নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য আমার কিছু উপদেশ। প্রথম প্রকাশ করি ফেসবুকের চাকরি খুঁজবো না চাকরি দেব
১। কিছু করা যায় ভেবেই করা শুরু করবেন না। আগে বের করবেন সেটার ডিমান্ড আছে কিনা। সাপ্লাই থেকে কাস্টমার মডেল পুরানো হয়ে গেছে। এখন ডিমান্ড থেকে সাপ্লাইয়ের যুগ। যে ব্যবসার যেরকম ডিমান্ড সেরকম ভাবেই প্রস্তুত হতে হবে।
২। ডিমান্ড থাকলেই হবেনা। কম্পিটিশন বুঝতে হবে। মার্কেটে আরো বড় প্লেয়ার থাকলে সেই মার্কেটে না আসাই ভালো। অন্য মার্কেটে যান।
৩। তবু যদি সেই মার্কেটে আসার জন্য মরিয়া হয়ে থাকেন, তাহলে ব্র্যান্ডিংয়ের ব্যাপারে চিন্তা করেন।বিশ্বস্ত ব্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার ব্যাপারে মনোযোগী হন। বাজেট করুন এবং ধরে রাখুন যে বাজেট করেছেন তার ২ গুণ খরচ যাবে। সেটা যেন না যায় তার জন্য ভালো একজন ম্যানেজার রাখুন অথবা যে পার্টনার খরচের ব্যাপারে খুঁতখুঁতে তার উপর বাজেট মিলিয়ে খরচ করার দায়িত্ব দিন।
৪। একটা স্টার আপের দুইটা শুধু মূল চিন্তাঃ মার্কেটিং এবং প্রডাক্ট বা সার্ভিস তৈরি/ প্রকিউর করা। সাথে সব টাকার আনা গোনা ডকুমেন্ট করতে হবে।
৫। শুরু থেকেই ভাববেন ১০ বছর পর আপনার কোম্পানি গ্লোবাল হতে যাচ্ছে। তাই প্রতিনিয়ত আপনার সার্ভিস গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ডের দিকে নেয়ার চেষ্টা করুন।
৬। এটা ইনফরমেশনের যুগ। কাস্টমারের সাথে কোন রকম মিথ্যা বা প্রতারণা করার চেষ্টা করবেনা না। কোন সার্ভিস না পারলে বলবেন- পারবেন না। আগে অর্ডার নিয়ে পরে ম্যানেজ করার চিন্তার যুগ নেই। কাস্টমার যেমন অনেক, সার্ভিস প্রোভাইডারও অসংখ্য। কাস্টমাররা কিন্তু এখন গুগল সার্চ করেই কিনে ফেলেনা। এখন রিভিউ নির্ভর কেনাকাটা যুগ শুরু হয়েছে। একবার যদি আপনার ব্র্যান্ড খারাপ হয়, সেটা আবার ভালো করতে খবর হবে।
৭। সর্বশেষ কথা, রিসার্চের কোন বিকল্প নেই। মাথায় আইডিয়া আসলেই শুরুতে ভাববেন এটা নিয়ে এই মুহূর্তে আরো ১০০ জন ভাবছে। আপনার মূল কাজ হলো এই ১০০ জন কি ভাবছে সেটা বের করা। আর ১০০ জনের চেয়ে আলাদা কিছু অথবা বেশি কিছু দেয়া যেটার ডিমান্ড মার্কেটে আছে।