বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামফলক বাস্তবায়নে সিলেটে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা চাই
...........................................নাজমুল ইসলাম মকবুল
প্রিয় মাতৃভুমিকে পাক হানাদারমুক্ত করতে পরিবার পরিজন তথা নিজের প্রাণের মায়া বিসর্জন দিয়ে জীবন বাজি রেখে দেশের জন্য অস্ত্র হাতে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন বাংলার দামাল ছেলেরা। ৭১এর মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলার মুক্তিকামী বীর মুক্তিযোদ্ধারা অংশ না নিলে আমরা আজ স্বাধীনভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারতামনা। বাংলাদেশ স্বাধীন হতোনা। মতার উঁচু চেয়ারেও কেহ বসতে পারতেননা। অগণিত শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের কাঙ্খিত স্বাধীনতা। অগণিত বীর মুক্তিযোদ্ধা শরিরের বিভিন্ন অঙ্গ হারিয়ে চিরতরে হয়েছেন পঙ্গু। অগণিত মা বোন হারিয়েছেন তাদের সবচেয়ে মুল্যবান সম্পদ ইজ্জত সম্ভ্রম। কিন্তু‘ স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪২ বছর অতিক্রান্ত হলেও বিশেষ বিশেষ দিবসে লোক দেখানো দায়সারাগোছের সংবর্ধনা ও যৎসামান্য ভাতা প্রদান ছাড়া জাতির শ্রেষ্ঠ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ মুল্যায়নে আজও কার্যকর পদপে নেয়া হয়নি। বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই আমাদের ৭১এর মহান বীর যোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ অবদান ও তাদের পরিচিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়। এ অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে একদিন হয়তো আমাদের বীর সন্তানদের গৌরবময় ভূমিকা কালের অতল গর্ভে হারিয়ে যাবে। তাই বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে জাতির শ্রেষ্ট সন্তানদের গৌরবময় পরিচিতি তুলে ধরার নিমিত্তে সারাদেশের প্রতিটি উপজেলা সদরের সম্মুখে দর্শনীয় স্থানে সেই উপজেলার তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নাম খোদাই সম্বলিত স্থায়ী ফলক নির্মাণ করুন। শুধু তাই নয় দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন কমপ্লেক্সের সামনে সেই ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামফলক স্থাপন করতে হবে। অবিলম্বে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ৫০০০/= টাকায় উন্নীত করতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সর্বেেত্র ভিআইপি মর্যাদা দিতে হবে। এসব দাবী বাস্তবায়নের জন্য গত পাঁচ বছর যাবত আমরা সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপরে নিকট স্মারকলিপি দিতে দিতে জোতার তলা য় করেও কোন ফল হয়নি। ন্যায্য এসব দাবীগুলো বাস্তবায়নে আগামীকাল সিলেটে প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট ঘোষনা চাই।
গতকাল সোমবার বিকেলে বিশ্বনাথে মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্ম’র এক জরুরী সভায় সংগঠনের সভাপতি কবি নাজমুল ইসলাম মকবুল সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সাধারন সম্পাদক লিমন মিয়ার পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হোসেন, কোষাধ্য আজিজুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সিতাব আলী, সদস্য রফিকুল ইসলাম, সোহেল আহমদ, আং আহাদ, সিরাজ উদ্দিন, আছাব আলী, মুক্তার আলী, দিদার মিয়া, শফিকুর রহমান, রাসেল মিয়া, কুদ্দুছ আলী, আজম আলী, জালাল উদ্দিন, আছকির আলী, সাহাব উদ্দিন প্রমূখ।