ললিতা তুমি শান্তির নীড়ের শৃঙ্খলে এসে,
দেখেছো কি লালনের নয়নের মাঝে চেয়ে,
অনুভবের পরশে কি আসেনি নিরীহ মনের লালন,
কেমনে বসে সুরের গীত ধরেছে....।
তবু কেন তোমার সুরের তৃষ্ণার চাহনী,
দাওনি তারে অতীতে কখনো;
কেন তার মায়াবী সুরের জলে,
স্নান করিতে নামোনি এখনো...!
জেনে রেখো হয়ত ডাকবে না কখনো তোমায়,
প্রিয়া বলে এ জনমে লালন,
সব মায়ার বাধঁন ভুলতে যদি পারো,
তবেই কোন সুরের সৃষ্টিতে করবে না'কো বাড়ঁন....
জগতের সময়কাল লালন কখনো বুঝে না,
সময়ই নিজে বুঝে তার সুরের ছন্দে চলেছে,
তার যত সুরের ভাষা যত সুরের প্রেম,
সবই সকলের মনের আড়াঁলের কথাই বলেছে...।
লালনের চোখের গর্ভে অশ্রুর ফোটাঁ জন্মে না,
অশ্রুর চোখেই হয়েছে তার জন্ম;
তাহার কন্ঠনালীর সুর ছাড়া ঔ মুখে আর ভাষা নেই,
সুরই তার একমাএ সুনিপুন কর্ম...।
সুরের ভাবনা সৃষ্টিতে লালন বৃষ্টির খোঁজে রহে না,
বৃষ্টিই বয়ে আনে ভাবনা তার জন্যে;
ভুবনের সকল প্রান্তেই তার রয়েছিল অবাধ চঞ্চলতা,
তবু কি মায়ায় যেন বন্দী নীরব গভীর ঐ অরন্যে...!