বাংলাদেশের বর্তমানে দেশে-বিদেশে মোট ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা! বিগত ১৫ বছরের আওয়ামীলীগের স্বৈরাচারী শাসনামলে এই ঋণের পরিমাণ সাড়ে ১৫ লাখ কোটি টাকা!!!
এই অঙ্ক যদি সংখ্যায় লেখা হতো, হয়ত ২/৩ লাইন লেগে যেত শুধু সেটা পরিপূর্ণ ভাবে প্রকাশ করতে। কথা হচ্ছে; বাংলাদেশের কত শতাংশ মানুষ জানেন তাঁদের ঘারের ওপর এই ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামীলীগ সরকার দেশ থেকে ভেগে গিয়েছে? দেশবাসীকে দেখানো হয়েছে ব্যপক উন্নয়ন হচ্ছে; পদ্মা সেতু হচ্ছে, মেট্রো রেল হচ্ছে, এটা হচ্ছে সেটা হচ্ছে। কিন্তু বদমাইশগুলো যে ঋণ এর পর ঋণ নিয়ে দেশটাকে গলাটিপে মারার ফন্দি করছিল এটা দেশবাসী বোঝেনি। হয়তো কখনও বুঝবেও না। যখন প্রতাক্ষ পরোক্ষভাবে এই ঋণ এর কিস্তি জনগণকেই টানা লাগবে তখন মাসুম-জনগণ শুধু একটা কথাই বলবে; জিনিস পত্রের দাম এত বেশি কেন? সরকার কী করছে?
এই মেগা প্রজেক্ট-সেই মেগা প্রজেক্ট! উন্নয়ন আর উন্নয়ন! কেউকেউ তো আবেগে দেশকে ইউরোপের সাথেও তুলনা করেছিল। বিশাল-বিশাল মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু করে যখন বিদেশ থেকে ঋণ মিলছিল না তখন এই চোর স্বৈরাচারী সরকার সায়েত্বশাসিত বাংলাদেশ ব্যাংকে থেকে অবৈধ ভাবে চাপ দিয়ে ছাপিয়ে নেয় ৪১ হাজার কোটি টাকা। পদ্মা সেতু করার সময় একটা দাম্ভিক বক্তব্য দিয়েছিল স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা; দেশের টাকাতেই পদ্মা সেতু করবে। তার প্রতিশ্রুতি সে রেখেছিল, দেশের টাকাতেই পদ্মা সেতু হয়েছিল। কিন্তু সেটা অবৈধ ভাবে টাকা ছাপিয়ে, প্রকল্পের টাকার জোগান দিয়ে। আওয়ামীলীগের মাফিয়াদের গণলুটপাটের সুযোগ করে দিয়ে। এজন্যই পদ্মা সেতু হওয়ার পরপরই টাকার মান হুহু করে কমতে থাকে। দেখা দেয় ভয়াবহ মূল্যস্ফীতি! নিচের গ্রাফটি দেখলে এই স্ক্যামটি পরিষ্কার হবে।
এখানে দেখা যাচ্ছে ৩জুন ২০২২ সালে ইউএস ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশের টাকার মান ছিল ১ ইউএসডি=৮৯ টাকার কিছু বেশি। এমন মানই চলে আসছিল অনেক বছর থেকে। তখনও পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয়নি।
পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয় ২৫ জুন ২০২২। এক মাসের ভেতরেই টাকার মান পড়া শুরু করে! ২৯জুলাই ২০২২ এ টাকার মান দাঁড়ায়; ১ইউএসডি=৯৪ টাকার কিছু বেশি। নিজের টাকায় সেতু করার ফল পেতে থাকে বাংলাদেশের অর্থনীতি, জনগণ। রিজার্ভে টাকা না থাকায় তখন গোপনে টাকা ছাপিয়ে বিভিন্ন ফন্দি ফিকির করে এসব প্রকল্পের অর্থের জোগান দেয়া হয়। সাথে থাকে আওয়ামীলীগ এবং আওয়ামী মাফিয়াদের অবাধ দুর্নীতি।
বেশ কিছু তথাকথি মেগা প্রকল্প শেষ হতে থাকে, সাথে সাথে সেগুলোর কিস্তিও দেয়া শুরু হতে থাকে। পদ্মা সেতু উদ্বহনের মাত্র ৬ মাসের ভেতরেই মূল্যস্ফীতি মারাত্মক সংকট তৈরি করে দেশে। একদিকে দেশের রিসার্ভ খালি হতে থাকে, অন্যদিকে ঋণের পাহাড় সমান কিস্তি, আমদানি ব্যায়। সব মিলিয়ে লেজেগোবরে অবস্থা হয় স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সকারের। ১ইউএসডি=১০৩ টাকায় এসে ঠেকে টাকার মান। যেটা সম্ভবত ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ভুলে যাবেন না; এদিকে তাদের মহাচুরির আরেক প্রকল্প মেট্রোরেল উদ্বোধন হয় ২৮ ডিসেম্বর ২০২২।
