যেদিন আমাই সত্যিকারের ভালবাসবে,
সেদিন সেও আমাকে সত্যিকারের কিস দিয়ে যাবে।
ভালবাসার জন্য তার পেছনে ভেউ ভেউ করে ঘুরেছি
তার কথামত মেরেছি বাপের পকেট
সারা শহর ঘুরে ঘুরে কিনে এনেছি চূড়ি, লিপস্টিক আর নেইলপলিশ।
তবু কথা রাখেনি বুবলি, এখন তার কাছে অনেক ছেলের মোবাইল নাম্বার
এখনো সে যেকোনো ছলনাময়ী।
কেউ ভালবাসা দেয়নি, ত্রিশটি বছর কাটল, কেউ ভালবাসা দেয়না।