(সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায়)
যেতা কইমু হাছাউ কইমু
নাজমুল ইসলাম মকবুল
ওউ অতার নাম নিবা অরতাল। অরতাল উরতাল ডাকিয়া তারা মাঠো নাই। গাড়ি ঘোড়া তো ছলের দেখিয়ার আগর লাখানওই। দোকান দাখানও অনেক জাগাত খোলা। বেহুদা মাইনষরে কষ্ট দিবার দরকার কিতা। অরতাল ডাকিয়া নেতা নেত্রী হকলেউ নাকর মাঝে খাটি হইরর তেল দিয়া এসি রুমো বইয়া বাতাস খাইন। আর নাইলে বেড রুমো ফুতি থাকইন। বউর লগে বাড়তি দুই গাল গফ সফ করইন। আর দেশর যে খতি কররা ইতা তারা ছিন্তা করি দেখইন না। আর নাইলে অরতাল দিয়া তারা মাঠর মাঝে থাকইন না কেনে। ঢাকাত তো বড় বড় কেন্দ্রীয় নেতা হকল আছইন। এরা কিতা ঘোড়ার ঘাস কাটইন নি। মনত কররা খমতা তারার মুখো তুলইয়া আনইয়া দেলাইবো। ইতা অতো সুজা নায়। ইতা যেতা আন্দোলন কররা আর অরতাল অরতাল খেইড় খেলাইরা ইতা দিয়া সরকারর একটা পশমও ইলাইতা পারতা নায়। দেশর বিভিন্ন যাগাত দেখা গেছে সরকারর লগে বা আশপাশর সরকারী দলর নেতা হকলর লগে সমযোতা করিয়া তারা আন্দোলন কররা। বিয়ানে তারা লোক দেখানো মিছিল একটা দিয়া বাড়িত গিয়া ফুতি থাকইন। এর বাদে সরকারী দলর নেতা কর্মীরা মিছিল বার করইন অরতালর বিরুদ্ধে। হেরা গেলে গিয়া আস্তা দিন ঘুমাইয়া বিয়ালে আরবার উঠিয়া আইয়া মিছিল একটা দেইন। আর ঢাকাত তো ইতাও দেখা যায় না। খমতাত গিয়া যেরা ঘি আর মাখন খাইতা করি মুছর মাঝে তেল দিয়া বাড় ছাইরা তারা নিজর ফটো ফেফারো উঠবার লাগি আর টিভি চ্যানেলো দেখাইবার লাগি আখতা আখতা গিয়া এং করেংগা তেং করেংগা ধোড়া হাফর বিছ মারেংগা বখতিতা দিয়া আরবার বাসাত গিয়া বইতাখইন। এরা মোবাইল দিয়া সরকারী দলর নেতা হকলর লগেও বুলে লিয়াজো রাখইন। ইতা অখন কর্মী হকলে বুঝি লাইছে। ডিজিটাল জবানাতো। এর লাগি তারা অখন কয় যেরা ঘি আর মাখন খাইবা এরা এসি রুমো বাতাস খাইন। আমরা আজলি মরা মরইয়া কিতা করতাম। আমরাও ফুত ভাও ছলমু। যে সময় যেবায়দি জোয়ার দেখমু ওউবায়দিউ থাকমু। নেতা অখলে ঘরো বইয়া আরাম করবা আর আমরা রাস্তা ঘাটো পিঠা খাইয়া শরিল পছাইয়া শরিলর রক্ত ফালাইয়া জেল খাটইয়া পয়সা খরছ করইয়া আর নায় গুল্লি খাইয়া মরইয়া কিতা করতাম। কুনু লাভ নাই। খমতাত আইতে পারলে তারা নেত্রীর ছাইরো খানদাবায়দি গিয়া খালি ঘুরঘুর করবা। আর আমরা টটা ছুইমু। কানদাউ ভিড়তাম পারতামনায়। মালতো তারাউ বানাইবা। আমরার বাটো পড়ব টেফি ধরা। তারা হকলতা ছাবিয়া নেওয়ার বাদে যেতা ফালাইয়া যাইবা অতা পড়ব আমরার বাটো। তারার ছেরা ছবিত সুনা রূপার পানি পড়ব। ছেরায় গ্লেইজ মারব। কাপড় চোপড়ও চকচকি করব। আর আমরা তারার করে করে আটা ছাড়া উপায় থাকত নায়।
