ভাষা বদলের এই দিনে বচন না রাঙালে কেউ শুনবে না কোনো কথা, এই হলো গূঢ়ভাষ, এই হেতু করা গেলে ভাবনার অনুবাদ, ছুঁয়ে যাবে যতসব তরুণ মনন, চেনাশোনার ফাঁকফোকরে যেটুকু উদাস করা হাওয়া, অচেনা সুর, তাদের গা ঢাকা পত্রালিমালা এই ছুঁয়ে গেল প্রেম-প্রজাপতি, এর গহ্বরগুলো যুগপৎ চেনা ও অচেনা, চেনা ওর সাধারণীকৃত দোষগুণ, অচেনা বিশেষ গন্ধ, ব্যবহার, আর উদাস করা কাশতট মুহুর্মুহু হানে
না থেমে এগোনো ভালো গড়িয়ে হলেও, চেনা গাছের পাতাতেও থাকে অচেনা ঝিলিক পোকা, ডিজুস বচন, স্মার্ট কোনো ভিজের, 'আমার প্রাণ যে মানে না', কেন এল এ ভাবনা, যখন ছুঁয়ে থাকা সব দিক থেকে
কোনদিকে তাকাতে হবে এই ভাবনায় হলে প্রাণপাত হবার যোগাড়, চোখ তুলে রাখো ফাটা কপালে, রঙ যে গাম্ভীর্য আনে কোথাও লেখা থাকতে হয় না তার ব্যাকরণ
এ যে কাঁপা কাঁপা চ্যুতি ও উল্লম্ফন, হয়ত বাঁশিই দায়ী, ভাটিয়ালী কী ভাওয়াইয়া কী রাগাশ্রিত, তা জানাবোঝার ভার কানের ওপর রেখে চোখে ভর দিয়ে ওইপারে গিয়ে থেমে যাও কৃষ্ণচূড়ার লালে, যেখান থেকে সোজা তাকালে সদাহাস্য অহঙ্কারের ঊর্ধ্বাঙ্গ দেখা যায়
অবশ্য এর মধ্যে বিরক্তিকর কিছু এসে সামনে দাঁড়ালে বাজে সব পরিকল্পনা করা ছাড়া কোনো গতিই থাকে না জেনো, সেটাই করো তবে, আর বলো কানে দেবার জন্য তুলো বস্তুটা ভ্রমণের কিটস-এ যুক্ত করাটা আবশ্যিক করা দরকার, এই শিক্ষা ভ্রমণপথ ছাড়া কোথাও সেভাবে ধরা নাও দিতে পারে, তুমি যাও তোমার পথে, তার নিচে দিয়েও আছে পথ, আছে ওপর দিয়েও, যার যার তার তার পথ, কারো জঙ্গল কেটে রেলে, কারো পিচ মোলায়েম কারে, কারো বা বায়ু কেটে প্লেনে
ধূসর জগতের এই ছবির মহিমা খাটো না করেও সবুজবরণ কথা বলা যায়, বলে বলে কমানো চলে মনের যত জ্বালা, কেননা কমানো জরুরি, কেননা ও জগৎ অধিগত নয় বলে ওদিকে না যাওয়া কোনো কাজের কথা নয়
সঙ্গে ক্যামেরা নেই তো কী হয়েছে, চোখ আছে ত্বক আছে কান আছে, আছে স্মৃতিঘর, এবং জানো তো আছে কিছু চা-খানাও হাইওয়ের পাশে
Image from: http://www.bikingaustralia.com