বর্তমানে, ১৭আগস্ট ২০২৪ এ ১ইউএসডি= ১১৭টাকা। লোকাল মার্কেটে যেটা আরও বেশি, অ্যারাউন্ড ১২৫/১৩০ এর আশেপাশে। টাকার মান তাসের ঘরের মতো হুহু করে ভেঙ্গে পড়েছে। কারণ কী? কারণ একটাই টাকা ছাপিয়ে সেই টাকা দিয়ে প্রকল্প ব্যায় চালানো। শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী সরকার যদি আর কয়েক বছর থাকত তাহলে বাংলাদেশের মানুষের জিম্বাবুয়ের মতো বস্তা-বস্তা টাকা নিয়ে বাজারে করতে যেতে হত! তারপরও হাসিনা সরকার বলত; ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতির এই কঠিন সময়ে সব কিছুর দাম বেড়েছে।
এই বদমাইশ চোর ঋণখেলাপি শেখ হাসিনার টাকা পাচার করার মেশিন সালমান এফ রহমান। এই হারামজাদা যদি পারত দেশটাকে বিক্রি করে দিত। ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পরপরই শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি ঘটিয়েছিল এই মহাচোর সালমান। তখন দেশের অনেকে সবটুকু পুঁজি হারিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। ১৬ বছরে এই হারামজাদ যে কত টাকা বিদেশে পাচার করেছে তার হিসাব করা কঠিন হবে। সম্প্রতি এই হারামজাদার ছেলে নিজের বিয়ের পার্টিতে ৩০০ কোটি টাকা খরজ করেছে!
স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সরকারের শেষ সময় যখন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা শোচনীয়, তখন এই সালমান দ্য দরবেশ বদমাইশ, বাজারে বেক্সিমকো বন্ড ছাড়ে। টিভিতে দেয়া হয় লোভনীয় বিজ্ঞানপন। বদমাইশটার প্ল্যান ছিল এই ভুয়া বন্ডের মাধ্যমে বাজার থেকে আরও হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে নেয়া, এবং নিয়েছেও।
স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগের আরেক অর্থ রাক্ষস হলো এস আলম গ্রুপ। এই অর্থ রাক্ষস গ্রুপ দেশের বেশ কিছু প্রাইভেট ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোন নিয়ে ব্যাংক গুলোকে সাইনবোর্ড সর্বস্ব করে ছেড়েছে। এই অর্থরাক্ষস গ্রুপ হলো সয়াবিন তেল কেলেঙ্কারি সিন্ডিগেট এর অন্যতম হোতা।
স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ জানত ওরা বেশিদিন ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না। তাই ১৬ বছরে যে যতটুকু পেরেছে আখের গুছিয়ে নিয়েছে। দেশকে ডুবিয়ে গেছে ঋণের সাগরে। অর্থনীতি করেছে ধ্বংস।
দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে বর্তমান সরকারের উচিত যত দ্রুত সম্ভব আওয়ামীলীগের সকল দুর্নীতেবাজ চোর বিজনেসম্যান গুলোকে আটক করে আইনের আয়তায় আনা। স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগের মদদ পুষ্ট সহ যারা দুর্নীতি করে কালো টাকার পাহাড় গড়েছে, ওদের দুর্নীতি সব টাকার কড়ায়-গণ্ডায় হিসাব করে আদায় করা। যত ঋণ নিয়েছে সকল ঋণ সুদে-আসলে আদায় করা। সম্ভব হলে ,এদের যত বাবসা প্রতিষ্ঠান আছে সব গুলোকে রাষ্ট্রায়ত্ত করা। লাখ লাখ কোটি টাকার ঋণের বোঝা নিরিহ জনগণের ওপর চাপিয়ে না দিয়ে, এই সকল আওয়ামী বদমাইশ গুলো থেকে আদায় করা হোক। সাথেসাথে সুস্থ-স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে এই বদমাইশ গুলো সহ অন্য যেসব দুর্নীতিবাজ মহাচোর বাটপাড় আছে, সব গুলোকে ধরে আইনের আয়তায় আনা হোক।
এনাফ ইস এনাফ, এদের মতো মহাচোর-চিটার আর টলারেট করা হবে বাংলাদেশের জন্য আত্মঘাতী!
নিউজ গুলোর শিরোনাম গুগল এবং ইউটিউবে সার্চ করলে পাওয়া যাবে। (যদি সরিয়ে না নেয়া হয়।)
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৩৬