হলুদ ফুলের মায়ায় সবুজ ঘাসে হাত বাড়িঁয়ে,
একসময় খুজেঁছি তোমায় প্রতিনিয়ত;
ভেঙ্গে ভেঙ্গে সকলের ভীরে নিজেকে গড়েঁ তুলেছি,
বিন্দু হতে আজ বৃও রূপে যা ছিল অপ্রত্যাশিত........!
সকল রশ্মির বিপরীতে শিশুমনে দিয়েছিলাম,
ভবিষ্যৎহীন অবুঝের মতন অধর পুজাঁ;
তবু বৃও আকারে পূর্ণতা পেয়েও,
হয়ে ওঠেনি এখনো ভুলগুলোর এিমাত্রিক সূএ খোজাঁ........!
বোকারমত সকল নয়নের আড়াঁলে থেকে,
চোখ বুজেঁ অন্ধ সেজেঁ রয়েছিলাম মরিচীকাকে ঘিরে;
তাই বিদ্রোহী স্বপ্নগুলো আজ আমায় ক্ষমা করে দিয়েও,
টেনে হিচড়েঁ নিয়ে যেতে চায় স্বপ্নবিলাসী বোকাদের ভীরে.........!
কষ্টের পরশে সব হারিয়েও তবু কষ্টের রেশ নেই,
হারানোর মতনই ছিল যে সব সংঙ্গাহীন স্বপন;
হাহাকার করেও ব্যর্থ হয়েছি তবু ক্লান্তির উৎসব নেই,
পুনশ্চঃ করেছি আবারো সুখের কলমের চারা রোপন..........!
নতুন চারায় কোন এক প্রভাতে আসবে নতুন কুড়িঁ,
আবারো গড়েঁ দিবে আমার ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্নমহলের অন্দর;
বিবেকের দংশনে তাই দু'হাত বাড়িয়ে নিষ্ক্রিয় ক্ষমা চেয়ে নিয়েই,
আবারো ফেলেছি নতুন বন্দরে নতুন স্বপ্নের নোঙ্গর..........!
কোন শরৎ-হেমন্তেই কখনোই অনুভূত হয়নি নতুনের ছোঁয়া,
তবে পেলেই তো থাকতো একেবারে হারাবার ভয়;
দূরের মানুষের রূপে রূপান্তরিত হয়ে দূরেই রয়েছি,
এতেই হয়েছে তোমার হার আর তার মাঝেই আমার জয়.........!
সরল বিশ্বাসের নিঃশ্বাসে আজ আমি পাই,
মুক্ত বিজয়ের সুমিষ্টতার তীব্র ঘ্রাণ;
ইতিহাসে বুঝি এইবার নাম ওঠতে চললো আমার,
সব হারিয়েও বাচিঁয়ে রেখেছি যে বরফে আবৃত মোর প্রাণ.........!
রজনীর বিয়োগে প্রভাতের আলো আসবেই,
তাই ভীতুতার সাথে করতে পারিনি সখ্যতা আমার;
শুদ্ধমনে তাই প্রহরাবিহীন বিশ্বাস রেখো,
কখনোই কোন ইতিহাসে হবোনা কোন রূপেই বাধাঁ তোমার..........!
প্রতিটা স্বপ্নের শুরুতেই গভীরভাবে তোমাকে জড়াঁতাম,
ভাবনায় ছিল এতেই মধুর স্বপ্ন জন্মাবে ভালোবাসার কোলে;
প্রতিটা স্বপ্নের প্রতিটা চিৎকারেই তোমার নাম নিতাম,
হয়ত একতরফা নিঃস্বার্থ ভালোবেসেছিলাম বলে.........!
সেদিনও ছিলাম আজও আছি কালও হয়ত রবো,
অদৃশ্য হবে শুধু আমার এই রূপান্তরিত কায়া;
তোমার সকল স্মৃতির ছায়া হয়ত হারিঁয়ে ফেলেছি,
তবুও একেবারে নিঃশ্বেষ হতে দেইনি পুরানো আহত মায়া.........!