NOD32 এর ব্যাপারে নতুন করে বলার কিছু নেই। বাজারে শ্রেষ্ঠ ৩টি এ্যান্টিভাইরাসের একটি (অপর ২ টি অবশ্যই ক্যাস্পারস্কাই ও বিট ডিফেন্ডার)। তবে অন্যান্য এ্যান্টিভাইরাসের তুলনায় অনেক কম মেমরী খায় বলে আমি NOD32 ব্যবহার করি।
নিচে NOD32 ডাউনলোড করে ফুল ভার্শন ব্যবহারের পদ্ধতি বর্ণিত হলো:
NOD32 Antivirus এর একটি ট্রায়াল ভার্শন প্রথমে ডাউনলোড করুন......
ডাউনলোড করতে পারেন এখান থেকে: View this link
* কেউ যদি ESET NOD32 Smart Security ব্যবহার করতে চান তবে এখান থেকে ডাউনলোড করতে পারেন: View this link
তারপর নিচের লিন্ক থেকে থেকে ইউসার নেম আর পাসওয়ার্ড নিন......
http://www.for-ever.cn/nod32/ (শুধুমাত্র সবুজ রঙে লেখা ইউসার নেম আর পাসওয়ার্ড গুলো নেবেন)
অথবা http://www.nod321.com/
* দুটো সাইটই কাজ করে, তবে প্রথমটা বেশি ভালো.......
ইউসার নেম আর পাসওয়ার্ড কপি করে নির্দিষ্ট জায়গায় পেস্ট করুন, NOD32 আপডেট করুন........
এখন সমস্যা যেটা সেটা হলো প্রায় ৭-৮ দিন পরপর বলবে যে আপনার ইউসার নেম আর পাসওয়ার্ড ইনভ্যালিড হয়ে গিয়েছে এবং আপনার নড আর নিয়মিত আপডেট হবে না। তখন আবার ঐ ওয়েবসাইটে গিয়ে সবুজ রঙে লেখা ইউসার নেম আর পাসওয়ার্ড কপি-পেস্ট করতে হবে। ব্যাস এতোটুকুই! অনেকের কাছেই এই ইউসার নেম আর পাসওয়ার্ড কপি-পেস্টের বিষয়টা বিরক্তিকর লাগে, কিন্তু আমার লাগে না। কারন এতো সুন্দর একটা প্রোডাক্টের জন্য এতোটুকু কষ্ট করা যথেষ্ট জায়েজ বলে আসি মনে করি।
Malwarebytes' Anti-Malware:
Malwarebytes' Anti-Malware, হয়তো অনেকেই নামটা শোনেননি আগে। না শুনে থাকলে সেটা খুবই স্বাভাবিক কারণ ইন্টারনেটে এতো এতো এ্যান্টিভাইরাস, এ্যান্টি-স্পাইওয়্যার, এ্যান্টি-ম্যালওয়্যার সফটওয়্যার ছড়িয়ে ছিটিয়ে যে বিশেষ কোন একটি সফটওয়্যারের নাম এখন আর আমাদের মনে থাকে না (কিছু বিখ্যাত সফটওয়্যার ব্যতীত)। Malwarebytes' Anti-Malware আমি প্রথম ব্যবহার করি যখন আমারই অসাবধানতাবশে আমার কাজিনের পিসিতে একটি সফটওয়্যারের ক্র্যাক ডাউনলোড করতে গিয়ে আমি "উইন্ডোজ এ্যান্টিভাইরাস ২০০৯" নামক একটি ভাইরাস ডাউনলোড করে ফেলি। সমস্যাটা হচ্ছে "উইন্ডোজ এ্যান্টিভাইরাস ২০০৯" একটি Rogue Software যা আপনার পিসিতে নিজে থেকেই ইন্সটলড হয়ে দেখাবে যে আপনার পিসিতে গোটা ৫০ ভাইরাস অবস্থান করছে। আপনি যদি ওদের এই সফটওয়্যারের ফুল ভার্শন পয়সা খরচ করে কেনেন তবে ওরা আপনার পিসি থেকে