এখন পর্যন্ত যেসব জায়গায় ভ্রমণ করেছি এবং নিজের হাতের তোলা কিছু ছবি আজ পোস্ট করলাম।
ছবিগুলো আমার পছন্দের এবং প্রিয় মোবাইল হ্যান্ডসেট দিয়ে তোলা!
অন্যের ছবি কিংবা প্রকৃতির ছবি তোলার কিছুটা নেশা আছে বটে!
রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট২০১৬,সিলেট(আমার নিজ জেলা) ।
সারা পৃথিবীতে ফ্রেশওয়াটার সোয়াম্প ফরেস্ট বা স্বাদুপানির জলাবন আছে মাত্র ২২টি। ভারতীয় উপমহাদেশে আছে এর দুইটি। তার একটি শ্রীলংকায় আর আরেকটি আমাদের বাংলাদেশের সিলেটের গোয়াইনঘাটে। স্থানীয় মানুষ জনের কাছে এইটা “সুন্দরবন” নামেই বেশি পরিচিত, আবার অনেকেই বলে "বাংলাদেশের আমাজান"।
রাতারগুল জলাবন বা রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট (Ratargul Swamp Forest) বাংলাদেশের একমাত্র জলাবন বা সোয়াম্প ফরেস্ট এবং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। বনের আয়তন ৩,৩২৫.৬১ একর, আর এর মধ্যে ৫০৪ একর বনকে ১৯৭৩ সালে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
বর্ষাকালে এই বনে অথৈ জল থাকে চার মাস। তারপর ছোট ছোট খালগুলো হয়ে যায় পায়ে চলা পথ। আর তখন পানির আশ্রয় হয় বন বিভাগের খোঁড়া বিল গুলোতে। সেখানেই আশ্রয় নেয় জলজ প্রাণী।
উপকূলীয় এলাকার বাইরে অন্যান্য জায়গার সোয়াম্প ফরেস্ট গুলো সব সময় জলে প্লাবিত থাকে না। কেবল বর্ষায় এই বনের গাছগুলো আংশিক জলে ডুবে থাকে। আমাদের বাংলাদেশের এমন একটি সোয়াম্প ফরেস্ট এই রাতারগুল জলাবন। দেশের স্বীকৃত একমাত্র এই সোয়াম্প ফরেস্টটি সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। এটাকে রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট বলা হয়। দেখলে মনে হবে সুন্দরবন। এটি দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের মানুষের কাছে সিলেটের সুন্দরবন নামেই পরিচিত।
বি: দ্র: কেউ যেতে চাইলে ভালোভাবে জেনে যাবেন। নৌকার ঘাট আছে কয়েকটা। সব ঘাট থেকে নৌকা নিলে সব জায়গা ভালোভাবে দেখা যাবেনা। মটরঘাট,রাতারগুল ঘাট আর আরেকটার নাম ঠিক জানা নেই।রাতারগুল ঘাট দিয়ে গেলে গাড়ি রেখে ঠিক ঐজায়গা থেকেই নৌকা নেয়া যাবে। নৌকা দিয়ে ওয়াচ টাওয়ার পর্যন্ত যাওয়া যাবে।
লোভাছড়া (লোভানদী ঝুলন্ত ব্রীজ,ইন্ডিয়ার বর্ডার),কানাইঘাট,সিলেট২০১৬।
দেশের উত্তর-পূর্ব সীমন্তে কানাইঘাট উপজেলায় (সিলেট) ব্রিটিশ আমলে চালু হওয়া চা বাগান এবং নানা দর্শনীয় স্থান ঘিরেই লোভাছড়ার অবস্থান। ছোট-বড় পাহাড়-টিলা, নদী-নালা ও খাল-বিল পরিবেষ্টিত প্রাকৃতিক ও নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরপুর এক দর্শনীয় স্থান লোভাছড়া। প্রায় ৫০ বছর আগে নির্মিত টিলাবাবু আর ম্যানেজারের আকর্ষণীয় বাংলো আজো পর্যটকদের বিমোহিত করে।
