পাকিস্তানে অর্থনৈতিক অবস্থা শোচনীয়। বাংলাদেশের থেকে খারাপ এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিছুদিন আগে সেখানে নির্বাচন হয়েছে। সেই নির্বাচন তাদের মিডিয়া/জনতার মতেই নাকি বিতর্কিত। অন্যদিকে পাকিস্তানের সব থেকে জনপ্রিয় নেতা ইমরান খান জেল বন্দি। পাকিস্তানের সাধারণ মানুষও ভেতরে ভেতরে ফুঁসছে।
কিন্তু কথা হচ্ছে; এই জাতি যারা কিনা ইতিহাসের পাতায় খুব একটা প্রতিবাদী/বিদ্রোহী/অধিকার সচেতন না। তারা কী পারবে বাংলাদেশের মতো একটি ছাত্র-জনতা গণবিপ্লব দাঁড় কারাতে? ভাইয়ের/বোনের লাশ নিয়ে দৌঁড়ে হসপিটালে দিয়ে, ভাইয়ে/বোনের রক্ত মাখা শরীর নিয়ে আবারও রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়তে?
সেটার থেকে বড় কথা হলো; সেখানকার এক্সট্রিমিস্ট মোল্লারা, নারী পুরুষ এক সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজপথের অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে কিভাবে দেখবে কে জানে! হুটহাট কোনো ফতুয়া দিয়ে আন্দোলন এর মোড় অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয় কিনা বা আন্দোলন স্থিমিত করে দেয় কিনা কে জানে!
ইতিমধ্যে পাকিস্তানে বেশ কিছু স্থানে নাকি ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কিছু স্থানে নেট অনেক স্লো। পাকিস্তানে আন্দোলন বড় হতে শুরু করেছে। কিন্তু তাদের বেশ কিছু দাবির মধ্যে দেশ সংস্কারের কোনো দাবি আমার এখনো চোখে পড়েনি। যেটা মূল দাবি দেখলাম তারা বলছে ইমরান খান কে মুক্ত করবে। পাকিস্তানের ছাত্র-জনতা হয়তো জানে না আগে দেশ পরে দল!
অন্যদিকে বিজেপি প্রেডিকশন অনুযায়ী আগাচ্ছে। মমতাকে ক্ষমতা চ্যুত করার জন্য তারা এই সুযোগ হাত ছাড়া করতে চায় না। ইন্ডিয়ার ছাত্র-জনতা কী বিজেপির কূটচাল ধরতে পারবে? নাকি ওদের পলিটিকাল চেস প্লেতে পণ স্যাক্রিফাইস এর রোল প্লে করবে?
বাংলাদেশের জুলাই গণঅভূত্থানের আঁচ যে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে সেটা এখন সম্পূর্ণরূপে দৃশ্যমান। কোনো দেশ চাইছে নেতার মুক্তি, কোনো দেশের বদমাইশ দল চাইছে প্রতিপক্ষের ক্ষমতা চ্যুতি!
নিউজ লিঙ্ক ১
নিউজ লিঙ্ক ২
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:১৯