ছবিতে দেখতে পারছেন এপিবিএন এর ইউনিফর্ম পরিহিত মানুষ রূপী এক নরপশু ঠান্ডা মাথায় টার্গেট ফায়ারিং করছে, হাতে SKS রাইফেল। এই রাইফেল এর গুলি 7.62mm এর। এই রাইফেলের চাইনিজ ভার্সন বাংলাদেশ ব্যবহার করে। যেটা চাইনিজ রাইফেল নামেও পরিচিত।
এই ভিডিওটি ৫ অগাস্ট ২০২৪ এর। বিজয়ের কয়েক ঘণ্টা আগের, চাঁনখারপুল স্থানে। এই স্থানে ছাত্র-জনতার ওপর SKS রাইফেল, শর্টগান দিয়ে নির্বিচারে গুলি ছুড়তে থাকে পুলিশের যৌথ বাহিনী। এক পর্যায়ে যৌথ বাহিনীর কয়েক সদস্য ঠান্ডা মাথায় টার্গেট ফায়ারিং শুরু করে। এ সময়ে অসংখ্য নিরস্ত্র মানুষ প্রাণ হারায়।
এসময়ে নিরস্ত্র মানুষকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে মারার পর এই নরপশুদের, কে কয়টা মেরেছে সেটা নিয়ে উল্লাহ্ প্রকাশ করতে দেখা যায়!!! চেহারা গুলো দেখুন বিন্দুমাত্র অনুতাপ বোধ নেই! এরা কী রক্ত মাংসের মানুষ! এদের কী পরিবার পরিজন নেই!!?
পুলিশের এই কর্মকর্তার নির্দেশেই মাত্র কয়েকশ গজ দূরে থাকা নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে-নির্মম ভাবে গুলি চালায়। এই স্থানে ব্যপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
নিউজ লিঙ্ক ১
নিউজ লিঙ্ক ২
৯ বছরের শিশু রিফাত: "আমি পিয়াজু কিনতে গেছিলাম, দেখি দোকান বন্ধ। বাসায় অওয়া দেসেলাম, দেহি লোকজন ভিত্রে দৌড়াইতে আসে। পুলিশরা দৌড় দিয়া আইসা গুলি চালাইসে। আমি বাসায় জোরে দৌড় দিছি। আমার পায় গুলি লাগজে, পা বেকা হয়ে পড়ে গেছি। দুইদা ছেলে আমারে ধইরা মেডিকেল নিয়ে আইছে। এক মিনিটের মতো ওই জাগা পইড়া ছিলাম, পা ডা সোজা কইরা আবার হাঁটা দিচ্ছি। দেহি পা দিয়ে রক্ত পড়তাছে, হাত দিয়েও পরতাছে, দেহি কেনু আঙ্গুল ঝুলতাসে। দুইদা। পোলা কাপড় ছিড়া বাইদা, আমারে রিক্সোয় করে মেডিকেল আনছে। আমার বন্ধু ছিল ওয় মারা গেছে। নাম ইয়াসিন।"
এভাবেই পুলিশ নামের নরপশু নিরস্ত্র নিরপরাধ শিশুদের ওপরও গুলি চালায়। এই ঘটনা ঘটে ১৯ জুলাই ২০২৪, মিরপুরে।
নিউজ লিঙ্ক ৩
১৯ জুলাই ২০২৪, হেলিক্যাপ্টর থেকে ছোড়া একটি বুলেটেই বিদ্ধ হয় দুই বোন। গুলিটি বড় বোন মুমতাহীনা নাজ এর ডান পায়ের ভেতর থেকে যেয়ে বাম পায়ের ২টা হাড় ভেঙ্গে, তাঁর ছোটবোনের ডান পায়ে বিদ্ধ হয়ে একটি হাড় ভঙ্গে!
নিউজ লিঙ্ক ৩
শিশু শহীদ জাবির ইব্রাহীম ৫ আগস্ট সপরিবারে বিজয় মিছিলে শহীদ হয়। তাঁর বাবা মা মিছিলে তাঁর বড় দুই ভাইকে নিয়েই সাথে ছিল। এক পর্যায়ে জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে পুলিশ। একটি গুলি এসে জবিরের বুকের নিচে বিদ্ধ হয়। গুলি লাগার পরও ২ ঘণ্টা বেছে ছিল জাবির। কুয়েত মৈত্রী হসপিটালে চিকিৎসার অভাবে অবস্থা খারাপ হলে অন্য হসপিটালে নেয়ার সময় প্রাণ হারায় জাবির। তাঁর মা বলেছে: "আমি একজন মা হয়ে প্রতিটি সন্তান হত্যার বিচার চাই।"
নিউজ লিঙ্ক ৪
এত গেলো এপিবিএন, রাব, পুলিশ যৌথ বাহিনীর পাপের সামান্য খতিয়ান। এবার দেখুন ফেনীতে কিভাবে আত্মাধনিক অটোমেটিক আস্যাল্ট রাইফেল Heckler & Koch HK416 বা M4 নামে পরিচিত মারণাস্ত্র দিয়ে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনের লোকজন। এটা একটি NATO স্ট্যান্ডার্ড অস্ত্র। 5.56mm এর গুলি ব্যবহার হয় এই অস্ত্রে।
নিউজ লিঙ্ক ৫
নিউজ লিঙ্ক ৬
ফেনীতে আত্মাধনিক অটোমেটিক অসল্ট রাইফেল সহ নানান মারণাস্ত্রের ব্যবহার করে স্বৈরাচারী হাসিনার হায়নার পাল। সেখানে অসংখ্য মানুষ হত্যা করে এরা।
এখনও যারা ছাত্র-জনতার এই মহিমান্বিত বিজয়কে কলঙ্ক লেপনের জন্য নানান কন্সপিরেন্সি থিওরি দিচ্ছে, তারা এই খুনি নরপশু গুলোর চাইতে কোনো অংশে কম না। তোরা বহু আগে থেকেই দেশের ভেতর নিরব ঘাতক! এখন সবাইকে সচেতন হয়ে এই নরপশু-নিরবঘাতক গুলোকে চিহ্নিত করে সামাজিক ভাবে বহিস্কার করতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৫৮