ভারতের জি মিডিয়া কোম্পানি এর অফিসিয়াল সাইট হ্যাক করে বাংলাদেশি হ্যাকার গ্রুপ "সিস্টেমঅ্যাডমিনবিডি" নামের একটি হ্যাকার গ্রুপ। ২১ আগস্ট রাত ১২টার পর হ্যাক হয় ওয়েবসাইটটি। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয় এধরনের সংবাঁধ প্রচার করলে নিউজ চ্যানেল। ধ্বংস করা হবে।
এর আগে, ২১ আগস্ট বিকাল ৫টা ১৮ মিনিটে ভারতের "Zee ২৪ ঘণ্টা" নামের নিউজ চ্যানেল তাদের ওয়েবসাইট থেকে বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রহসন মূলক শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে। যার শিরোমান ছিল; "ভারত ছাড়ল জল! হাবুডুবু খেতে খেতে বাংলাদেশের কাতর আর্জি..."
ভারত ত্রিপুরায় গোমতি নদীর বাঁধ দিয়ে ডোম্বুর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করেছে ভারত। ত্রিপুরায় বিগত কয়েকদিন ত্রিপুরায় প্রচুর বৃষ্টি হয়ে বন্যা হয়েছে। ডোম্বুর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধ রক্ষা করতে বাংলাদেশকে পূর্বকোন সতর্কতা ছাড়াই রিজার্ভের স্পিলওয়ে গেট খুলে দে ভারত। ৩১ বছর পর এই বাঁধ খুলে দেয় ভারত। সাধারণত এধরনের বাঁধের হটাৎ খুলে দেয়া আত্মান্ত বিপদ জনক, কারণ ভয়ঙ্কর ফ্ল্যাশ ফ্লাড! সেটাই করেছে ভারত রাতের আঁধারে বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত করেছে ভারত। ফেনী, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, মৌলবীবাজার, হবিগঞ্জ, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি সহ আরও কয়েকটি অঞ্চল ফ্ল্যাশ ফ্লাডে প্লাবিত হয়। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এসব অঞ্চলে। পানি বন্দি লাখ লাখ বেশি মানুষ। বহু জায়গায় ভেঙে গেছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। বিদ্যুৎ বিহীন রয়েছে বেশ কিছু অঞ্চল। মানুষের ঘর বাড়ি সহ সব কিছু প্লাবিত হয়েছে। ফেনী, নোয়খালী শহরেও পানি উঠে গিয়েছে। সবচেয়ে বেশি বাজে অবস্থা ফেনীর ফুলগাজী, সোনাগাজী, ছাগলনাইয়া, পরশুরাম উপজেলা। কোথাও কোথাও দুইতলা বিল্ডিং প্রজয়ন্ত বন্যার পানি উঠেছে। মোবাইল,ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন ফেনীতে। ঢাকা চিটাগং হাইওয়ে বন্যার পানির নিচে। এই বন্যাকে এই অঞ্চলের সরণকালের সবথেকে ভয়াবহ বন্যা বলা হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকবেলায় সেনা বাহিনী এবং নৌবাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে।
যারা ভারতকে বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র হিসাবে দাবি করে এবং সেই দাবির পক্ষে নির্লজ্জের মতো দালালি করে তাদের জানা উচিত একটি বন্ধু রাষ্ট্রের ব্যবহার কখনোই এমন হতে পারে না। একটি আন্তর্জাতিক নদীর ওপর নির্মিত বাঁধ খোলার আগে অবশ্যই প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে সে সম্পর্কে আগেই জানানো উচিত যে, আমরা ৪৮ ঘণ্টা বা ২৪ ঘণ্টার ভেতর বাঁধ খুলবো। কারণ এমন পূর্ব সতর্কতাজারি করলে বন্ধু রাষ্ট্র প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব হয়।
ওরা বাঁধ খুলেই থেমে থাকেনি পরবর্তীতে বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রহসন মূলক সংবাঁধ প্রচার শুরু করে। যেসব সংবাদ শিরোনামের ভাষা শুনলে ভারত যে কখনোই বাংলাদেশকে বন্ধু রাষ্ট্র মনে করে সেটা পরিষ্কার হয়।
পরবর্তীতে ওয়েবসাইট হ্যাক হওয়ার পর সেই সংবাদের শিরোনাম পরিবর্তন করে জি নিউজ ২৪ ঘণ্টা। কিন্তু তারপরও প্রহসন মূলক শিরোনামে সংবাদ প্রচার করেই যাচ্ছে ভারত।
নিউজ লিঙ্ক
নিউজ লিঙ্ক
নিউজ লিঙ্ক
নিউজ লিঙ্ক
নিউজ
বিনা নোটিশে পানি ছেড়ে দেওয়ায় ভারতের কাছে ব্যাখ্যা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ
নিউজ লিঙ্ক
নিউজ লিঙ্ক
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:২৩