ভাইরাসগুলো সরিয়ে দেবে। প্রকৃতপক্ষে আপনার সিস্টেমে এমন কোন ভাইরাসই নেই যা ওরা দেখাচ্ছে বরং উইন্ডোজ এ্যান্টিভাইরাস ২০০৯ নিজেই একটি ভাইরাস এবং এটা আপনাকে প্রতারিত করবার একটি ফন্দি মাত্র। নেটে খুঁজতে খুঁজতে আমি একটি ফোরামে Malwarebytes' Anti-Malware দিয়ে স্ক্যান করার পরামর্শ পাই। আমি স্ক্যান দেই ও ১২ মিনিটে সি ড্রাইভ স্ক্যান করে সে ভাইরাসুগলো ক্লিন করে। এখন আপনি হয়তো বলবেন আমরা অনেক নামি-দামী এ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করি, তাহলে আবার এই Malwarebytes' Anti-Malware কেন? কারন একটাই, কিছু ভাইরাস, ট্রোজান অধিকাংশ এ্যান্টিভাইরাস পিসি থেকে সরাতে পারে না বা আংশিকভাবে সরায় এবং পিসিতে ভাইরাসের প্রভাব থেকেই যায় (টাস্ক ম্যানেজার ডিজেবলড, ফোল্ডার অপশন গায়েব, রেজিস্ট্রি ডিজেবলড, শো হিডেন ফাইলস ডিজেবলড প্রভৃতি)। এসব ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতেই Malwarebytes' Anti-Malware। আমি নিশ্চিৎভাবে বলতে পারি প্রায় ৯৫% ক্ষেত্রে সফটওয়্যারটি সফলভাবে ভাইরাস সরাবে। আপনার পিসি যদি কোনরকম ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত বলে মনে করেন তবে অবশ্যই অন্ততঃ একবার Malwarebytes' দিয়ে স্ক্যান করে দেখুন। তবে কিছু কথা অবশ্যই বলে রাখা উচিৎ। ভাইরাস কোনভাবে ধরে গেলে সেক্ষেত্রে এটার দরকার পড়বে, তার আগে না। কারন এটা ভাইরাস ধরা ঠেকায় না বরং ধরলে তারপর সরায়। Malwarebytes' Anti-Malware ভাইরাস ও ট্রোজান রিম্যুভাল স্পেশালিস্ট, কিন্তু ভাইরাস আক্রমণ না করা পর্যন্ত এটার কোন কাজ নেই। Malwarebytes' Anti-Malware বর্তমানে www.downlaod.com এর শীর্ষ ২০টি জনপ্রিয় সফটওয়্যারের তলিকায় ১১ নম্বরে আছে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন সফটওয়্যারটির জনপ্রিয়তা কতোটা। ভুলে আবার এটিকে এ্যান্টিভাইরাসের পরিবর্তে ব্যবহার করবেন না যেন। বরং একটি ভালো এ্যান্টিভাইরাসের সাথে ব্যবহার করে এর পুরো সুবিধাটুকু নিন।
ডাউনলোড (২.০৯ মেগাবাইট): এই পেইজে ( View this link ) গিয়ে Previous Versions এ গিয়ে ভার্শন ১.২৮ সিলেক্ট করে ডাউনলোড করুন.........নতুবা সাথে দেয়া কিজেনটি কাজ করবে না..........
* সফটওয়্যারটির ফুল ভার্শনে রিয়াল টাইম সিকিরিউটি পাবেন। ফুল ভার্শন ব্যবহার করার জন্য প্রয়োজনীয় কিজেনের লিন্ক নিচে দেয়া হলো:
View this link
একটি নাফিস ইফতেখার পরিবেশনা ২০০৮