ভারতের আধিপত্যবাদী চিন্তা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
প্রাপ্ত সুত্রে প্রকাশ ব্রহ্মপুত্র নদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস কপিলি নদীকে কেন্দ্র করে ভারত বেশ ক'টি বাঁধ ও রিজার্ভার নির্মাণ করেছে। সেচ ব্যবস্থার সম্প্রসারণের পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদন এই বাঁধ প্রকল্পের লক্ষ্য। এটি নির্মিত হওয়ায় যথারীতি ব্রহ্মপুত্রের পানির প্রবাহে সংকট দেখা দিচ্ছে এবং এর ফলে বাংলাদেশ পরিবেশগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
কপিলি নদী ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয়ের খাসিয়া-জৈন্তিয়া পাহাড় থেকে উৎপত্তি হয়ে তা আসামে প্রবেশ করেছে এবং ব্রহ্মপুত্র নদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পরিচিত হয়েছে। এই নদীতে ভারত মেঘালয় ও আসামের সীমান্তের দক্ষিণ কাছাঢ় জেলায় একটি পানিবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করেছে। এই প্রকল্প থেকে ২শ' মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে
এতে ২৪৩ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৬৬ মিটার উঁচু একটি বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। কপিলি ও খানডং প্রকল্প থেকে একাধারে আসাম, মেঘালয়, মনিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা ও নাগাল্যান্ড রাজ্য উপকৃত হচ্ছে। ভারতের নর্থ ইস্টার্ন ইলেকট্রিক পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেড ১৯৭৬ সালে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করে। ২০০৪ সালে এটি বাণিজ্যিক উৎপাদনে যায়। বর্তমানে এর সম্প্রসারণ কাজ চলছে। অন্যদিকে কপিলি নদীতে প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেয়ার জন্যও পৃথক একটি সেচ প্রকল্প নেয়া হয়েছে।
১৯৭৫ সালে এই প্রকল্পটি চালু হয়।
এদিকে, কপিলি নদীতে বিভিন্ন বাঁধসহ বিভিন্ন প্রকল্প তৈরি করার ফলে সে এলাকাতেই বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে । বিশেষ করে আসামে কপিলির পানিতে এসিডের মাত্রা বেড়ে গেছে। এর ফলে আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কপিলিসহ ব্রহ্মপুত্রের উৎস নদীগুলোতে বাঁধ দিয়ে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত করার ফলে পুরো ব্রহ্মপুত্রেই পরিবেশ দূষণের আশংকা দেখা দিয়েছে। এজন্য ভাটিতে বাংলাদেশ এই ক্ষতির মারাত্মক শিকার হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।