অথকেলেঙ্গারির দায়ে বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তে এপিএস কে বরখাস্ত করা হয়েছে। এবার পদত্যাগ রেলমন্ত্রীর।
বস্তা বস্তা টাকা ঘুষ গ্রহনের অভিযোগে সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের চাপে পরে তিনি........................................................
------------------------------------------------------=========================বিস্তারিত----------
পদত্যাগ করবেন বলে শোনা যাচ্ছে।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত নিজেকে সবসময় একজন ‘নীতিবান’ ব্যক্তি হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেন। বিশেষ করে মন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি যেভাবে বক্তব্য রেখেছেন তাতে জনগণ তাকে আওয়ামী লীগের ‘বিবেক’ বলে মনে করে নিয়েছিল। তিনি তখন মন্ত্রীদের সমালোচনা করে বলেছিলেন, শুটকির বাজারে যদি বিড়ালকে পাহারা দেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয় তাহলে তার অবস্থা যা হওয়ার তাই সরকারের অনেক মন্ত্রণালয়ে হচ্ছে। কিন্তু এখন তো ‘কালো বিড়াল’ তার ঘরেই। এখন তিনি কী বলবেন-এই প্রশ্ন বড় হয়ে আসবে সেটাই স্বাভাবিক।
সুরঞ্জিত বলেছেন, “এপিসিএস কোথায় কী করছে তা জানান দায়িত্ব আমার নয়।” প্রশ্ন হলো-তিনি যদি এপিএস-এর দায়িত্বই নিতে না পারেন তাহরে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব কেন নিলেন। তাকে কি আসলেই কোনো ‘দায়িত্বশীল’ ব্যক্তি বলা যায়-তাকে দোষ দেয়া যাবে?
এক ব্যক্তি অবৈধ টাকা নিয়ে ধরা পড়লো-তাকে পুলিশে দেয়া হলো না কেন? তাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য রেলের লোকজন ওঠেপড়ে নামলো। মন্ত্রী নিজেও নাকি এ ব্যাপারে ভূমিকা রেখেছেন। এর অর্থ একটাই, এই টাকার উৎস যাতে কেউ না জানতে পারে। প্রশ্ন ওঠেছে-মন্ত্রী কি এই টাকার কথা জানতেন না? তিনি জানতেন না-এটি এখন আর কেউ বিশ্বাস করবে না। সুরঞ্জিত তার স্বভাবসুলভ এই বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে যতই ‘আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ’ নিয়ে তাত্ত্বিক বক্তব্য রাখুন না কেন-কেউ তা যে মানবে না তা বলাই বাহুল্য।
বুধবার এই খবরটি ছিল টক অব দ্য কান্ট্রি। সুনামির আতঙ্কও এই বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে পারেনি। বরং এপিএস ওমর ফারুকের এই খবরই রাজনীতিতে এক ধরনের সুনামি তৈরি করেছে। কর্নেল অলি সুরঞ্জিতকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার পদত্যাগের দাবি করেছেন। গয়েশ্বর রায়ও একই কথা বলেছেন। রেল মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সব মিলিয়ে চারদিকে উত্তপ্ত পরিবেশ। তবে সুরঞ্জিতের দল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কেউ কোনো কথা বলেনি।
বলা হচ্ছে, রেলে নিয়োগ বাণিজ্যের হোতা এপিএস ফারুক তালুকদার। এটি কি সুরঞ্জিত জানতেন না? তিনি দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। দেখা যায়, এপিএস’র তদন্ত করবেন পিএস। বিষয়টি যে হাস্যকর তা বলাই বাহুল্য। তাই বিএনপির এমপি বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন।
শোনা যাচ্ছে, যে দেশপ্রেমিক ড্রাইভার এই অবৈধ টাকা বিজিবির হাতে ধরিয়ে দিয়েছিলেন তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যদি তাই হয় তাহলে তা কেবল সুরঞ্জিতের জন্য নয়, মহাজোট সরকারের জন্যও একটি অশনি সংকেত হয়ে দেখা দেবে। সরকারের নীতি-নির্ধারকরা বিষয়টি নিশ্চিত জানেন। সামনেই ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন। আর এই নির্বাচনের আগমুহূর্তে এমন একটি ঘটনা সরকারের জন্য যে বুমেরাং হবে তা তো আর অস্বীকার করা যাবে না। সরকার বিষয়টি কিভাবে সামলান-সেটিই এখন দেখার বিষয়।
রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত কি পদত্যাগ করবেন-এখন গোটা দেশে এই প্রশ্ন ওঠেছে। এ প্রশ্ন ওঠার কারণও রয়েছে। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত নিজেকে সবসময় একজন ‘নীতিবান’ ব্যক্তি হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেন। বিশেষ করে মন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি যেভাবে বক্তব্য রেখেছেন তাতে জনগণ তাকে আওয়ামী লীগের ‘বিবেক’ বলে মনে করে নিয়েছিল। তিনি তখন মন্ত্রীদের সমালোচনা করে বলেছিলেন, শুটকির বাজারে যদি বিড়ালকে পাহারা দেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয় তাহলে তার অবস্থা যা হওয়ার তাই সরকারের অনেক মন্ত্রণালয়ে হচ্ছে। কিন্তু এখন তো ‘কালো বিড়াল’ তার ঘরেই। এখন তিনি কী বলবেন-এই প্রশ্ন বড় হয়ে আসবে সেটাই স্বাভাবিক।
সুরঞ্জিত বলেছেন, “এপিসিএস কোথায় কী করছে তা জানান দায়িত্ব আমার নয়।” প্রশ্ন হলো-তিনি যদি এপিএস-এর দায়িত্বই নিতে না পারেন তাহরে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব কেন নিলেন। তাকে কি আসলেই কোনো ‘দায়িত্বশীল’ ব্যক্তি বলা যায়-তাকে দোষ দেয়া যাবে?
এক ব্যক্তি অবৈধ টাকা নিয়ে ধরা পড়লো-তাকে পুলিশে দেয়া হলো না কেন? তাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য রেলের লোকজন ওঠেপড়ে নামলো। মন্ত্রী নিজেও নাকি এ ব্যাপারে ভূমিকা রেখেছেন। এর অর্থ একটাই, এই টাকার উৎস যাতে কেউ না জানতে পারে। প্রশ্ন ওঠেছে-মন্ত্রী কি এই টাকার কথা জানতেন না? তিনি জানতেন না-এটি এখন আর কেউ বিশ্বাস করবে না। সুরঞ্জিত তার স্বভাবসুলভ এই বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে যতই ‘আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ’ নিয়ে তাত্ত্বিক বক্তব্য রাখুন না কেন-কেউ তা যে মানবে না তা বলাই বাহুল্য।
বুধবার এই খবরটি ছিল টক অব দ্য কান্ট্রি। সুনামির আতঙ্কও এই বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে পারেনি। বরং এপিএস ওমর ফারুকের এই খবরই রাজনীতিতে এক ধরনের সুনামি তৈরি করেছে। কর্নেল অলি সুরঞ্জিতকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার পদত্যাগের দাবি করেছেন। গয়েশ্বর রায়ও একই কথা বলেছেন। রেল মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সব মিলিয়ে চারদিকে উত্তপ্ত পরিবেশ। তবে সুরঞ্জিতের দল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কেউ কোনো কথা বলেনি।
বলা হচ্ছে, রেলে নিয়োগ বাণিজ্যের হোতা এপিএস ফারুক তালুকদার। এটি কি সুরঞ্জিত জানতেন না? তিনি দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। দেখা যায়, এপিএস’র তদন্ত করবেন পিএস। বিষয়টি যে হাস্যকর তা বলাই বাহুল্য। তাই বিএনপির এমপি বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন।
শোনা যাচ্ছে, যে দেশপ্রেমিক ড্রাইভার এই অবৈধ টাকা বিজিবির হাতে ধরিয়ে দিয়েছিলেন তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যদি তাই হয় তাহলে তা কেবল সুরঞ্জিতের জন্য নয়, মহাজোট সরকারের জন্যও একটি অশনি সংকেত হয়ে দেখা দেবে। সরকারের নীতি-নির্ধারকরা বিষয়টি নিশ্চিত জানেন। সামনেই ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন। আর এই নির্বাচনের আগমুহূর্তে এমন একটি ঘটনা সরকারের জন্য যে বুমেরাং হবে তা তো আর অস্বীকার করা যাবে না। সরকার বিষয়টি কিভাবে সামলান-সেটিই এখন দেখার বিষয়।