আপনি কোন্ প্রকৃতির ব্যক্তি সেটা নির্ধারিত হয় আপনার প্রাত্যাহিক কর্মকাণ্ডের ভিত্তিতে। যেহেতু ব্যক্তি যা প্রকাশ করে তা-ই ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব, অতএব আপনি কতটুকু সম্মান পাবার যোগ্য তা নির্ধারিত হবে সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আপনার আচার আচরণ, কথা বলার সাউন্ড,ভঙ্গি, কোনো প্রতিদানের আশা না করে নিজ বিবেচনায় অন্যের উপকার সাধন প্রভৃতির মাধ্যমে।
আপনি উচ্চপদে আসীন হয়ে ঐ পর্যায়ের লোকদের সাথে মেলামেশা করে ভেবে বসবেন না আমিই প্রকৃত শিক্ষিত, সম্মানিত, প্রকৃত যোগ্য। হ্যাঁ এজন্য আপনাকে প্রতিনিয়ত সবাইকে চিৎকার করে বলতে হয় আমিই একমাত্র শিক্ষিত, সম্মানিত, যোগ্য-আমাকে সম্মান দাও, আমার পরামর্শ নাও যেহেতু ওটাই পৃথিবীর বুকে একমাত্র সঠিক।
কিন্তু না জনাব, এত সহজেই আপনি জনমনে জায়গা করে নিতে পারছেন না। আপনি কেমন প্রকৃতির তা নির্ধারিত হবে আপনার অধীনস্তরা আপনাকে কিভাবে মূল্যায়ণ করে, আপনার বাসার কাজে সাহায্যকারিনীর সাথে ব্যবহার, মুচি ঝাড়ুদার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তির সাথে একই ধরণের ব্যবহার।
কী বাইরে কী ঘরে সবসময় সমাজের কথিত নীচু শ্রেণির লোকদের দিকে সর্বদা সজাগ দৃষ্টি, তাদের ভালোমন্দের খবর নেয়া, তাদের সাধ্যমত সাহায্য করা(অবশ্যই চুপিচুপি), সর্বোচ্চ বিনয়ের সাথে কথা বলা এগুলোর মাধ্যমেই জগদ্বিখ্যাত ব্যক্তিগণ স্বমহিমায় উজ্জ্বল হয়ে আছেন।
অতএব আপনিই ঠিক করুন আপনি কিভাবে সমাজে স্থান করে নেবেন। সারাক্ষণ হাই স্ট্যাটাস করে ষাঁড়ের মত চিৎকার করবেন নাকি মাটির মানুষ হওয়ার চেষ্টা করবেন, এটা আপনার বিবেচ্য বিষয়। আপনার কথার সাউন্ড শুনেই আপনাকে মোটামুটি মূল্যায়ণ করা যাবে আপনি কোন প্রকৃতির।
শক্তের ভক্ত নরমের যম হওয়ার মাঝে নিজের মনুষ্যত্বের দেউলিয়াই ফুটে উঠে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৭