সরকারে ইতা দেখইয়া আসের। তামশা দেখের। আর কর ইতায় অতাউ করবা। আর কোনতা করতা পারতা নায়। আমরা ঠিকঅউ খমতাত থাকমু। আগে কইছলাম ২০২১ সাল পর্যন্ত খমতাত থাকমু। অখন দেখইয়ার ২০৫১ সাল পর্যন্ত থাকবার সুযোগ বিরোধী দলর নেতা হকলে দেওয়ার লাগি সাধ দিরা।
অখন বুলে রাজনীতি পেশায় পরিণত অইগেছে গিয়া। ব্যবসায়ী আর মিল ফ্যট্টরির মালিক শিল্পপতিহকল আর নায় বিদেশ গিয়া টেখা বানাইয়া আখতা ধরি আইয়াউ বস্তা ভরা টেখা দিয়া বড় বড় দলর ঠিকট কিনিয়া এম.পি অইযাইনগি। মন্ত্রীও অইযাইন। অখনতো সরকারেও সুযোগ করিয়া দিরা। তারা নয়া আইন বুলে ফাশ করছইন। যেযাখান থাকি যেকোন দল থাকি ভাগইয়া আইলেউ টিকেট পাইবা। এরা যেথা টেখা টিকেট কিনবার সময় আর ভোটর সময় খরছ করইন ইতা টেখা ভোটর বাদে সত্তইর গুণ বেশি তুলিলাইতা ফারইন। দেশ গুল্লাত গেলে তারার কিতা। তারার তো দুক দরদ নাই। তারার পুয়া পুড়িনতরে পেলাইন ছড়াইয়া বিদেশ ফাটাইদেইন। হকানো পড়াইন। বউ বাচ্চা বিদেশর উন্নত টাউন হকলর উছা উছা বিল্ডিংও থাকিয়া ফুটানি করে। আর ইকানো তারা দেশর মাইনষর টেখা মারইয়া বিদেশ পাচার করইন। ইদানিং বাক্কা নেতা হকলে তারার পেশা কিতা জিকা করলে কইন পেশা অইল গিয়া রাজনীতি। লেখবার জাগাত লেখিলাইনও পেশা রাজনীতি। লেখতানা কেনেতে। রাজনীতি অইলগিয়া লাভর পেশা। থুড়া টাইমর ভিতরে বস্তা বস্তা মাল কামাইল যায়। কষ্টও বেশি করা লাগেনা। খালি কিছু ভালা গুণ থাকা লাগে।
কইততামনি কিতা কিতা গুণ থাকা দরকার। তে হোনো। একবারে আইন টাটকা মিছা মাত হিকা লাগব পয়লা। ওয়াদা করিয়া ওয়াদা ভাংবার মতো হিম্মত রাখা লাগব। অভিনয় হিকা লাগব, যেনো যে জাতর অভিনয় করা লাগে। মুখো এখান আর বুকুত একান থাকত অইব। লগে টেখা আর লাটি। ইতা অইগেলে আর লেখা পড়ার দরকার নাই। নেতা অইতে আর মাল কামাইতে বেশি সময় লাগত নায়। মরলামতো আমরা আম পাবলিক। আমরারে তারা দা দিয়াও কাটে আরবার ঘড়ি দিয়াও কাটে। ধার ছাক্কু দিয়া জবো করে আরবার ভুতা দা দিয়াও জবো করে। পাটা আর ফুতাইলে তারা ঘষাঘষি করে আর আমরা মরছর খরাফি। অনকু আর কিতা করমু। ই অবস্থা দেখিয়া জানে আর যারেরনা। হায়াত যদি ফুড়াই যিতো আর আল্লায় উঠাইয়া তানর কানদাত নিতাগি তাইলে মনো শান্তি পাইতাম। ইতা যেতা ছিনালা ভইনালা তারা কররা ইতা দেখলে খালি গুসা উঠে। করমু কিতা রবো বাবা। দেশটারে তারা মনো করইন তারার বাফর খালি তাল্লুক। আর যেতা মনে ছায় অতা কররা। কিতা কইতাম বেটা। হারা দিন কইলেউ ইতা শেষ অইতনায়। আর আমরার কথা কে হুনবো রবো বাবা কওছাইন দেখি।
কথাগুলো একজন অতি সাধারন সিলেটী কৃষকের। কথাগুলো কারো েেত্র সঠিক আবার কারো েেত্র সঠিক নাও হতে পারে। কিংবা আংশিক সত্য হতে পারে। তবে সাধারন মানুষের মুখে এ ধরনের কথা হর হামেশা শুনা যে যাচ্ছেনা তা হলফ করে বলা যাবেনা। আর এসব তারা কেন মন্তব্য করছেন তাও বুঝা মুশকিল। তবে এসব বক্তব্যের মিল অমিল সঠিক বেটিক নির্ধারন করবেন সচেতন পাঠক সমাজ।