এই চা বাগানের সৌন্দর্যের প্রতি মুগ্ধতা অন্যদিকে রয়েছে তার প্রাকৃতিক ঐশ্বর্যের প্রতি লালসা। লোভাছড়ার পাশ দিয়ে ভারত সীমান্তে হারিয়ে গেছে ‘নুনগাঙ’। ‘নুনগাঙ’ প্রায় নদীর মতো হলেও এটি আসলে ঘোলা পানির একটি খাল যা লোভাছড়া নদী থেকে উৎপন্ন হয়েছে। খালের ওপর বেশ পুরনো, তবে এখনো মজবুত স্টিলের তৈরি একটি ব্রিজ রয়েছে। এখানকার সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থাপনার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ঝুলন্ত সেতু। সড়ক পথে লোভাছড়ায় আসার পথে পাওয়া যায় ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই ঝুলন্ত সেতু, স্থানীয়ভাবে যা ‘লটকনির পুল’ নামে পরিচিত। জানা যায়, ১৯২৫ সালে ইংরেজরা লোভাছড়ায় যাতায়াতের জন্য সেতুটি নির্মাণ করে। আকর্ষণীয় এই সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে লোভাছড়ার অপরুপ সৌন্দর্য উপভোগ করা সত্যিই অসাধারণ। লোভাছড়ার দক্ষিণ পাশে সুরমা নদী তীরবর্তী মূলাগুল বাজারের পূর্ব পাশে অবস্থিত একটি টিলার ওপর রয়েছে হযরত শাহজালাল(র.)-এর সঙ্গী ৩৬০ আউলিয়ার মধ্যে অন্যতম ওলি হযরত মীরাপিং শাহ (র.)-এর মাজার। মাজারটি দেখার জন্য এখানে প্রতিদিন অনেক ভক্ত এসে ভিড় জমান। ভক্তদের ভালোবাসার শুভ্রতা ছড়িয়ে পড়ে মাজার সংলগ্ন এলাকায়।
রাতের বীচ ক্যাফে,সুগন্ধ্যা বীচ, কক্সবাজার !
সন্ধ্যার লাবণী বীচ,কক্সবাজার ২০১৬ ।
ভাটিয়ারি, চট্রগ্রাম,২০১৫।
চট্রগ্রাম শহর সিটি গেইট থেকে মাত্র ২০ মিনিটের দূরত্বে ভাটিয়ারীতে রয়েছে অসাধারণ প্রাকৃতিক রূপে বৈচিত্র্য। এখানে আপনি সব কিছুই পাবেন, পাহাড়, কাক চক্ষুর মত স্বচ্ছ লেকের পানি, সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত গলফ কোর্স। সম্পূর্ণ অঞ্চলটি সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত এবং একই যায়গায় চট্রগ্রাম সেনানিবাস অবস্থিত বলে এখানে নিরাপত্তা নিয়ে আপনাকে চিন্তিত হতে হবে হবেনা। বর্ষা কালে ভাটিয়ারী লেকের উপচে পড়া পানি আপনাকে শিহরিত করবে একই সাথে পাহাড় এবং পাহাড়ের গায়ে সূর্যাস্ত আপনার মনকে ভরিয়ে দিতে যথেষ্ট। আপনি চাইলে লেকে নৌকা চড়তে পারবেন এবং নির্দিষ্ট টাকা দিয়ে লেকের পানিতে ছিপ দিয়ে মাচ শিকার করতে পারবেন। মোট কথা শহরের খুব কাছেই আপনার সময়টি অসাধারণ কাটবে। এছাড়া এখান থেকে আপনি চলে যেতে পারবেন ভাটিয়ারী সান সেট পয়েন্টে। সেখানে সূর্যাস্ত দেখার অসাধারণ সুবিধা রয়েছে।
সারি নদী, লালাখাল,সিলেট।
ভাটিয়ারি যাবার পথে।
পাখি তার নীড়ে ।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ।
বিছনাকান্দি,সিলেট ।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