এ দেশের মানুষ;
৫২ তে রক্ত দিয়েছে
৭১ এ রক্ত দিয়েছে
৯০ এ রক্ত দিয়েছে
সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার এর স্বপ্নে গঠিত দেশটি ২০২৪ এ ও রক্ত দিল এবং খুনি স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটলো।
কিন্তু, একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রকে বারবার এত রক্ত দিতে হবে কেন? ৭১ এ প্রকাশ্যে-প্রধান শত্রু ছিলো পাকিস্তান।
এখন বাংলাদেশের শত্রু কে? কার জন্য ২৪ এ হাজার মানুষের প্রাণ ঝড়লো! কাদের জন্য হাজার হাজার মানুষ আহত হলো! কাদের জন্য শত শত মানুষ অন্ধ হলো, অঙ্গ হারাল! স্বৈরাচার সরকার? কিন্তু সেই খুনি স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা কে কোন দেশ আশ্রয় দিয়েছে? কোন দেশের প্রকাশ্যে সমর্থনে খুনি স্বৈরাচারী সরকার টিকে ছিলো একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্টের বুকে?
বাংলাদেশ ৭১ এ প্রকাশ্যে শত্রু থেকে স্বাধীনতা পেলেও বন্ধুরূপী শত্রু থেকে এখনও মুক্তি পায়নি। ২৪ এর রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে বাংলাদেশ শুধু মাত্র সেই বন্ধুরূপী শত্রুর নিয়োগ কৃত গভর্নর থেকে মুক্তি পেয়েছে।
বাংলাদেশের মানুষকে প্রকৃত শত্রু চিনতে হবে নাহলে; ৭১ এ যেমন পাকিস্তানি বাহিনীকে বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করানো হাতছাড়া হয়েছে, হাতছাড়া হয়েছে স্বাধীনতার দলিল এবং ইতিহাস। তেমনি বন্ধুরূপী শত্রুকে বন্ধু ভাবলে সেই বন্ধু, ছলে বলে কৌশলে বাংলাদেশকে নিও-কলোনাইজড একটি রাষ্ট্রে পরিণত করবে। অথবা তাদের আল্টিমেট গোল বাস্তবায়ন করবে।
শুধু শত্রু চিনলে হবে না; শত্রুর দোসর গুলোকেও চিনে রাখতে হবে, এরাই হলো সাইলেন্ট কিলার! এরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:০৩