এস.এস.সি পরীক্ষার রেজাল্টের উপর ভিত্তি করে আমাদের স্টুডেন্ট লাইফের ১০বছরের কঠোর সাধনা। প্রতি বছর লাখের মত স্টুডেন্ট A+ পায়, কিন্তু তারচেয়ে বেশি পায়না। যাদের রেজাল্ট খারাপ হয়েছে, তাদেরকে শুনতে হয় বাবা-মার কথা, বন্ধুদের টিটকারি ইত্যাদি। এই সকল কারণে তারা হতাশ, কেঁদে কেঁদে অনেকে চোখ ফুলিয়েছে, অনেকে সারাদিন রুমের দরজা বন্ধ করে রেখেছে, এইসকল ঘটনার ঊর্ধ্বে যে ঘটনা সেটা হল অনেকে সুইসাইড ও করেছে।
.
প্রতি বছর রেজাল্টের সময় আমাদের দেশে অনেক স্টুডেন্ট সুইসাইড করে, অনেকে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়, অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যায়। কিন্তু কেন??
রেজাল্ট খারাপ হওয়ার পর অধিকাংশ স্টুডেন্ট মনে করে বাবার বকা শুনতে হবে/বন্ধুদের সামনে লজ্জায় মাথা হেট হয়ে যাবে/ অপমানিত হতে হবে ইত্যাদি। এরকম মানসিক যন্ত্রণা সইতে না পেরে তারা সুইসাইড করে।
.
এর জন্য আসলে কারা দায়ী? আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ? নাকি ফ্যামিলির অতিরিক্ত শাসন?
.
.
A+ কি নিজের জীবনের চাইতেও মূল্যবান? আমার তো তাই মনে হচ্ছে তা নাহলে প্রতি বছর শত শত সুইসাইডের খবর পড়তে হয় কেন?
একটি A+ জীবনের সবকিছু নয়, সামনে আরও হাজারটা ডিগ্রি পরে আছে, বাস্তব শিক্ষা হল আসল শিক্ষা।
অনেক বাবা তার সন্তানকে মারধোর ও করেন। কিন্তু তাতে কি A+ আসবে? ফলশ্রুতিতে আপনার ছেলেকে হারালেন, A+ কি আপনার ছেলের জীবনের চাইতেও মূল্যবান?
.
(১৬-১৮) বছর বয়সটা ডেঞ্জারাস একটা বয়স, এই সময় সামান্য কথায়/তর্কে/শাসনে মাথা গরম হয়ে যায়, হিতাহিত জ্ঞান থাকে না, যার ফলে রাগে অপমানে অনেকে সুইসাইড করে।
.
সম্মানিত বাবা-মা কে বলছি, আপনার সন্তানের রেজাল্ট খারাপ হলে তাকে বকাঝকা না করে ঠাণ্ডা মাথায় বুঝান, রেজাল্ট খারাপ হলে এমনিতেই মন-মানসিকতা ভালো থাকে না, তার উপর আপনার বকা শুনে পুরো ব্যাপারটা বিরুপ প্রতিক্রিয়া ধারণ করতে পারে।
.
স্টুডেন্টদের বলছি, একটা কথা ভুলে গেলে চলবে না, তোমার বাবা-মা সবসময় তোমার ভালো হবে এমন কথায় বলেন, তারা কখনও তোমার খারাপ চাইবে না। বাবার কথা শুনে মন খারাপ হতেই পারে, কিন্তু তাই বলে রাগ করে হিতাহিত জ্ঞান হারালে চলবে না। A+ তুচ্ছ একটা জিনিস, এটি কখনই তোমার জীবনের চেয়ে মূল্যবান না। A+ পাওয়াটা যেমন স্বাভাবিক, রেজাল্ট খারাপ হওয়াটা তেমনি স্বাভাবিক। এর জন্য হতাশ না হয়ে প্রতিজ্ঞা করতে হবে যেন সামনে রেজাল্ট ভালো হয়।
.
✔ পরিশেষে এইটুকু বলতে চাই, সবকিছুর ঊর্ধ্বে হল তোমার মূল্যবান জীবন, কখনও একে হেলায় নষ্ট করোনা। সকল এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা
.
ツ লিখাঃ Nahid Hossain (N H D)
.
[ BSPI Polytechnic 47 ET ] ツ
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৩